টিটিএন ডেস্ক
লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষে প্রতি চার বছর পরপর ক্যালেন্ডারের পাতায় ফেব্রুয়ারি মাসে বাড়তি একটি দিন যোগ হয়। ফলে ওই বছরটি গণনা করা হয় ৩৬৬ দিনে। এভাবে বছর গণনার সমন্বয়ে আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। এবার ২০২৪ সালে বছরের গণনা করা হবে ৩৬৬ দিনে। কারণ চলতি বছরও লিপ ইয়ার।
প্রতি ৪ বছর পরপর ৩৬৫-দিনের ক্যালেন্ডারে ফেব্রুয়ারির শেষে বাড়তি একটি দিন যোগ হওয়াটাই হচ্ছে লিপ ইয়ার। সে জন্য ২৯ ফেব্রুয়ারি বিশেষ একটি দিন।
যাদের এই ২৯ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেছেন তারা প্রতি ৪ বছর পরপর তাদের প্রকৃত জন্মদিন পালন করতে পারেন। কিন্তু ইতিহাসে শুধু একবার এমন সময় এসেছিল যখন ক্যালেন্ডারে ৩০ ফেব্রুয়ারি যোগ করতে হয়েছিল। বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, সুইডেন একটি ডাবল লিপ ইয়ারের অংশ হিসেবে ১৭১২ সালের ক্যালেন্ডারে ৩০ ফেব্রুয়ারি যুক্ত করেছিল।
সুইডিশ সাম্রাজ্যের (যে সময় ফিনল্যান্ড অন্তর্ভুক্ত ছিল) জুলিয়ান পঞ্জিকার পরিবর্তে ১৭০০ সাল থেকে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার শুরু করে এবং পরবর্তী ৪০ বছরের জন্য লিপ দিনগুলো বাতিলের পরিকল্পনা করা হয়। যদিও ফেব্রুয়ারি ১৭০০ সালে অধিবর্ষ দিনটি বাদ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু পরের বছরই গ্রেট নর্দার্ন যুদ্ধ শুরু হয়, সুইডিশদের পক্ষে সে সময় ক্যালেন্ডার পরিবর্তনে মনোনিবেশ করা সম্ভব হয়নি, ফলে পরবর্তী দুইবার অধিবর্ষে অতিরিক্ত দিনগুলো অপসারণ করা সম্ভব হয়নি এবং ১৭০৪ ও ১৭০৮ সালে পূর্বের মতো অধিবর্ষ পালন করা হয়।
বিভ্রান্তি এবং আরও ভুল এড়ানোর জন্য, ১৭১২ সাল থেকে পুনরায় জুলিয়ান পঞ্জিকা ব্যবহার শুরু করা হয়। এই বছর ফেব্রুয়ারি মাসে অধিবর্ষের দিনটি ছাড়াও অতিরিক্ত একটি দিন যোগ করা হয় এবং ওই বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ৩০ দিন ছিল। এ তারিখটি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে মার্চ ১১ এবং জুলিয়ান পঞ্জিকার মধ্যে ফেব্রুয়ারি ২৯ তারিখ নির্দেশ করে। সুইডিশদের গ্রেগরিয়ান পঞ্জিকাতে পরিবর্তন সম্পন্ন হয় ১৭৫৩ সালে। ওই বছর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ ১১ দিন বাদ দিয়ে এটি সম্পন্ন করা হয়।
তবে কিছু ক্যালেন্ডারে ফেব্রুয়ারি ৩০ তারিখটি থাকলেও গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে এটি ব্যবহার করা হয় না।