সাইফুল আফ্রিদি:
আগামীকাল ভোরে প্রভাতফেরি শুরু হবে। সকলেই ভোরেে খালি পায়ে ফুল দিতে যাবে শহিদ বেদিতে। আর সেসব ফুলের পুষ্পস্তবক সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছে ফুলের দোকানিরা। ফেব্রুয়ারি এলো তাই বসন্তের শুরুতেই ব্যস্ত সময় পার করছে মালিক, কর্মচারী সকলেই। নানান রঙের কাঁচা ফুল নিয়ে পুষ্পস্তবক সাজাতে দেখা গেছে কক্সবাজারেের শহিদ মিনার লাগোয়া রোজগার্ডেন ও রহিম পুষ্প বিতানের দোকানে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজার শহিদ মিনারে সরেজমিন গেলে দেখা হয় ওমর ফারুকের সাথে। সেখানেই কথা হয় ২১ বছরের তরুণ ওমর ফারুকের সাথে । পুষ্পস্তবকে ফুল গাঁথুনিতে ব্যস্ত সে। ওমর ফারুক নিজের দোকানেই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে গত রাত থেকে। আজ রাতও নির্ঘুম কাজ করবে সে। পরদিন ভোর কেটে গেলেই কিছুটা বিশ্রামে যাবে সে। ওমর ফারুক বলেন, আগামীকাল ২১শে ফেব্রুয়ারি। ফেব্রুয়ারি এলেই ২১কে সাজাতে প্রতিবছরই আমাদের কর্মব্যস্ত সময় কাটে । এবছরও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে গঠনে ওমরকে ২১ বছরের তেজোদ্দীপ্ত তরুণ মনে হয়েছে। জিজ্ঞেস করতেই ওমর বলেন, তার বয়স ২১ বছর চলছে। আর হাসি মুখে জবাব দিলো ২১ বছর বয়সে ২১’র জন্যই কর্মব্যস্ত সময় পার করছে সে। প্রতিটি পুষ্পস্তবককে গাঁদাফুল, বেলি ফুলসহ হরেক রকম ফুল রয়েছে।
রোজ গার্ডেনের আরো কয়েক কর্মচারী তার সাথে ফুলের পুষ্পস্তবক সাজাতে ব্যস্ত। তাদের একজন কর্মচারী আবু বকর সিদ্দিক। সেও জানিয়েছেন, গতকাল থেকে সারাদিন ব্যস্ত সময় পার করছেন কাঁচা ফুলের পুষ্পস্তবক তৈরিতে। তারাও সকলে তরুণ।
শহিদ মিনারের আঙিনাটাকেও তুলির আঁচড়ে রাঙানো হয়েছে। শহিদ মিনার ঘিরে চলছে প্রস্তুতি কর্মযজ্ঞ।
দেয়ালচিত্রে চোখে পড়ে, বাংলা ভাষার দাবিতে একুশের নানা পঙক্তি। এতে আছে একুশের পঙক্তি- ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’। স্কুল শেষে দেয়ালচিত্র দেখতে এসেছে কিশোর-কিশোরীরা। শহীদ মিনারে ছবি তুলছে অনেকে। অনেকে বর্ণিল দেয়ালচিত্রের সঙ্গে সেলফি তুলছে।