Monday, May 6, 2024

লিপু-রাজ-হান্নান ত্রয়ীর নবযাত্রা

টিটিএন স্পোর্টস ডেস্ক :

জাতীয় দল নির্বাচক প্যানেল পুনর্গঠনে স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রধান এনায়েত হোসেন সিরাজকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। রোববার তিনি বললেন, নির্বাচক প্যানেলে চমক আছে। হান্নান সরকারের নাম আগে থেকে চাউর হওয়ায় নির্বাচক হিসেবে তাঁর অন্তর্ভুক্তি চমক নয়। আসল চমক লুকিয়ে ছিল প্রধান নির্বাচক পদে। বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের নবম সভা শেষে জানা গেল চমকের নাম গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।

দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুলের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় ক্রিকেট থেকেই একপ্রকার বিদায় নিতে হয়েছিল যাঁকে। বিসিবির সাবেক এ পরিচালক প্রধান নির্বাচক হয়ে বোর্ডে ফিরতে পারেন, তা কল্পনাতেও ভাবেননি কেউ। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন পর্যন্ত বিশ্বাস করতে পারেননি। লিপু বিসিবি ছেড়েছিলেন পরিচালক হিসেবে, ফিরছেন জাতীয় দল নির্বাচক প্যানেলের প্রধান হয়ে। এতদিন যারা দূরে ঠেলে রেখেছিলেন, ভিন্ন ভূমিকায় তারাই কাছে টেনে নিলেন লিপুকে। মিনহাজুল আবেদীন নান্নু-হাবিবুল বাশার যুগের অবসান হলো লিপুর আগমনে।

খেলোয়াড়-সংগঠক দুই ভূমিকাতেই দেশের ক্রিকেটে ছাপ রেখেছেন লিপু। জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন, ম্যানেজার হিসেবে দল নিয়ে বিদেশে গেছেন। বিসিবিতে বিভিন্ন কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন। নির্বাচিত পরিচালক হয়ে কাজ করেছেন ২০১২ সাল পর্যন্ত। যদিও পরবর্তী সময়ে নাজমুল হাসান পাপনের কমিটিতে জায়গা হয়নি তাঁর। খালেদ মাহমুদ সুজন নিয়েছেন সে জায়গা। এক যুগ হলো বিসিবিতে নেই তিনি।

লিপুর কমিটিতে পুরোনোদের মধ্যে রয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক। জাতীয় দলের বাঁহাতি এ স্পিনার এক বছর হলো নির্বাচক হিসেবে কাজ করছেন। তিন সদস্যের প্যানেলের আরেকজন হলেন হান্নান সরকার। ২০১৫ সাল থেকে বিসিবির জুনিয়র নির্বাচক হিসেবে কাজ করছেন তিনি।

রাজ্জাক-হান্নানের বয়স কম হওয়ায় মাঠে থেকে খেলা দেখে ক্রিকেটার নির্বাচন করা যতটা সহজ হবে, বর্ষীয়ান লিপুর ক্ষেত্রে ততটা হবে না। এ ছাড়া লম্বা সময় ক্রিকেটের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না থাকায় লিপুকে নতুন করে মানিয়ে নিতে হবে বলে মনে করেন সংগঠকরা। এ ছাড়া দল নির্বাচনে আপস করার বিষয় আছে। বোর্ড সভাপতি ও প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। লম্বা সময় কাজের সুবাদে যেটা মেনে এবং মানিয়ে নিয়ে ছিলেন নান্নু-বাশাররা। এর পরও বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বেশি সময়ের প্রধান নির্বাচক নান্নুকে বিদায় নিতে হলো। তাঁর বিদায়টা অবধারিত ছিল। তবে শুধু নির্বাচক হিসেবে হাবিবুল বাশারের বিদায়টা দুঃখজনক মনে করা হচ্ছে। এক বছরের জন্য হলেও বাশারকে প্রধান নির্বাচক করা যেত বলে পরিচালকদের অনেকে মনে করেন। যদিও বোর্ড সভায় তারা কেউই বাশারের পক্ষ নেননি।

আরও খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় সংবাদ

You cannot copy content of this page