Monday, May 6, 2024

মানুষের আশ্রয় কেড়ে নিল ঘূর্ণিঝড় মোখা

টিটিএন ডেস্ক:

কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়াখালীর কবির আহম্মেদ। ঘূর্ণিঝড় মোখা’র আঘাতে নিজের কুঁড়ে ঘরের চাল উড়ে গেছে।

বৃষ্টির মধ্যে রোববার রাতে এই ঘরে ছিলেন তিনি।

শুধু কবির আহম্মেদ নন, উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ, নোয়াপাড়া, খোনাপাড়া, দক্ষিণ পাড়া, উত্তর পাড়া, মিস্ত্রী পাড়া ও জালিয়া পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৫ হাজার কাঁচা-পাকা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।

সোমবার (১৫ মে) সকালে সরেজমিন গিয়ে এসব চিত্র দেখা গেছে।

হারিয়াখালীতে ভাঙা ঘর মেরামত করার সময় কবির আহম্মেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা আমার ঘরবাড়ি, গাছগাছালি সবকিছু শেষ করে দিয়েছে। আমার সম্ভল বলতে ঘর আর ঘরের সামনের গাছগুলো ছিল। ঘরটা মেরামত করছি।

পশ্চিম মাঝার পাড়ার বয়োবৃদ্ধ মনির আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ঘরের টিন উড়ে গেছে। কারও সাহায্য না পেলে ঘর মেরামত করবো কিভাবে?

শাহপরীর দ্বীপের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ পাড়ার মো.হাসান বলেন, পাড়ার অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে যাওয়া অধিকাংশই কুঁড়ে ঘর। আল্লাহর রহমতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি।

টেকনাফ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, আমার ৯ ওয়ার্ডে ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাবে অনেক ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারও ঘর ভেঙে গেছে, আবার কারও ঘরের টিন উড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাই।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা’র তাণ্ডবে এই উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা বেশি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের পর্যায়ক্রমে সহযোগিতা করা হবে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা’র কারণে আট উপজেলায় অংশিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে ১০ হাজার ৪৬৯টি ও ২ হাজার ২২টি ঘর-বাড়ি সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬২০ জন মানুষ দুর্গত। আশ্রয়কেন্দ্রে সাময়িকভাবে আশ্রয় গ্রহণকারী ২ লাখ ৩৭ হাজার ২৪১ জনকে শুকনো ও রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

আরও খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় সংবাদ

You cannot copy content of this page