ঢাকা ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
হল সংসদে বিজয়ী হলেন বন কাগজে প্রচারণা চালানো টেকনাফের তামিম বিএনপি প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন চায়: সালাহউদ্দিন আহমেদ উখিয়া-টেকনাফের নারীদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে: শাহজাহান চৌধুরী কক্সবাজার সরকারি কলেজে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত স্কুল ব্যাগে ইয়াবা পাচার:চকরিয়ায় পুলিশের জালে দম্পতি চাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা কখন? কক্সবাজারে ছিনতাইয়ে জড়িত পুলিশের ‘সাবেক সদস্য’ আটক শহরের সমিতিপাড়ায় আগুনে পুড়েছে ২ দোকান :১১ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি শেষ হলো চাকসুর ভোট গ্রহণ:চলছে গণনা ছাত্র প্রতিনিধি-সাংবাদিক মিলে টেকনাফে ‘চেয়ারম্যান ও প্রশাসক’ পদ দেয়ার কথা বলে কোটি টাকার বানিজ্য! জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি, এখান থেকে শুরু করুন: চবি উপাচার্য চাকসুর ভোটগ্রহণ শুরু সীমান্তে ফের মাইন বিস্ফোরণ, মিয়ানমার নাগরিক নিহত- বাংলাদেশি আহত চকরিয়া হারবাং ইউনিয়ন ছাত্রদলের আংশিক কমিটি গঠিত তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে সাঁতার প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন

সুরা নিসায় আল্লাহর জিকিরের গুরুত্ব নিয়ে যা বলা হয়েছে

  • টিটিএন ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০২:১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫
  • 318

জিকির অর্থ স্মরণ করা, মনে করা। সাধারণত, জিকির বলতে আল্লাহর স্মরণকে বুঝানো হয়। একজন মুসলিমের জন্য আল্লাহর জিকির অনেক গুরুত্ব বহন করে।

জিকির বা আল্লাহর স্মরণ একটি ফজিলতপূর্ণ আমল। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করবে যাতে তোমরা সফলতা অর্জন কর। (সুরা আনফাল, আয়াত : ৪৫) আরও বর্ণিত হয়েছে, ‘যারা ঈমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে যাদের অন্তর প্রশান্ত হয়, জেনে রাখ আল্লাহর জিকির দ্বারাই অন্তরসমূহ শান্তি পায়। -(সুরা রাদ, আয়াত : ২৮)

এই আয়াতগুলোতে জিকিরের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। অপরদিকে পবিত্র কোরআনের সুরা নিসায় আল্লাহ তায়ালা জিকিরের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। নামাজ ছাড়া অন্য সময়গুলোতে দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে জিকির করার অর্থাৎ তাকে স্মরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। বর্ণিত হয়েছে—

فَاِذَا قَضَیۡتُمُ الصَّلٰوۃَ فَاذۡكُرُوا اللّٰهَ قِیٰمًا وَّ قُعُوۡدًا وَّ عَلٰی جُنُوۡبِكُمۡ ۚ فَاِذَا اطۡمَاۡنَنۡتُمۡ فَاَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ ۚ اِنَّ الصَّلٰوۃَ كَانَتۡ عَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ كِتٰبًا مَّوۡقُوۡتًا

যখন তোমরা নামাজ আদায় করে নেবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে, অতঃপর যখন তোমরা নিরাপদ হবে তখন (যথানিয়মে) নামাজ কায়িম করবে। নির্দিষ্ট সময়ে নামাজ কায়িম করা মুমিনদের জন্য অবশ্য কর্তব্য। (সুরা নিসা, আয়াত : ১০৩)

এই আয়াতে যথাসময়ে নামাজ পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ থেকে বুঝা যায় যে, কোন শরয়ী অপারগতা ছাড়া নামাজ কাজা করা উচিত নয়। নামাজের পর অন্য সময়গুলোতে আল্লাহর জিকির করতে বলা হয়েছে।

জিকিরের গুরুত্ব সম্পর্কে হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন—

আল্লাহ তায়ালা যখনই কোনো ফরজ তার বান্দাদের উপর অবধারিত করে দিয়েছেন তখনই সেটার একটা সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তারপর যারা সেটা করতে সক্ষম হবে না তাদেরকে ভিন্ন পথ বাতলে দিয়েছেন। এর ব্যতিক্রম হচ্ছে, আল্লাহর জিকির। এই জিকির এর ব্যাপারে যতক্ষণ কেউ সুস্থ বিবেকসম্পন্ন থাকে, ততক্ষণ আল্লাহ তায়ালা কাউকে অপারগতা আপত্তি পেশ করার সুযোগ দেননি। সর্বাবস্থায় তাকে জিকির করতে হবে। রাত-দিন, জল-স্থল, চালিয়ে যেতে হবে। এ আয়াতের এটাই ভাষ্য। (তাবারী, আত-তাফসীরুস সহীহ)

সূত্র: ঢাকা পোস্ট

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

হল সংসদে বিজয়ী হলেন বন কাগজে প্রচারণা চালানো টেকনাফের তামিম

This will close in 6 seconds

সুরা নিসায় আল্লাহর জিকিরের গুরুত্ব নিয়ে যা বলা হয়েছে

আপডেট সময় : ০২:১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

জিকির অর্থ স্মরণ করা, মনে করা। সাধারণত, জিকির বলতে আল্লাহর স্মরণকে বুঝানো হয়। একজন মুসলিমের জন্য আল্লাহর জিকির অনেক গুরুত্ব বহন করে।

জিকির বা আল্লাহর স্মরণ একটি ফজিলতপূর্ণ আমল। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করবে যাতে তোমরা সফলতা অর্জন কর। (সুরা আনফাল, আয়াত : ৪৫) আরও বর্ণিত হয়েছে, ‘যারা ঈমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে যাদের অন্তর প্রশান্ত হয়, জেনে রাখ আল্লাহর জিকির দ্বারাই অন্তরসমূহ শান্তি পায়। -(সুরা রাদ, আয়াত : ২৮)

এই আয়াতগুলোতে জিকিরের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। অপরদিকে পবিত্র কোরআনের সুরা নিসায় আল্লাহ তায়ালা জিকিরের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। নামাজ ছাড়া অন্য সময়গুলোতে দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে জিকির করার অর্থাৎ তাকে স্মরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। বর্ণিত হয়েছে—

فَاِذَا قَضَیۡتُمُ الصَّلٰوۃَ فَاذۡكُرُوا اللّٰهَ قِیٰمًا وَّ قُعُوۡدًا وَّ عَلٰی جُنُوۡبِكُمۡ ۚ فَاِذَا اطۡمَاۡنَنۡتُمۡ فَاَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ ۚ اِنَّ الصَّلٰوۃَ كَانَتۡ عَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ كِتٰبًا مَّوۡقُوۡتًا

যখন তোমরা নামাজ আদায় করে নেবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে, অতঃপর যখন তোমরা নিরাপদ হবে তখন (যথানিয়মে) নামাজ কায়িম করবে। নির্দিষ্ট সময়ে নামাজ কায়িম করা মুমিনদের জন্য অবশ্য কর্তব্য। (সুরা নিসা, আয়াত : ১০৩)

এই আয়াতে যথাসময়ে নামাজ পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ থেকে বুঝা যায় যে, কোন শরয়ী অপারগতা ছাড়া নামাজ কাজা করা উচিত নয়। নামাজের পর অন্য সময়গুলোতে আল্লাহর জিকির করতে বলা হয়েছে।

জিকিরের গুরুত্ব সম্পর্কে হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন—

আল্লাহ তায়ালা যখনই কোনো ফরজ তার বান্দাদের উপর অবধারিত করে দিয়েছেন তখনই সেটার একটা সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তারপর যারা সেটা করতে সক্ষম হবে না তাদেরকে ভিন্ন পথ বাতলে দিয়েছেন। এর ব্যতিক্রম হচ্ছে, আল্লাহর জিকির। এই জিকির এর ব্যাপারে যতক্ষণ কেউ সুস্থ বিবেকসম্পন্ন থাকে, ততক্ষণ আল্লাহ তায়ালা কাউকে অপারগতা আপত্তি পেশ করার সুযোগ দেননি। সর্বাবস্থায় তাকে জিকির করতে হবে। রাত-দিন, জল-স্থল, চালিয়ে যেতে হবে। এ আয়াতের এটাই ভাষ্য। (তাবারী, আত-তাফসীরুস সহীহ)

সূত্র: ঢাকা পোস্ট