৮০ হাজার পিস ইয়াবা নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্ত থেকে এক রোহিঙ্গাকে আটকের দাবি করেছে বিজিবি।
বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়নের ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিজিবি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রুর পশ্চিমকুল এলাকা থেকে মোঃ আলম (৩০) নামের রোহিঙ্গা যুবককে আটক করা হয়, সে কুতুপালং ক্যাম্প-২ ইস্টের ব্লক-এ-১ বাসিন্দা মোঃ নুরুল হকের ছেলে বলে জানায় বিজিবি।
গভীর রাতে তুমব্রু পশ্চিমকুলে মিয়ানমার সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় টহলরত বিজিবির সদস্যরা দেখতে পেয়ে ধাওয়া দিলে আসামী আলম একটি ব্যাগ ফেলে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে, পরে বিজিবির সদস্যরা তাকে আটক করে ব্যাগ তল্লাশী করে ৮০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে বলে বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম জানান, আটকৃত আসামীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে থানায় মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে ইয়াবা পাচার,
গেলো ২৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ৩ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা মূল্যের ১ লক্ষ ২৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ এক মাইক্রোচালক কে আটক করে ৩০ বিজিবির আওতাধীন মরিচ্যা চেক পোস্টে।
একইদিন রাতে বিজিবির ৬৪ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ এলাকা পালংখালীর রহমতের বিল এলাকা থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করে।
এর আগে শনিবার ২০ সেপ্টেম্বর রাতে পালংখালীর কারাঙ্কাঘোনা এলাকা থেকে ৫০ হাজার পিস, এরপরদিন রবিবার ২১ সেপ্টেম্বর দুপুরে আঞ্জুমান পাড়া সীমান্ত থেকে ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে ৬৪ বিজিবি, এ ঘটনায়ও বিজিবি কাউকে আটক করতে পারেনি।
সাম্প্রতিক সময়ে ইয়াবা পাচার বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে স্থানীয় অধিকারকর্মী রবিউল হোসাইন মনে করছেন সীমান্তের চোরাকারবারি যারা রাখাইনের বিদ্রোহীগোষ্টি আরাকান আর্মির কাছে নিত্যপণ্য পাচার করছে, তারাই এসব পণ্যের বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা নিয়ে আসছে।
এদিকে বিজিবি বলছে, সীমান্তে আগের চেয়ে চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি কঠোর অবস্থান নিয়েছে।