ঢাকা ০৯:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার বাসায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা আরও ২১ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব শিল্পী সংগ্রামী সত্যেন সেন’র ৪৩তম প্রয়াণ দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত গণমাধ্যমকর্মীদের আয়নাঘর দেখার সুযোগ দেওয়া হবে: প্রেস উইং উখিয়ায় প্রকাশ্যে নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে যুবকের আত্মহত্যার চেষ্টা অপহরণ বন্ধে সাংবাদিক নুপার অবস্থান কর্মসূচি ধলঘাটায় গ্রাম আদালত চলাকালে নিজের লুঙ্গি খুলে গালিগালাজ করলেন ইউপি সদস্য ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ’র কক্সবাজার জেলা সম্মেলন ২৩ জানুয়ারি অনুপ্রবেশকালে বিজিবি হেফাজতে ৩৬ মিয়ানমার নাগরিক তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারিনি: সালাউদ্দিন সাগরপথে বাংলাদেশে এলো আরও ৩৬ রোহিঙ্গা ৩০০ রোহিঙ্গাসহ দুটি নৌকা ফিরিয়ে দিলো মালয়েশিয়া টেকনাফে সোয়া ২ লাখের বেশি ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা আটক তারেক রহমানের ৪ মামলার কার্যক্রম বাতিলের রায় বহাল শীতে নিজেকে উষ্ণ রাখতে এই খাবারগুলো খেতে পারেন

সিনহা হত্যা মামলা দ্রুত শুনানি করতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে আবেদন

  • টিটিএন ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ১১:১৫:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫
  • 211

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলা হাইকোর্টে দ্রুত শুনানি করতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে আবেদন করেছেন তার মা নাসিমা আক্তার। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে এ বিষয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রায় কার্যকরের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আবেদন করে সিনহার পরিবার। এ সময় হত্যা মামলাটি দ্রুত শুনানির আশ্বাস দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আছাদুজ্জামান।

২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল। এছাড়াও ৬ জনের যাবজ্জীবন এবং বাকিদের খালাস দিয়েছিলেন আদালত।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। হত্যাকাণ্ডের ৪ দিন পর ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

মামলায় বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি করা হয়। এছাড়া প্রদীপ কুমার দাশকে ২ নম্বর ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিতকে ৩ নম্বর আসামি করা হয়। পরে আদালত কক্সবাজারের র‍্যাব-১৫ কে মামলাটির তদন্তভার দেন।

ওই ঘটনায় ৭ আগস্ট মামলার আসামি ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তদন্তে নেমে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় ৩ বাসিন্দা, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) ৩ সদস্য ও ওসি প্রদীপের দেহরক্ষীসহ আরও মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এরপর ২৪ জুন মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি কনস্টেবল সাগর দেবের আদালতে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে আলোচিত এই মামলার ১৫ আসামির সবাই আইনের আওতায় আসে।

এ মামলায় ৪ মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর ৮৩ জন সাক্ষীর নামের তালিকাসহ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‍্যাব-১৫ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ওই সময় ১৫ জনকে আসামি করে দেয়া অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

ট্যাগ :

খালেদা জিয়ার বাসায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা

This will close in 6 seconds

সিনহা হত্যা মামলা দ্রুত শুনানি করতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে আবেদন

আপডেট সময় : ১১:১৫:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলা হাইকোর্টে দ্রুত শুনানি করতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে আবেদন করেছেন তার মা নাসিমা আক্তার। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে এ বিষয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রায় কার্যকরের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আবেদন করে সিনহার পরিবার। এ সময় হত্যা মামলাটি দ্রুত শুনানির আশ্বাস দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আছাদুজ্জামান।

২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল। এছাড়াও ৬ জনের যাবজ্জীবন এবং বাকিদের খালাস দিয়েছিলেন আদালত।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। হত্যাকাণ্ডের ৪ দিন পর ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

মামলায় বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি করা হয়। এছাড়া প্রদীপ কুমার দাশকে ২ নম্বর ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিতকে ৩ নম্বর আসামি করা হয়। পরে আদালত কক্সবাজারের র‍্যাব-১৫ কে মামলাটির তদন্তভার দেন।

ওই ঘটনায় ৭ আগস্ট মামলার আসামি ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তদন্তে নেমে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় ৩ বাসিন্দা, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) ৩ সদস্য ও ওসি প্রদীপের দেহরক্ষীসহ আরও মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এরপর ২৪ জুন মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি কনস্টেবল সাগর দেবের আদালতে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে আলোচিত এই মামলার ১৫ আসামির সবাই আইনের আওতায় আসে।

এ মামলায় ৪ মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর ৮৩ জন সাক্ষীর নামের তালিকাসহ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‍্যাব-১৫ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ওই সময় ১৫ জনকে আসামি করে দেয়া অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।