কোরবানীর পশুর চামড়া সংরক্ষণের জন্যে বিনামূল্যে লবণ বিতরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সরকার লবন কিনে চামড়া ব্যবসায়ীদের মাঝে বিনামূল্যে তা বিতরণ করবে। এ লক্ষে শিল্প মন্ত্রনালয় ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক বরাবরে। সেখানে কক্সবাজার জেলায় ১০৩ টন লবণের জন্যে ১৫ লক্ষ ২৯ হাজার ৭৫৬ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় এবং মেসার্স এলকে সল্ট ক্রাসিং ইন্ডাস্ট্রিজ কে লবণ সরবরাহের জন্যে মনোনীত করা হয়। এ সরবরাহের সময়সীমা ছিলো ২৮ মে।
এ বিষয়ে এলকে সল্ট ক্রাসিং ইন্ডাস্ট্রিজ মালিক আব্দুল কাদের মাস্টার জানান, ১০৩ টন লবন দেওয়ার কথা থাকলেও জেলা প্রশাসকের অনুরোধে ১০৫ টন লবণ লবন সরবরাহ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে স্বস্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক সালাহ উদ্দিন এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
দেশের ৬৪ জেলার জন্যে জন্যে ৮৬ টি লবন মিল কে সরবরাহের জন্যে মনোনীত করা হয়, সে তালিকায় রয়েছে কক্সবাজারেট ৪১ টি লবন মিল। সেখানে দেখা গেছে কক্সবাজারের মেসার্স রিয়াদ সুপার সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ এবং রিয়াদ সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজপিতা ও পুত্রের মালিকানাধীন দুটি মিল পেয়েছে ৭টি জেলায় লবণ সাপ্লাইয়ের অনুমতি,মেহরাজ সল্ট ৪ টি ও সালমা সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ দুইটি জেলায় লবন সরবরাহের অনুমতি পেয়েছে।
বৈষম্য ও অন্যায় করা হয়েছে উল্লেখ করে ইসলামপুর লবন মিল মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি শামসুল আলম আযাদ বলেন, এটি কেন্দ্রীয় সমিতি করেছে কিন্তু কিভাবে করেছে তা জানা নেই। তবে এরকম করা ঠিক হয়নি।
জানা যায়, বিসিক কক্সবাজার এ তালিকা তৈরী করেছে। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিসিক ঢাকার লবন সেলের প্রধান সরওয়ার হোসেন জানান, জেলা প্রশাসন তালিকা তৈরি করেছে বিসিক সহযোগিতা করেছে। লবণ গুলো চামড়া ব্যবসায়ীদের দেওয়া হবে না। কোরবানির পশুর চামড়া সঠিকভাবে সংরক্ষণের লক্ষ্যে দেওয়া হবে এতিমখানা ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
উল্লেখ্য, দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সরকার ৩০ হাজার মেট্রিক টন লবণ বিনামূল্যে বিভিন্ন এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিং ও সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠানে বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।