ঢাকা ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
লাল চান্দা নামে কুতুপালং বাজারে প্রতিদিন বিক্রি হয় লাখ টাকার নি’ষি’দ্ধ ‘পিরানহা’! বাংলাদেশ থেকে বৈধ পথে আরও কর্মী নিতে আগ্রহী ইতালি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা “পাবলিক স্পেসে ‘বেশ্যা’ বলার অধিকার কারও নেই” মাতারবাড়ি সংযোগ সড়ক: প্রতি কিলোমিটার বানাতে খরচ ৪৭৬ কোটি টাকা “এখন অনেকে মনে করছে রাজনীতি করলে চাঁদাবাজি করতে পারবে” আকাশপথে বুধবার স্বদেশে ফিরবে সেনা-বিজিপি সদস্যসহ ৩৪ মিয়ানমার নাগরিক দিনের ভোট রাতে হওয়ার সুযোগ নেই : সিইসি আহত হ্যাচারির পরিচালককে পুলিশি তত্ত্বাবধানে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম প্রেরণ স্বাস্থ্য ক্যাডার পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস করার সুপারিশ আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় চিন্ময় দাস গ্রেপ্তার সাবেক এমপি জাফর চার দিনের রিমান্ডে খুরুশকুলে মৎস্য ঘেরে যুবক খুন সিআইডির ধারণা রামুতে উদ্ধার কাটা পা গ্যাংগ্রিন রোগীর মিয়ানমারের সঙ্গে প্রক্সি যুদ্ধে জড়াবে না বাংলাদেশ: খলিলুর রহমান রামুতে পলিথিনে মোড়ানো বিচ্ছিন্ন পা উদ্ধার

লাল চান্দা নামে কুতুপালং বাজারে প্রতিদিন বিক্রি হয় লাখ টাকার নি’ষি’দ্ধ ‘পিরানহা’!

বিশ্বের অন্যতম শরণার্থী শিবির লাগোয়া উখিয়ার কুতুপালং বাজার, প্রতিদিন এই বাজারে লাখ টাকার নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ বিক্রি করে ভোক্তাদের সাথে প্রতারণা করছে সংঘবদ্ধ একটি অসাধু চক্র।

স্থানীয় ও রোহিঙ্গা ক্রেতাদের টার্গেট করে বাজারের কতিপয় কিছু মাছ ব্যবসায়ী এই প্রতারণায় লিপ্ত।

সরজমিনের তথ্যপ্রমাণ বলছে, লাল চান্দা মাছ দাবী করে কেজি প্রতি ৪৫০-৫০০ টাকা পিরানহা বিক্রি করছে তারা।

চক্রটির মূল হোতা কুতুপালংয়ের একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা খায়রুল আমিন, যার মাধ্যমে চকরিয়া-টেকনাফ সহ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগ্রহ করা হয় নিষিদ্ধ এই মাছ।

সোমবার সকালে বাজারে মাছ কিনতে আসেন একটি এনজিও সংস্থার কর্মকর্তা আবিদ ইসলাম, তিনি পিরানহার প্রকাশ্যে বিক্রি দেখে বিষ্ময় প্রকাশ করেন।

আবিদ বলেন, ‘ পিরানহার অপর নাম রাক্ষুসে মাছ, এটি পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই মাছ বিক্রি বন্ধে প্রশাসনের তৎপর হওয়া উচিত।’

পরিবারের জন্য ‘লাল চান্দা’ মনে করে ক্রয় করা ২ কেজি পিরানহা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাস করা রোহিঙ্গা শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

আব্দুল্লাহ বলেন, ‘ আমি স্বল্প বেতনে ক্যাম্পের স্কুলে চাকরি করি। পরিবারের জন্য এই মাছ কিনেছি, বিক্রেতা আমাকে লাল চান্দা বলে বিক্রি করেছে।’

২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশ সরকারও রাক্ষুসে স্বভাবের কারণে পিরানহা মাছ চাষ, উৎপাদন, পোনা উৎপাদন, বংশ বৃদ্ধি, বাজারে বিক্রি এবং বাজার থেকে ক্রয় সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করে সরকার।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওবায়দুল হক বলেন, রাক্ষুসে মাছ হিসেবে পরিচিত পিরানহা বাজারে ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

উপজেলায় যদি কেউ নিষিদ্ধ এই মাছ বিক্রি করে, তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

লাল চান্দা নামে কুতুপালং বাজারে প্রতিদিন বিক্রি হয় লাখ টাকার নি’ষি’দ্ধ ‘পিরানহা’!

This will close in 6 seconds

লাল চান্দা নামে কুতুপালং বাজারে প্রতিদিন বিক্রি হয় লাখ টাকার নি’ষি’দ্ধ ‘পিরানহা’!

আপডেট সময় : ১১:২৮:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

বিশ্বের অন্যতম শরণার্থী শিবির লাগোয়া উখিয়ার কুতুপালং বাজার, প্রতিদিন এই বাজারে লাখ টাকার নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ বিক্রি করে ভোক্তাদের সাথে প্রতারণা করছে সংঘবদ্ধ একটি অসাধু চক্র।

স্থানীয় ও রোহিঙ্গা ক্রেতাদের টার্গেট করে বাজারের কতিপয় কিছু মাছ ব্যবসায়ী এই প্রতারণায় লিপ্ত।

সরজমিনের তথ্যপ্রমাণ বলছে, লাল চান্দা মাছ দাবী করে কেজি প্রতি ৪৫০-৫০০ টাকা পিরানহা বিক্রি করছে তারা।

চক্রটির মূল হোতা কুতুপালংয়ের একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা খায়রুল আমিন, যার মাধ্যমে চকরিয়া-টেকনাফ সহ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগ্রহ করা হয় নিষিদ্ধ এই মাছ।

সোমবার সকালে বাজারে মাছ কিনতে আসেন একটি এনজিও সংস্থার কর্মকর্তা আবিদ ইসলাম, তিনি পিরানহার প্রকাশ্যে বিক্রি দেখে বিষ্ময় প্রকাশ করেন।

আবিদ বলেন, ‘ পিরানহার অপর নাম রাক্ষুসে মাছ, এটি পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই মাছ বিক্রি বন্ধে প্রশাসনের তৎপর হওয়া উচিত।’

পরিবারের জন্য ‘লাল চান্দা’ মনে করে ক্রয় করা ২ কেজি পিরানহা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাস করা রোহিঙ্গা শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

আব্দুল্লাহ বলেন, ‘ আমি স্বল্প বেতনে ক্যাম্পের স্কুলে চাকরি করি। পরিবারের জন্য এই মাছ কিনেছি, বিক্রেতা আমাকে লাল চান্দা বলে বিক্রি করেছে।’

২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশ সরকারও রাক্ষুসে স্বভাবের কারণে পিরানহা মাছ চাষ, উৎপাদন, পোনা উৎপাদন, বংশ বৃদ্ধি, বাজারে বিক্রি এবং বাজার থেকে ক্রয় সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করে সরকার।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওবায়দুল হক বলেন, রাক্ষুসে মাছ হিসেবে পরিচিত পিরানহা বাজারে ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

উপজেলায় যদি কেউ নিষিদ্ধ এই মাছ বিক্রি করে, তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।