ঢাকা ১১:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজার সরকারি কলেজে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত স্কুল ব্যাগে ইয়াবা পাচার:চকরিয়ায় পুলিশের জালে দম্পতি চাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা কখন? কক্সবাজারে ছিনতাইয়ে জড়িত পুলিশের ‘সাবেক সদস্য’ আটক শহরের সমিতিপাড়ায় আগুনে পুড়েছে ২ দোকান :১১ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি শেষ হলো চাকসুর ভোট গ্রহণ:চলছে গণনা ছাত্র প্রতিনিধি-সাংবাদিক মিলে টেকনাফে ‘চেয়ারম্যান ও প্রশাসক’ পদ দেয়ার কথা বলে কোটি টাকার বানিজ্য! জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি, এখান থেকে শুরু করুন: চবি উপাচার্য চাকসুর ভোটগ্রহণ শুরু সীমান্তে ফের মাইন বিস্ফোরণ, মিয়ানমার নাগরিক নিহত- বাংলাদেশি আহত চকরিয়া হারবাং ইউনিয়ন ছাত্রদলের আংশিক কমিটি গঠিত তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে সাঁতার প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন ৬ বছরে ২৫ হত্যাকান্ড: বদরখালীতে পুলিশ ফাঁড়ি পুনঃস্থাপনের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন উখিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে অস্ত্র ও মাদক কারবারি এনায়েত উল্লাহ আটক চার পিস ইয়াবা ধরতে উখিয়ার ওসির ‘আলোচিত অভিযান’

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যৌথ অভিযান: ভেঙ্গে দেয়া হলো ডাকাত নবী হোসেনের আস্তানা

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডাকাতদলের আস্তানা খ্যাত একটি ঘর গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে ঘরটি ব্যবহার হয়ে আসছিল অপহরণ ও মাদকের ঘাঁটি হিসেবে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইট, রড, বালু, সিমেন্টের তৈরি সেমিপাকা ঘর! এমন দৃশ্য আগে কেউ দেখেনি। অথচ উখিয়ার ক্যাম্প-৮ ইস্ট-এর বি-৪১ ব্লকে গড়ে তোলা হয়েছিল এমনই একটি স্থাপনা। দীর্ঘদিন ধরে সেটি ব্যবহার হতো অপহরণ ও মাদকের ঘাঁটি হিসেবে। আর নিয়ন্ত্রণে ছিল রোহিঙ্গা ডাকাত নবী হোসেনের।

জানা যায়, পুরো ক্যাম্পজুড়ে যেখানে রোহিঙ্গাদের ঘর বাঁশ, ত্রিপল ও প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হয়, সেখানে হঠাৎ সেমিপাকা স্থাপনার বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এই স্থাপনাটি নবী হোসেনের ‘অবৈধ দখলদারিত্বের আস্তানা’ যেখান থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হতো তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, “ঘরটি নবী হোসেনের অপরাধের আস্তানা ছিল। ডাকাতি, অপহরণ আর মাদকের পরিকল্পনা হতো এখানেই। এতদিন ভয়ে কেউ মুখ খুলেনি, অবশেষে প্রশাসন সাহসী পদক্ষেপ নেয়।”

রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ বলেন, “ক্যাম্পে এমন পাকা ঘর আগে কখনো দেখিনি। এটা পুরো নিয়মের বাইরে। এখানে ইট সিমেন্ট রড দিয়ে স্থাপনা তৈরির কোন অনুমতি নেই।‌”

বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে পরিচালিত যৌথ অভিযানে ঘরের একাংশ এবং ভেতরের কংক্রিটের তাক ভেঙে ফেলা হয় বলে জানিয়েছেন ক্যাম্প-৮ ইস্ট-এর ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি) গাজী শরিফুল হাসান।

তিনি জানান, অভিযানে সহায়তা করে সেনাবাহিনী ও ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।

গাজী শরিফুল হাসান বলেন, “কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়াই ঘরের একাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে পুরো অবৈধ স্থাপনাটি সম্পূর্ণরূপে গুঁড়িয়ে না দেওয়া পর্যন্ত উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান থাকবে।”

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যৌথ অভিযান: ভেঙ্গে দেয়া হলো ডাকাত নবী হোসেনের আস্তানা

আপডেট সময় : ০৫:২৪:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডাকাতদলের আস্তানা খ্যাত একটি ঘর গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে ঘরটি ব্যবহার হয়ে আসছিল অপহরণ ও মাদকের ঘাঁটি হিসেবে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইট, রড, বালু, সিমেন্টের তৈরি সেমিপাকা ঘর! এমন দৃশ্য আগে কেউ দেখেনি। অথচ উখিয়ার ক্যাম্প-৮ ইস্ট-এর বি-৪১ ব্লকে গড়ে তোলা হয়েছিল এমনই একটি স্থাপনা। দীর্ঘদিন ধরে সেটি ব্যবহার হতো অপহরণ ও মাদকের ঘাঁটি হিসেবে। আর নিয়ন্ত্রণে ছিল রোহিঙ্গা ডাকাত নবী হোসেনের।

জানা যায়, পুরো ক্যাম্পজুড়ে যেখানে রোহিঙ্গাদের ঘর বাঁশ, ত্রিপল ও প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হয়, সেখানে হঠাৎ সেমিপাকা স্থাপনার বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এই স্থাপনাটি নবী হোসেনের ‘অবৈধ দখলদারিত্বের আস্তানা’ যেখান থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হতো তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, “ঘরটি নবী হোসেনের অপরাধের আস্তানা ছিল। ডাকাতি, অপহরণ আর মাদকের পরিকল্পনা হতো এখানেই। এতদিন ভয়ে কেউ মুখ খুলেনি, অবশেষে প্রশাসন সাহসী পদক্ষেপ নেয়।”

রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ বলেন, “ক্যাম্পে এমন পাকা ঘর আগে কখনো দেখিনি। এটা পুরো নিয়মের বাইরে। এখানে ইট সিমেন্ট রড দিয়ে স্থাপনা তৈরির কোন অনুমতি নেই।‌”

বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে পরিচালিত যৌথ অভিযানে ঘরের একাংশ এবং ভেতরের কংক্রিটের তাক ভেঙে ফেলা হয় বলে জানিয়েছেন ক্যাম্প-৮ ইস্ট-এর ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি) গাজী শরিফুল হাসান।

তিনি জানান, অভিযানে সহায়তা করে সেনাবাহিনী ও ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।

গাজী শরিফুল হাসান বলেন, “কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়াই ঘরের একাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে পুরো অবৈধ স্থাপনাটি সম্পূর্ণরূপে গুঁড়িয়ে না দেওয়া পর্যন্ত উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান থাকবে।”