রামুতে আমান মৌসুমের ব্রি ধান-১০৩ জাতের ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে উপজেলার পশ্চিম চাকমারকুলে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের আয়োজনে ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রামু উপজেলার সহযোগিতায়
এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
নতুন ৬টি আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে স্থান ভিত্তিক ধানের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং বিদ্যমান গবেষণাগার উন্নয়ন (এলএসটিডি) প্রকল্পের অর্থায়নে বীজ সংরক্ষণ পাত্র বিতরণও করা হয়।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আঞ্চলিক কার্যালয় কক্সবাজারের প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার এবং আঞ্চলিক প্রধান ড. ফজলুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এলএসটিডি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার ড.মোঃ আনোয়ার হোসেন।
চাকমারকুল ইউনিয়নে কর্মরত উপসহকারি কৃষি অফিসার মো: জাকারিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে বক্তব্য রাখেন রামু উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ তানজিলা রহমান, সাইন্টিফিক অফিসার মোজাম্মেল হক, কৃষি তথ্য সার্ভিস কক্সবাজারের কর্মকর্তা মোঃ লোকমান হাকিম, কৃষক আবদুল মান্নান প্রমুখ।
চলতি আমন ২০২৫ মৌসুমে কক্সবাজার জেলায় এলএসটিডি প্রকল্পের আওতায় ১ একরের ১২৫টি জাত প্রদর্শনী স্থাপিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন ১ বিঘা (৩৩ শতক) জমিতে ব্রি ধান১০৩ জাত চাষ করে ২৫ মণের অধিক ফলন উৎপাদন করা সম্ভব,যা প্রচলিত আমন মৌসুমের যেকোন জাতের চেয়ে বেশি ফলন দিতে সক্ষম।
জাতটির জীবনকাল ১২৮-১৩৩দিন হওয়ায় আগাম শীতকালীন সবজি চাষেও কৃষকদের জন্যে সুবিধা হবে। এছাড়া জাতটিতে পোকামাকড় ও রোগের আক্রমণ কম, ফলন বেশি হওয়ায় আমন মৌসুমে কৃষকদের জন্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় জাত হবে বলে আমরা আশাকরি।
মাঠ দিবসে ব্রির বিজ্ঞানীগন উক্ত ইউনিয়নে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের আশা প্রকাশ করেন এবং সে লক্ষ্যে এলাকার কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধান চাষের সকল ধরনের সুবিধা দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক : 























