বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের শূণ্যরেখায় স্থলমাইন বিস্ফোরণে হাত-পা উড়ে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। বিশেষ করে চোরাকারবারের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে মিয়ানমার যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি বাসিন্দারা পঙ্গুত্ব বরণ করেছে অহরহ।
তবে রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুরে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের মেদাই এলাকায় এক মাইন বিস্ফোরণে রকি আলম (২৬) নামে রোহিঙ্গা যুবক গুরুত্বর আহত হয়েছে।
আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা নাগরিকেরা প্রথমে উখিয়া আশ্রয়শিবিরের হাসপাতালে নেন। সেখান থেকে তাঁকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জনায়- বিস্ফোরণে রকি আলমের বাঁ পা, বাঁ হাতসহ শরীরের বাঁ দিকের অংশ গুরুতর জখম হয়েছে। রকি কক্সবাজারের উখিয়া আশ্রয়শিবিরের ১৭ নম্বর ক্যাম্পের মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে।
জানতে চাইলে বিজিবি ৩৪ কক্সবাজারের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল আলম বলেন, রোহিঙ্গা যুবকটি মিয়ানমারের ভেতরে মাইন বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন। পরে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে চিকিৎসা সেবার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত একাধিকবার স্থলমাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে একাধিক রোহিঙ্গা নাগরিকসহ ১৪ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের ২৭১ কিলোমিটার স্থল সীমান্তের পুরোটাই এখন মিয়ানামারে অংশে আরাকান আর্মির দখলে রয়েছে।