মহেশখালীতে নলকূপ বসাতে গিয়ে তীব্র গতিতে বেরিয়ে আসছে গ্যাস নিঃসরণ। প্রথমদিকে অগ্নিকাণ্ড সৃষ্টের আশংকা থাকলেও তা নিয়ন্ত্রণ করা গেছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) উপজেলার ছোট মহেশখালী মুহাম্মদপুর তেলিপাড়া নামক এলাকার বসতবাড়িতে নলকূপ বসাতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে।
পাম্প অপারেটর নুরুল কবির টিটিএন কে জানায়, গভীর নলকূপ বসাতে গিয়ে পাম্পের সাহায্যে ১৭৪ ফুট গভীরে যাওয়ার পর তীব্র গতিতে বাতাস বেরিয়ে আসে। এতে আগুন লাগে নলকূপ স্থাপনের খুঁটিতে। পরে তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এই বিষয়ে তারা মহেশখালী ফায়ারসার্ভিসকে অবগত করেছেন।
মহেশখালী ফায়ারসার্ভিসের অফিসার ইন-চার্জ রামপ্রসাদ দাশ জানান, “গ্যাস নির্গত হওয়ার তথ্য পেয়েছি তবে অনুমতি না পাওয়ায় ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়নি। নিঃসরিত বাতাসে গ্যাস রয়েছে কী না এই বিষয়ে নিশ্চিত নয় বলে জানান এই কর্মকর্তা।”
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হেদায়েত উল্যাহ্ জানান, ছোট মহেশখালীতে নলকূপ বসাতে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি খবর পেয়েছেন। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে তিঁনি জানান, সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানিয়েছে এটি পকেট গ্যাস। কয়েকঘন্টা পর এটি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষজ্ঞের মতে সাধারণত ডোবা, খাল ভরাট জায়গায় এই ধরনের গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। সাগর উপকূল এলাকায় এমন গ্যাসের সন্ধান মিলে। গ্যাস নির্গতের গতি কম বেশি হয়ে থাকে, তবে এতে ঝুঁকির কিছু নেই।
এর আগে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে একই ইউনিয়নের সিপাহির পাড়া এলাকায় নলকূপ বসাতে গিয়ে এমন গ্যাসের সন্ধান মিলে। পরে বিশেষজ্ঞ টিম নিশ্চিত হয় সেটি ছিল পকেট গ্যাস যার নিঃসরণ কয়েকদিন পর স্বাভাবিক হয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে ওই এলাকা সাগর উপকূল হওয়ায় নলকূপ বসাতে গিয়ে বার বার এই ঘটনা ঘটছে।