ঢাকা ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফে মানব পাচারে ‘জিরো টলারেন্স’ বলছে বিজিবি পালংখালী জামায়াতের কর্মী সমাবেশে জেলা আমীর আনোয়ারী-ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দাঁড়ি পাল্লার বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ হোন টেকনাফে ১৪ মামলার পলাতক আসামী মুন্না র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার বিএফইউজে’র নির্বাহী পরিষদের সভায় সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র কমিটি অনুমোদন কক্সবাজার সৈকতে ‘লোক সমুদ্র’ ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ বাস্তবায়নে কক্সবাজারে ৫টি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন নৌবাহিনীর নারী নেতৃত্বকে জাতির গৌরব বললেন লুৎফুর রহমান কাজল কুতুবদিয়া প্রেসক্লাবের সভায় বক্তারা: ‎কুতুবদিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নে পর্যটনের বিকল্প নেই ‎ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আস্থা গড়ার বদলে চাপ সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ চৌফলদন্ডীর আমজাদ হত্যার আসামী ছৈয়দ নুর গ্রেফতার সমুদ্রবন্দর থেকে নামল সতর্ক সংকেত রোহিঙ্গা সংকটে জাতিসংঘের দ্বৈত ন্যারেটিভ: কেন এই দ্বন্দ্ব? উখিয়া হাসপাতালের ২ টন ময়লা অপসারণ করলো বিডি ক্লিন টিম মাতারবাড়িতে শ্রমিক দলের সভাপতি মামুনের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন মধ্যরাতে ইডেন গার্ডেনের ‘ছাদ থেকে পড়ে’ যুবকের মৃত্যু!

ভারি বর্ষনে রোহিঙ্গা শিবিরে ৫৩ ভূমিধস ও নিহত এক আহত ১১

চলমান প্রবল বৃষ্টিপাতে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে হতাহতসহ ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক কমিশন ইউএনএইচসিআর।

সোমবার বিকেলে সংস্থাটির পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মাত্র দুই দিনের ভারী বর্ষণে ৩৩টি শিবিরে ৫৩টি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। একইসঙ্গে বন্যা ও ঝড়ো হাওয়ায় এক হাজার চারশোর বেশি আশ্রয়স্থল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। দেওয়াল ধসে একজন প্রাণ হারিয়েছেন ও বজ্রপাতে আহত হয়েছেন এগারো জন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইউএনএইচসিআর অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিনিধি জুলিয়েট মুরেকেইসনি বলেন, “খাড়া ঢালু জায়গা, বন্যা এবং অস্থায়ী আশ্রয় মিলিয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এই এলাকায় বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, আর ঝড়ো হাওয়ায় বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে তৈরি ঘরগুলোকে আরও দুর্বল করে তুলছে।”

তিনি আরও বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে এবং কমিউনাল সেন্টারগুলোতে স্থানান্তরে শরণার্থী স্বেচ্ছাসেবকরা সহায়তা করছেন। কিন্তু শেল্টারের জন্য আমাদের আরও জায়গা দরকার।”

সংস্থাটি জানায়, বর্ষার আগেই ক্যাম্পগুলোতে আশ্রয়ের সংকট ছিল। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মিয়ানমার থেকে নতুন করে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কারণে সংকট আরও বেড়েছে। কেউ কেউ আত্মীয়দের সঙ্গে থাকছেন যাদের ঘরও সুরক্ষিত নয়।

মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত বর্ষা চলবে বলে সতর্ক করে ইউএনএইচসিআর জানায়, ঘুমানোর ম্যাট, পানিশোধন ট্যাবলেট, দড়ি ও জেরিক্যানের মতো জরুরি উপকরণ মজুত রাখা হচ্ছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবকরা উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তায় প্রস্তুত রয়েছেন।

তবে অর্থ সংকটে এই প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে জানিয়ে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস বলেন, রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণ এমন এলাকায় বাস করছেন যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি সবসময় থাকে।

২০২৫ সালের জন্য রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের সহায়তায় ৯৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার তহবিল চেয়েছে মানবিক সংস্থাগুলো। তবে বছরের অর্ধেক পার হলেও এখনও ২০ শতাংশেরও কম অর্থায়ন মিলেছে বলে জানান লুইস।

তিনি বলেন, আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করব কিন্তু এই কঠিন সময়ে রোহিঙ্গাদের অবহেলা করতে পারি না, এই সংকটাপন্ন জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াতে আমরা দাতাদের জরুরি সহায়তার আহ্বান জানাই।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফে মানব পাচারে ‘জিরো টলারেন্স’ বলছে বিজিবি

This will close in 6 seconds

ভারি বর্ষনে রোহিঙ্গা শিবিরে ৫৩ ভূমিধস ও নিহত এক আহত ১১

আপডেট সময় : ০৮:২৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

চলমান প্রবল বৃষ্টিপাতে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে হতাহতসহ ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক কমিশন ইউএনএইচসিআর।

সোমবার বিকেলে সংস্থাটির পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মাত্র দুই দিনের ভারী বর্ষণে ৩৩টি শিবিরে ৫৩টি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। একইসঙ্গে বন্যা ও ঝড়ো হাওয়ায় এক হাজার চারশোর বেশি আশ্রয়স্থল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। দেওয়াল ধসে একজন প্রাণ হারিয়েছেন ও বজ্রপাতে আহত হয়েছেন এগারো জন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইউএনএইচসিআর অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিনিধি জুলিয়েট মুরেকেইসনি বলেন, “খাড়া ঢালু জায়গা, বন্যা এবং অস্থায়ী আশ্রয় মিলিয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এই এলাকায় বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, আর ঝড়ো হাওয়ায় বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে তৈরি ঘরগুলোকে আরও দুর্বল করে তুলছে।”

তিনি আরও বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে এবং কমিউনাল সেন্টারগুলোতে স্থানান্তরে শরণার্থী স্বেচ্ছাসেবকরা সহায়তা করছেন। কিন্তু শেল্টারের জন্য আমাদের আরও জায়গা দরকার।”

সংস্থাটি জানায়, বর্ষার আগেই ক্যাম্পগুলোতে আশ্রয়ের সংকট ছিল। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মিয়ানমার থেকে নতুন করে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কারণে সংকট আরও বেড়েছে। কেউ কেউ আত্মীয়দের সঙ্গে থাকছেন যাদের ঘরও সুরক্ষিত নয়।

মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত বর্ষা চলবে বলে সতর্ক করে ইউএনএইচসিআর জানায়, ঘুমানোর ম্যাট, পানিশোধন ট্যাবলেট, দড়ি ও জেরিক্যানের মতো জরুরি উপকরণ মজুত রাখা হচ্ছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবকরা উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তায় প্রস্তুত রয়েছেন।

তবে অর্থ সংকটে এই প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে জানিয়ে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস বলেন, রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণ এমন এলাকায় বাস করছেন যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি সবসময় থাকে।

২০২৫ সালের জন্য রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের সহায়তায় ৯৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার তহবিল চেয়েছে মানবিক সংস্থাগুলো। তবে বছরের অর্ধেক পার হলেও এখনও ২০ শতাংশেরও কম অর্থায়ন মিলেছে বলে জানান লুইস।

তিনি বলেন, আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করব কিন্তু এই কঠিন সময়ে রোহিঙ্গাদের অবহেলা করতে পারি না, এই সংকটাপন্ন জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াতে আমরা দাতাদের জরুরি সহায়তার আহ্বান জানাই।