সাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপ আকারে টাঙ্গাইল ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে শুক্রবারও কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস বলছে, স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত আছে। তাই চারটি সমুদ্র বন্দরেই তিন নম্বর এবং নদী বন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান ঝড়-বৃষ্টির বিষয়ে বলেন,শুক্রবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় মোট বৃষ্টিপাতের পরিমান ১৫২ মিলিমিটার। সমুদ্রের কাছাকাছি জায়গায় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ৪৫ কিলোমিটার। যা আরও বেড়ে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
তিনি আরও বলেন স্থল নিম্নচাপটি দূর্বল হয়ে গেলেও এর প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টি আরও দুইদিন থাকতে পারে। কক্সবাজারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।ফলে পাহাড়ী এলাকায় পাহাড় ধস ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কার কথাও জানান তিনি।
এদিকে আবহাওয়ার সর্বশেষ সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সাতক্ষীরা ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থিত গভীর স্থল নিম্নচাপটি উত্তর বা উত্তরপূর্ব দিকে সরে গিয়ে বর্তমানে স্থল নিম্নচাপ আকারে শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইল ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর বা উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝড়িয়ে ক্রমশ দুর্বল হতে পারে।
বার্তায় আরও বলা হয়, স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের উপকূলীয় অঞ্চলে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে এবং বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরগুলো, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে।
ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
অপরদিকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর উপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ,বিআইডব্লিউটিএর নির্দেশনা মতে বৈরী আবহাওয়ার কারণে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ রয়েছে কক্সবাজার-মহেশখালী নৌরুটে যান চলাচলও।ঘাট সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সকাল থেকে ঘাটে যাত্রী আসলেও তাদেরকে ঝড়-বৃষ্টির কথা বুঝিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।নৌ পরিবহন থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত স্পিডবোট ও সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে বলেও জানানো হয়।