ঢাকা ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সেনাবাহিনীর অভিযান: গোলদীঘি এলাকা থেকে ২০০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার, আটক ৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু-করোনা প্রতিরোধে মাউশির বিশেষ নির্দেশনা উখিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাহিন রেজুখালের ভাঙ্গন রোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি পেকুয়ার শিক্ষক আরিফ হত্যা মামলার আসামি মুকা গ্রেফতার বহিস্কৃত সেনাসদস্যসহ আটক তিন যারা খেলে খেলুক, আমরা শুধু রেফারি হয়ে কাজ করব: সিইসি করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৬ ইঞ্জিন বিকল হয়ে মাঝপথে থেমে গেল কক্সবাজার এক্সপ্রেস কক্সবাজারের হোটেল থেকে ৪৮ তরুণ-তরুণী আটক কক্সবাজারে ঝুম বৃষ্টি নামতে পারে কাল থেকে বিশ্ব বাবা দিবস আজ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি রয়েছে কক্সবাজারে চিত্রকর্ম প্রদর্শনী “আন্তঃযোগ” সাংবাদিক সংসদের ঈদ পুনর্মিলনীতে অধ্যক্ষ আকতার-সাংবাদিকতার ভিত্তি হলো নিরপেক্ষতা
র‍্যাব পরিচয়ে রোহিঙ্গা অপহরণ

বহিস্কৃত সেনাসদস্যসহ আটক তিন

টেকনাফে র‍্যাব পরিচয়ে অপহরনের ৭২ ঘন্টা পর অপহৃত এক রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। র‍্যাব জানিয়েছে, উদ্ধার ভুক্তভোগী উখিয়া আশ্রয় শিবিরের ১৫ নম্বর ক্যাম্পের রহিমুল্লাহর ছেলে মো. হাফিজউল্লাহ।

একইসাথে এর আগে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে ২০১৯ সালে বহিষ্কৃত সৈনিক সুমন মুন্সীসহ তিনজনকে অস্ত্রসহ আটকের তথ্য দিয়েছে র‍্যাব।

রবিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব ১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল কামরুল হাসান দাবী করেন, আটক সুমন মুন্সীর নামে বিভিন্ন থানায় ১১ টি মামলা রয়েছে। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলার রাজপাট ইউনিয়নের ডুমরাকান্দি গ্রামের আকবর আলী মুন্সির ছেলে।

র‍্যাবের দাবী, ১১ জুন রাত ১১  টায় ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে হাফিজ উল্লাহকে র‍্যাব পরিচয়ে অপহরণ করে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। রোহিঙ্গা এনায়েত উল্লাহ ও নবী হোসেনের সহয়তায় ভুক্তভোগীকে বাসা থেকে ডেকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী গহীন পাহাড়ে নিয়ে যায় চক্রটি। পরে অপহৃতের পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপন চায় অপহরনকারীরা।

র‍্যাব-১৫ অধিনায়ক বলেন, এরই প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার বিকালে র‍্যাবের একটি দল রঙ্গিখালীতে অপহরণের অন্যতম প্রধান হোতা ডাকাত সর্দার শাহ আলমের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় আফ্রিদি ও আব্দুল গফুর নামে দুজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয় । পরে শনিবার বিকেলে উখিয়ার মরিচ্যা বাজার থেকে বরখাস্ত সেনা সদস্য সুমন মুন্সিকে আটক করে র‍্যাব।

পরে সুমনের মাধ্যমে অপহরণকারী ডাকাত শাহ আলম, সন্ত্রাসী রাকিব এবং সন্ত্রাসী শিকদারকে অপহৃত হাফিজ উল্লাহকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বার্তা পাঠানো হয়। কিন্তু এমন আহবানে সাড়া না দেয়ায় রবিবার র‍্যাব, বিজিবি, পুলিশ, এপিবিএন ও বনবিভাগের ২৫৬ জন সদস্য গহীন পাহাড়ে অভিযানে নামে।

লে. কর্ণেল কামরুল হাসান বলেন, “এক পর্যায়ে অপহরণের ৭২ ঘন্টা পরে হাফিজ উল্লাহকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ১টি দেশীয় অস্ত্র, ৩ রাউন্ড এ্যমুনেশনসহ র‍্যাবের ইউনিফর্ম ও ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়েছে।”

ট্যাগ :

This will close in 6 seconds

র‍্যাব পরিচয়ে রোহিঙ্গা অপহরণ

বহিস্কৃত সেনাসদস্যসহ আটক তিন

আপডেট সময় : ০৮:৫৮:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

টেকনাফে র‍্যাব পরিচয়ে অপহরনের ৭২ ঘন্টা পর অপহৃত এক রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। র‍্যাব জানিয়েছে, উদ্ধার ভুক্তভোগী উখিয়া আশ্রয় শিবিরের ১৫ নম্বর ক্যাম্পের রহিমুল্লাহর ছেলে মো. হাফিজউল্লাহ।

একইসাথে এর আগে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে ২০১৯ সালে বহিষ্কৃত সৈনিক সুমন মুন্সীসহ তিনজনকে অস্ত্রসহ আটকের তথ্য দিয়েছে র‍্যাব।

রবিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব ১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল কামরুল হাসান দাবী করেন, আটক সুমন মুন্সীর নামে বিভিন্ন থানায় ১১ টি মামলা রয়েছে। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলার রাজপাট ইউনিয়নের ডুমরাকান্দি গ্রামের আকবর আলী মুন্সির ছেলে।

র‍্যাবের দাবী, ১১ জুন রাত ১১  টায় ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে হাফিজ উল্লাহকে র‍্যাব পরিচয়ে অপহরণ করে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। রোহিঙ্গা এনায়েত উল্লাহ ও নবী হোসেনের সহয়তায় ভুক্তভোগীকে বাসা থেকে ডেকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী গহীন পাহাড়ে নিয়ে যায় চক্রটি। পরে অপহৃতের পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপন চায় অপহরনকারীরা।

র‍্যাব-১৫ অধিনায়ক বলেন, এরই প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার বিকালে র‍্যাবের একটি দল রঙ্গিখালীতে অপহরণের অন্যতম প্রধান হোতা ডাকাত সর্দার শাহ আলমের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় আফ্রিদি ও আব্দুল গফুর নামে দুজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয় । পরে শনিবার বিকেলে উখিয়ার মরিচ্যা বাজার থেকে বরখাস্ত সেনা সদস্য সুমন মুন্সিকে আটক করে র‍্যাব।

পরে সুমনের মাধ্যমে অপহরণকারী ডাকাত শাহ আলম, সন্ত্রাসী রাকিব এবং সন্ত্রাসী শিকদারকে অপহৃত হাফিজ উল্লাহকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বার্তা পাঠানো হয়। কিন্তু এমন আহবানে সাড়া না দেয়ায় রবিবার র‍্যাব, বিজিবি, পুলিশ, এপিবিএন ও বনবিভাগের ২৫৬ জন সদস্য গহীন পাহাড়ে অভিযানে নামে।

লে. কর্ণেল কামরুল হাসান বলেন, “এক পর্যায়ে অপহরণের ৭২ ঘন্টা পরে হাফিজ উল্লাহকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ১টি দেশীয় অস্ত্র, ৩ রাউন্ড এ্যমুনেশনসহ র‍্যাবের ইউনিফর্ম ও ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়েছে।”