কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনারের একটি নির্দেশনা ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ নানা আলোচনা তৈরি হয়েছে।
সম্প্রতি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক বৈঠকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, মাদক-চোরাচালান বন্ধে সিলেটের পুলিশকে বিশেষ নির্দেশনার বিষয়গুলোও রয়েছে ওই চিঠিতে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী সাক্ষরিত সেই বৈঠকের নির্দেশনার সংক্রান্ত চিঠি বিবিসি বাংলা পেয়েছে।
ওই চিঠিতে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের লোকজন যাতে প্রকাশ্যে এলাকায় না থাকতে পারে সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সিলেটের থানাগুলোর ওসি ও পুলিশ বিভাগকে।
একই চিঠিতে প্রতিটি থানায় প্রতিদিন ১৫জন পুলিশ অফিসার ও ফোর্স দিয়ে অভিযান পরিচালনা করে মাদক, চোরাচালানকারীসহ ১৩জন এবং কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের কমপক্ষে দুইজনকে আটকের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রতিটি থানার ওসিদের।
মূলত এই নির্দেশনার বিষয়টি সামনে আসার পর বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা তৈরি হয়।
বিষয়টি নিয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বৈঠকের সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেছেন, “এটি আমরা উদাহরণ হিসেবে বলেছি। যদি ছয়টি থানা একজন করে গ্রেফতার করে তাহলে ছয়জন হবে, দুইজন করে গ্রেফতার করা হলে ১২জন হবে। এটা ছিল শুধুই উদাহরণ। আর কিছু না”।
গত ২৭শে সেপ্টেম্বর ওই সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টারে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে বৈঠকের নথিতে দেখা গেছে।
সুত্র: বিবিসি বাংলা