নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর থেকে অন্তত ২০ কিলোমিটার দূরের পথ জামছড়ি সীমান্ত এলাকা। এই জনপদের বেশীরভাগ মানুষ দরিদ্র।সবার পক্ষে চিকিৎসার জন্য ভালো ডাক্তার দেখানো না সুচিকিৎসা প্রায় অসম্ভব। সেই অসম্ভবকে সম্ভব করলো বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে জামছড়ি বিওপিতে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ঔষুধ বিতরণ করা হয়। বিশেষ করে সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহতদেরকে দেওয়া হয় বিশেষ চিকিৎসা। চিকিৎসা ও ঔষুধ পেয়ে খুশি স্থানীয়রা।
দিনব্যাপী ২০০ জনের অধিক স্থানীয় বাসিন্দা বিজিবির চিকিৎসা ক্যাম্প থেকে সেবা নিয়েছে। চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত বিজিবির মেডিক্যাল অফিসার মেজর আতাউর রহমান বলেন- জামছড়ি এলাকায় চর্মরোগ, বয়স্ক ও ডায়বেটিস জনিত রোগী বেশি পাওয়া গেছে।
চিকিৎসা ক্যাম্প শেষে স্থানীয়দের অংশ গ্রহনে অবৈধ সীমান্ত অতিক্রম, মাইন বিস্ফোরণ, চোরাচালান ও মাদক বিরোধী জনসচেতনা মূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ১১ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এস কে এম কপিল উদ্দিন কায়েস বলেন- সীমান্ত অতিক্রম বন্ধ করতে হবে। চোরাচালান প্রতিরোধে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে ১১ বিজিবির উপঅধিনায়ক মেজর আশিফ ইকবাল, সহকারি পরিচালক আল আমিন, সুবেদার কপিল উদ্দিন, সুবেদার মো: আব্দুল হালিম হাওলাদারসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এসময় সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে পা হারানো ৬ ব্যক্তিকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান এবং উপস্থিত সবাইকে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয় বিজিবির পক্ষ থেকে।