ঢাকা ০৩:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল: হচ্ছে সরাসরি সম্প্রচার পরিত্যক্ত পুকুরে মিললো বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুর লাশ হাই কোর্টের রায় বাতিল, এক যুগ পর নিবন্ধন ফিরে পাচ্ছে জামায়াত প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতল পিএসজি নাফ নদে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ কিশোর ফিরলো লাশ হয়ে ছি’নতা’ইকারীর ধা’ক্কা’য় মায়ের সামনে ছেলের প্রা’ণ গেলো সড়কে রামুতে অপারেশন ডেভিল হান্টে ২ আওয়ামীলীগ নেতা আটক নাফ নদে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ কিশোর ফিরলো লাশ হয়ে রেফারিজ প্রশিক্ষণ কোর্সে উত্তীর্ণ কুতুবদিয়ার নিহাল মহেশখালীতে রশিদ হ’ত্যা: আসামিদের পাল্টা মামলায় হয়রানির শিকার বাদীর পরিবার চকরিয়ায় পানিতে ডুবে ৭ বছর বয়সী রাফির মৃত্যু বৈরী আবহাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সেন্টমার্টিন: খাদ্য সংকট সি-ট্রাকে নেই ডাস্টবিন: যাত্রীরা যত্রতত্র ফেলছে প্লাস্টিক বর্জ্য সি-ট্রাকে নেই ডাস্টবিন: যাত্রীরা যত্রতত্র ফেলছে প্লাস্টিক বর্জ্য পেকুয়ায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের মাঝে সংস্কৃতি উপদেষ্টার চেক বিতরণ

জুমার দিন দরুদ শরিফ পড়ার ফজিলত

  • ধর্ম ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:২৫:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 144

জুমার দিন সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। এই দিনের ফজিলত অনেক বেশি। ইতিহাসে এই দিন অনেক বড় বড় ঘটনাও ঘটেছে। এই দিনের কিছুর আমল অনেক সওয়াব ও ফজিলতের। তন্মধ্যে দরুদ শরিফ পাঠ অন্যতম।

মহানবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পড়ে, আল্লাহ তায়ালা তার ওপর দশবার রহমত বর্ষণ করেন।’ (সহিহ মুসলিম)।

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলার প্রিয় হাবিব রাসুল (সা.)-এর ওপর দরুদ পড়তে স্বয়ং আল্লাহ নির্দেশ দেন। পবিত্র কোরআনুল কারিমে বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি (আল্লাহ) স্বয়ং এবং আমার ফেরেস্তারা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওপর দরুদ পাঠ পূর্বক সালাম প্রেরণ করিয়া থাকি; হে মুমিনরা! তোমরাও তাঁহার ওপর দরুদ পাঠ কর এবং সালাম প্রেরণ কর।’ (সুরা আহজাব, আয়াত: ৫৬)

রাসূলুল্লাহ (সা.) এর প্রতি মুহব্বত নিয়ে দরুদ পাঠ করা উত্তম ইবাদত। এছাড়াও দরুদ শরিফ পাঠ করলে সহজে দোয়া কবুল হয়ে যায়। রাসুল (সা.) নিজেও দরুদ পাঠ করার জন্য তার উম্মতদের বলেছেন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পড়ে, আল্লাহ তায়ালা তার ওপর দশবার রহমত বর্ষণ করেন।’ (মুসলিম, হাদি : ৩৮৪; তিরমিজি, হাদিস : ৩৬১৪)

জুমার দিনে দরুদ পাঠের বিশেষ ফজিলত

শুক্রবার তথা জুমার দিন দরুদ পাঠের রয়েছে বিশেষ ফজিলত। আওস ইবনে আউস (রা.) থেকে বর্ণিত, একটি হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই জুমার দিন শ্রেষ্ঠতম দিনগুলোর অন্যতম। … সুতরাং সেদিন তোমরা আমার ওপর বেশি বেশি দরূদ পড়। নিশ্চয় তোমাদের দরুদ আমার কাছে পেশ করা হয়। … (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৭; মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৬১৬২; সহিহ ইবনে হিববান, হাদিস : ৯১০, হাদিসটি সহিহ)

অন্য হাদিসে আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা জুমার রাত ও জুমার দিনে আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ কর। যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পাঠ করে আল্লাহ তায়ালা তার ওপর দশবার রহমত নাজিল করেন। (আসসুনানুল কুবরা, বায়হাকি : ৩/২৪৯; ফাযাইলুল আওকাত, বায়হাকি : ২৭৭; আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, ইবনুস সুন্নি : ৩৭৯, এর সনদ হাসান পর্যায়ের)

‘অন্য আরেক হাদিসে আছে, ‘প্রত্যেক জুমার দিনে তোমরা আমার ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ কর। কারণ আমার উম্মতের দরুদ প্রতি জুমার দিন আমার কাছে পেশ করা হয়। আর তাদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি আমার ওপর সবচে বেশি দরুদ পাঠ করে সে অন্যদের তুলায় আমার বেশি নিকটবর্তী। (সুনানে বায়হাকি : ৩/২৪৯ সনদটি হাসান)।

সালাতের মধ্যে দরুদে ইব্রাহিম পাঠ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। দরুদে ইব্রাহিম বেশ ফজিলতপূর্ণ। পাঁচ ওয়াক্ত সালাতে এই দরুদ পড়া হয়। সালাত ছাড়াও অন্যান্য যেকোনো সময় এই দরুদ শরিফ পাঠে রয়েছে মুস্তাহাব সাওয়াব।

দরুদে ইব্রাহিম আরবি-বাংলা উচ্চারণসহ

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌاللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيد

বাংলায় উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা সাল্লেআ’লা মোহাম্মদাও ও আ’লা আলি মোহাম্মদ, কামা সাল্লাইতা আ’লা ইব্রাহিমা ও আ’লা আলি ইব্রাহিম, ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আ’লা মোহাম্মাদেওঁ ও আ’লা আলি মোহাম্মদ, কামা বারকতা আ’লা ইব্রাহিমা ও আ’লা আলি ইব্রাহিম, ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ

অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (সা.) এবং তাঁর বংশধরদের ওপর এই রূপ রহমত নাজিল করো, যেমনটি করেছিলে ইব্রাহিম ও তার বংশধরদের ওপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানীয়। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (সা.) এবং তার বংশধরদের ওপর বরকত নাজিল করো, যেমন বরকত নাজিল করেছিলে ইব্রাহিম ও তার বংশধরদের ওপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানীয়।

আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক মুসললিমকে নবী করিম (সা.)-এর প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠের তওফিক দান করুন। আমিন

ট্যাগ :

শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল: হচ্ছে সরাসরি সম্প্রচার

This will close in 6 seconds

জুমার দিন দরুদ শরিফ পড়ার ফজিলত

আপডেট সময় : ০৬:২৫:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

জুমার দিন সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। এই দিনের ফজিলত অনেক বেশি। ইতিহাসে এই দিন অনেক বড় বড় ঘটনাও ঘটেছে। এই দিনের কিছুর আমল অনেক সওয়াব ও ফজিলতের। তন্মধ্যে দরুদ শরিফ পাঠ অন্যতম।

মহানবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পড়ে, আল্লাহ তায়ালা তার ওপর দশবার রহমত বর্ষণ করেন।’ (সহিহ মুসলিম)।

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলার প্রিয় হাবিব রাসুল (সা.)-এর ওপর দরুদ পড়তে স্বয়ং আল্লাহ নির্দেশ দেন। পবিত্র কোরআনুল কারিমে বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি (আল্লাহ) স্বয়ং এবং আমার ফেরেস্তারা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওপর দরুদ পাঠ পূর্বক সালাম প্রেরণ করিয়া থাকি; হে মুমিনরা! তোমরাও তাঁহার ওপর দরুদ পাঠ কর এবং সালাম প্রেরণ কর।’ (সুরা আহজাব, আয়াত: ৫৬)

রাসূলুল্লাহ (সা.) এর প্রতি মুহব্বত নিয়ে দরুদ পাঠ করা উত্তম ইবাদত। এছাড়াও দরুদ শরিফ পাঠ করলে সহজে দোয়া কবুল হয়ে যায়। রাসুল (সা.) নিজেও দরুদ পাঠ করার জন্য তার উম্মতদের বলেছেন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পড়ে, আল্লাহ তায়ালা তার ওপর দশবার রহমত বর্ষণ করেন।’ (মুসলিম, হাদি : ৩৮৪; তিরমিজি, হাদিস : ৩৬১৪)

জুমার দিনে দরুদ পাঠের বিশেষ ফজিলত

শুক্রবার তথা জুমার দিন দরুদ পাঠের রয়েছে বিশেষ ফজিলত। আওস ইবনে আউস (রা.) থেকে বর্ণিত, একটি হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই জুমার দিন শ্রেষ্ঠতম দিনগুলোর অন্যতম। … সুতরাং সেদিন তোমরা আমার ওপর বেশি বেশি দরূদ পড়। নিশ্চয় তোমাদের দরুদ আমার কাছে পেশ করা হয়। … (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৭; মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৬১৬২; সহিহ ইবনে হিববান, হাদিস : ৯১০, হাদিসটি সহিহ)

অন্য হাদিসে আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা জুমার রাত ও জুমার দিনে আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ কর। যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পাঠ করে আল্লাহ তায়ালা তার ওপর দশবার রহমত নাজিল করেন। (আসসুনানুল কুবরা, বায়হাকি : ৩/২৪৯; ফাযাইলুল আওকাত, বায়হাকি : ২৭৭; আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, ইবনুস সুন্নি : ৩৭৯, এর সনদ হাসান পর্যায়ের)

‘অন্য আরেক হাদিসে আছে, ‘প্রত্যেক জুমার দিনে তোমরা আমার ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ কর। কারণ আমার উম্মতের দরুদ প্রতি জুমার দিন আমার কাছে পেশ করা হয়। আর তাদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি আমার ওপর সবচে বেশি দরুদ পাঠ করে সে অন্যদের তুলায় আমার বেশি নিকটবর্তী। (সুনানে বায়হাকি : ৩/২৪৯ সনদটি হাসান)।

সালাতের মধ্যে দরুদে ইব্রাহিম পাঠ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। দরুদে ইব্রাহিম বেশ ফজিলতপূর্ণ। পাঁচ ওয়াক্ত সালাতে এই দরুদ পড়া হয়। সালাত ছাড়াও অন্যান্য যেকোনো সময় এই দরুদ শরিফ পাঠে রয়েছে মুস্তাহাব সাওয়াব।

দরুদে ইব্রাহিম আরবি-বাংলা উচ্চারণসহ

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌاللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيد

বাংলায় উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা সাল্লেআ’লা মোহাম্মদাও ও আ’লা আলি মোহাম্মদ, কামা সাল্লাইতা আ’লা ইব্রাহিমা ও আ’লা আলি ইব্রাহিম, ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আ’লা মোহাম্মাদেওঁ ও আ’লা আলি মোহাম্মদ, কামা বারকতা আ’লা ইব্রাহিমা ও আ’লা আলি ইব্রাহিম, ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ

অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (সা.) এবং তাঁর বংশধরদের ওপর এই রূপ রহমত নাজিল করো, যেমনটি করেছিলে ইব্রাহিম ও তার বংশধরদের ওপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানীয়। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (সা.) এবং তার বংশধরদের ওপর বরকত নাজিল করো, যেমন বরকত নাজিল করেছিলে ইব্রাহিম ও তার বংশধরদের ওপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানীয়।

আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক মুসললিমকে নবী করিম (সা.)-এর প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠের তওফিক দান করুন। আমিন