ঢাকা ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেল ঘোষণা চ্যালেঞ্জিং হলেও সুস্থ-সবল প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা জিনিয়াসহ আটকরা এখনো থানায় জুলাই আন্দোলনের নেতা জিনিয়াসহ আটকদের মুক্তি দাবী ও শিক্ষকদের আন্দোলনে উদীচীর সংহতি দশদিন পর আবারো ঘুমধুম সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ, কি হচ্ছে ওপারে? টেকনাফে এসে অপহরণের শিকার সেন্টমার্টিনের যুবক: ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি স্বাধীনতাবিরোধী ও সরকারসৃষ্ট দল দুটি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়: হাফিজ উদ্দিন বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমানায় মাসব্যাপী জরিপ করবে নরওয়ে জুলাই সনদকে সংবিধানের ওপর প্রাধান্য দিলে ‘খারাপ নজির’ সৃষ্টি হবে: সালাহউদ্দিন আহমেদ দেশের মানুষ এখন সেনাসদস্যদের দিকে তাকিয়ে আছে: সেনাপ্রধান যুবকের জরিমানাসহ ৭ বছরের কারাদণ্ড বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি অংশে জরিপে নামছে নরওয়ের গবেষণা জাহাজ আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন করতে ৪ মিলিয়ন ইউরো দেবে ইইউ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হলেন ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, এরপর আমরা বিদায় নেব : আসিফ নজরুল

কলেরার প্রকোপ কমাতে টিকা কার্যক্রম শুরু, দেওয়া হচ্ছে সাড়ে ১৩ লাখ টিকা

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির এবং আশপাশের এলাকায় কলেরা রোগের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় শুরু হয়েছে টিকা কার্যক্রম।

রবিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘ওরাল ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন’ উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম সাইফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘ সাম্প্রতিক সময়ে কলেরার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় আন্তর্জাতিক দাতা গোষ্ঠী সহ অংশীজনদের সহযোগিতায় বৃহৎ এই ক্যাম্পেইনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘

কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির, উখিয়া উপজেলার পাঁচ ইউনিয়ন, টেকনাফের হোয়াইক্যং ও হ্নীলা, রামুর খুনিয়া পালং ইউনিয়নের ৪ থেকে ৯ নম্বর ওয়ার্ড এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ থেকে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ১৩ লাখ ৫৬ হাজার ৫১৪ জন রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে খাওয়ানো হবে ওরাল কলেরা ভ্যাকসিন। যাদের মধ্যে রোহিঙ্গা ৯ লাখ ৪৮ হাজার ৫১৭ জন ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী ৪ লাখ ৭ হাজার ৯৯৭ জন।

২১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই ক্যাম্পেইনে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে ১ হাজার ৬০৫টি দলে বিভক্ত হয়ে ৩ হাজার ২১০ জন স্বেচ্ছাসেবী বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন খাওয়াবেন। পাশাপাশি স্থানীয় বাংলাদেশিদের জন্য ২৭২টি দলের ৭৪৪ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রতিদিন ৩০০ জনকে টিকা দেবেন।

কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. টিটু চন্দ্র শীল জানান, ‘জেলায় এখন পর্যন্ত কলেরা শনাক্ত হওয়া রোগীদের কেউ মারা যায়নি, সবাই সুস্থ আছে।’

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফয়সাল মাহমুদ বলেন, ইউভিকল এবং ইউভিকল প্লাস নামের মুখে খাওয়ার এই টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এক বছরের বেশি বয়সী সবাইকে এই টিকা দেওয়া সম্ভব। তবে গর্ভবতী নারী ও গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হবে না।

কারও কারও এই টিকা খাওয়ার পর অল্প অল্প বমিভাব, পেটব্যাথা, ডায়রিয়াসহ অন্য সমস্যা হতে পারে, তবে তা দ্রুত সেরে যাবে বলে জানান তিনি।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেল ঘোষণা

This will close in 6 seconds

কলেরার প্রকোপ কমাতে টিকা কার্যক্রম শুরু, দেওয়া হচ্ছে সাড়ে ১৩ লাখ টিকা

আপডেট সময় : ০২:২৭:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির এবং আশপাশের এলাকায় কলেরা রোগের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় শুরু হয়েছে টিকা কার্যক্রম।

রবিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘ওরাল ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন’ উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম সাইফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘ সাম্প্রতিক সময়ে কলেরার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় আন্তর্জাতিক দাতা গোষ্ঠী সহ অংশীজনদের সহযোগিতায় বৃহৎ এই ক্যাম্পেইনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘

কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির, উখিয়া উপজেলার পাঁচ ইউনিয়ন, টেকনাফের হোয়াইক্যং ও হ্নীলা, রামুর খুনিয়া পালং ইউনিয়নের ৪ থেকে ৯ নম্বর ওয়ার্ড এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ থেকে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ১৩ লাখ ৫৬ হাজার ৫১৪ জন রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে খাওয়ানো হবে ওরাল কলেরা ভ্যাকসিন। যাদের মধ্যে রোহিঙ্গা ৯ লাখ ৪৮ হাজার ৫১৭ জন ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী ৪ লাখ ৭ হাজার ৯৯৭ জন।

২১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই ক্যাম্পেইনে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে ১ হাজার ৬০৫টি দলে বিভক্ত হয়ে ৩ হাজার ২১০ জন স্বেচ্ছাসেবী বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন খাওয়াবেন। পাশাপাশি স্থানীয় বাংলাদেশিদের জন্য ২৭২টি দলের ৭৪৪ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রতিদিন ৩০০ জনকে টিকা দেবেন।

কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. টিটু চন্দ্র শীল জানান, ‘জেলায় এখন পর্যন্ত কলেরা শনাক্ত হওয়া রোগীদের কেউ মারা যায়নি, সবাই সুস্থ আছে।’

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফয়সাল মাহমুদ বলেন, ইউভিকল এবং ইউভিকল প্লাস নামের মুখে খাওয়ার এই টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এক বছরের বেশি বয়সী সবাইকে এই টিকা দেওয়া সম্ভব। তবে গর্ভবতী নারী ও গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হবে না।

কারও কারও এই টিকা খাওয়ার পর অল্প অল্প বমিভাব, পেটব্যাথা, ডায়রিয়াসহ অন্য সমস্যা হতে পারে, তবে তা দ্রুত সেরে যাবে বলে জানান তিনি।