ঢাকা ০৯:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণা অনেকের পছন্দ হয়নি: মির্জা ফখরুল কক্সবাজারে ৩ নং সতর্ক সংকেত: উপকূলীয় এলাকায় দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস “কক্সবাজারে ম্যালেরিয়া সংক্রমণ বৃদ্ধি: জনস্বাস্থ্যের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ” আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে সশস্ত্র রোহিঙ্গারা: ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদন সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম ৭ মামলায় ১৮ দিনের রিমান্ডে চট্টগ্রামের বাঙ্কার সাপ্লাইয়ার্স এসোসিয়েশনের নেতৃত্বে আব্দুল মান্নান ও জাকির দুই প্রতিবন্ধীর বিয়ে দিলেন সেচ্ছাসেবকদল নেতা ফাত্রাঝিড়ি ঝর্ণা দেখতে গিয়ে স্রোতে ভেসে কিশোর নিখোঁজ কোভিড নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সভায় ৪ নির্দেশনা টেকনাফে ১ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করলো বিজিবি: পালালো পাচারকারী জামায়াত কেন আসেনি, মন্তব্য করবে কমিশন: সালাহউদ্দিন ৫ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করা বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন কক্সবাজারের ১২৬ টি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশ জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত কক্সবাজারসহ চার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত

কক্সবাজার সিটি কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগের বিরুদ্ধে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ প্রতিবেদন, নতুন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ

কক্সবাজার সিটি কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এস এম আকতার উদ্দিন চৌধুরীর নিয়োগের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের একটি অংশ পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন। তারা নানা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। গুটিকয়েক শিক্ষক ইতোমধ্যে ‘ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ অবৈধ’ দাবি করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগের আলোকে ১৯ মে একজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে অধিদপ্তর।

এর আগে তদন্ত কর্মকর্তা যে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন তা রাজনৈতিক পক্ষপাত দুষ্টু হয়েছে বলে মহাপরিচালককে লিখিত অভিযোগ করেন এস এম আকতার উদ্দিন চৌধুরী। গত ১৮ মে তিনি এই অভিযোগটি দাখিল করেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুন:তদন্ত/শুনানির জন্য উপ-পরিচালক (কলেজ -২) মুহাম্মদ নওশের আলীকে দায়িত্ব দেন মহাপরিচালক ড. আজাদ খান।
তবে পুন:তদন্ত/শুনানি কখন হবে তা এখনো জানা যায়নি।

এদিকে, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠী উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন বলে জানান এস এম আকতার উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক গত ১৬ জানুয়ারি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হই। আমার বৈধ এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে একটি পক্ষ অবস্থান নেয়।

বিগত ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট কলেজের প্রশাসনিক পটপরিবর্তনের পর এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে কক্সবাজার সিটি কলেজ। এ সময় অধ্যক্ষের অবসর পরবর্তী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠী উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অভিযোগ উত্থাপন করে যে উক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া বিধিসম্মতভাবে সম্পন্ন হয়নি।

উক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের স্মারক নং-৭জি-৮৫০(ক-৩)/২০০৫ (অংশ-১)/৫১৭/৯, তারিখঃ ১২/০২/২০২৫ খ্রিঃ অনুযায়ী জনাব ইমরান আলী, সহকারী পরিচালক (কলেজ-৪), এবং মোঃ মাঈন উদ্দিন, সহকারী পরিচালক (কলেজ-৩), একটি তদন্ত কমিটি হিসেবে ২০ শে ফেব্রুয়ারী কক্সবাজার সিটি কলেজে আগমন করেন।

এস এম আকতার উদ্দিন চৌধুরী দুঃখের সঙ্গে বলেন, তদন্ত কার্যক্রম চলাকালে উক্ত কমিটির সদস্যদ্বয়ের আচরণ পক্ষপাতদুষ্ট এবং প্রাথমিকভাবে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতাদর্শের অনুসারীদের প্রতি সহানুভূতিশীল বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়। তাঁরা শিক্ষক সমাজের একাংশের সাথে দুর্ব্যবহার করেন এবং কলেজের সামগ্রিক বাস্তবতা বিবেচনা না করেই পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং স্মারক নং-৭জি-৮৫০(ক-৩)/২০০৫ (অংশ-১)/১৬৩৯/৬ তারিখ: ১৭/০৫/২০২৫ মূলে আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ স্মারক নং: ৩৭.০০.০০০০.০৪৭.০০২.০০১.২০২১.৫১ তারিখ-০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ এর পরিপত্রের পরিপন্থী উল্লেখ করে রিপোর্ট দেয়। অথচ কক্সবাজার সিটি কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ হওয়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেসরকারী কলেজ শিক্ষকদের চাকুরীর শর্তাবলী রেগুলেশন (সংশোধিত) -২০১৯ এর ধারা ২(i), (ii), (iii) মেনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। এতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালার বিন্দুমাত্রও ব্যত্যয় ঘটেনি।

এমতাবস্থায়, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে তদন্ত কমিটি তাদের দায়িত্ব পালনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে একটি নির্দেশনা জারী করেন।

বিষয়টির প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত রিপোর্ট পুনমূল্যায়ন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) এস.এম. আকতার উদ্দিন চৌধুরী।

ট্যাগ :

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণা অনেকের পছন্দ হয়নি: মির্জা ফখরুল

This will close in 6 seconds

কক্সবাজার সিটি কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগের বিরুদ্ধে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ প্রতিবেদন, নতুন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ

আপডেট সময় : ১১:৩৮:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

কক্সবাজার সিটি কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এস এম আকতার উদ্দিন চৌধুরীর নিয়োগের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের একটি অংশ পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন। তারা নানা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। গুটিকয়েক শিক্ষক ইতোমধ্যে ‘ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ অবৈধ’ দাবি করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগের আলোকে ১৯ মে একজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে অধিদপ্তর।

এর আগে তদন্ত কর্মকর্তা যে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন তা রাজনৈতিক পক্ষপাত দুষ্টু হয়েছে বলে মহাপরিচালককে লিখিত অভিযোগ করেন এস এম আকতার উদ্দিন চৌধুরী। গত ১৮ মে তিনি এই অভিযোগটি দাখিল করেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুন:তদন্ত/শুনানির জন্য উপ-পরিচালক (কলেজ -২) মুহাম্মদ নওশের আলীকে দায়িত্ব দেন মহাপরিচালক ড. আজাদ খান।
তবে পুন:তদন্ত/শুনানি কখন হবে তা এখনো জানা যায়নি।

এদিকে, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠী উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন বলে জানান এস এম আকতার উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক গত ১৬ জানুয়ারি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হই। আমার বৈধ এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে একটি পক্ষ অবস্থান নেয়।

বিগত ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট কলেজের প্রশাসনিক পটপরিবর্তনের পর এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে কক্সবাজার সিটি কলেজ। এ সময় অধ্যক্ষের অবসর পরবর্তী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠী উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অভিযোগ উত্থাপন করে যে উক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া বিধিসম্মতভাবে সম্পন্ন হয়নি।

উক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের স্মারক নং-৭জি-৮৫০(ক-৩)/২০০৫ (অংশ-১)/৫১৭/৯, তারিখঃ ১২/০২/২০২৫ খ্রিঃ অনুযায়ী জনাব ইমরান আলী, সহকারী পরিচালক (কলেজ-৪), এবং মোঃ মাঈন উদ্দিন, সহকারী পরিচালক (কলেজ-৩), একটি তদন্ত কমিটি হিসেবে ২০ শে ফেব্রুয়ারী কক্সবাজার সিটি কলেজে আগমন করেন।

এস এম আকতার উদ্দিন চৌধুরী দুঃখের সঙ্গে বলেন, তদন্ত কার্যক্রম চলাকালে উক্ত কমিটির সদস্যদ্বয়ের আচরণ পক্ষপাতদুষ্ট এবং প্রাথমিকভাবে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতাদর্শের অনুসারীদের প্রতি সহানুভূতিশীল বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়। তাঁরা শিক্ষক সমাজের একাংশের সাথে দুর্ব্যবহার করেন এবং কলেজের সামগ্রিক বাস্তবতা বিবেচনা না করেই পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং স্মারক নং-৭জি-৮৫০(ক-৩)/২০০৫ (অংশ-১)/১৬৩৯/৬ তারিখ: ১৭/০৫/২০২৫ মূলে আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ স্মারক নং: ৩৭.০০.০০০০.০৪৭.০০২.০০১.২০২১.৫১ তারিখ-০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ এর পরিপত্রের পরিপন্থী উল্লেখ করে রিপোর্ট দেয়। অথচ কক্সবাজার সিটি কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ হওয়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেসরকারী কলেজ শিক্ষকদের চাকুরীর শর্তাবলী রেগুলেশন (সংশোধিত) -২০১৯ এর ধারা ২(i), (ii), (iii) মেনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। এতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালার বিন্দুমাত্রও ব্যত্যয় ঘটেনি।

এমতাবস্থায়, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে তদন্ত কমিটি তাদের দায়িত্ব পালনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে একটি নির্দেশনা জারী করেন।

বিষয়টির প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত রিপোর্ট পুনমূল্যায়ন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) এস.এম. আকতার উদ্দিন চৌধুরী।