কক্সবাজার সদর উপজেলার লিংক রোড এলাকা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি সাদা গাড়ীতে তুলে নিয়ে মো. ওসমান (৫৪) নামে এক ব্যক্তিকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসিয়েছে বলে দাবী করলো তার পরিবার। পরিবারের দাবী ওসমান লিংক রোড বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সাধারন সম্পাদক ও ব্যবসায়ী।
ওসমানের স্ত্রী আরেফা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, ‘মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাত ৮ টার দিকে সিএনজি চালক ইলিয়াছকে ফোন করেন। তখন তিনি খুরুশকুলে আছেন বলে জানায়। ভাড়াটা নামিয়ে দিয়ে আসবেন বলে অপেক্ষায় রাখেন। সে আসতে দেরি করায় অসুস্থ সন্তানকে নিয়ে অপেক্ষায় থাকায় বার বার ইলিয়াছকে ফোন দিচ্ছিল ওসমান। কিন্তু সাড়ে ৯ টার দিকে হঠাৎ এক ব্যক্তি তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যান। সাদা পোশাকধারী লোকজন একটি টিআরএক্স মাক্রোতে করে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে রাত দুইটার দিকে সংবাদ মাধ্যমে দেখি তাকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ সাজানো অভিযান। আমি এই অবিচারের বিচার চাই।’
ওসমানের ছেলে আব্দুল্লাহ আল জায়েস বলেন, ‘বাবা কখনো এসবের সঙ্গে জড়িত নয়। পুলিশ বাজার কমিটি নিয়ে সৃষ্ট বিরোধীয় পক্ষের যোগসাজশে আমার বাবাকে ফাঁসানো হয়েছে থেকে ওসমানকে গ্রেপ্তার করে।
অভিযোগের বিষয়ে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘অস্ত্রগুলো সিএনজি চালকের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার মুঠোফোনের তথ্যে ওসমানকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
পরিবার দাবি করছে তিনি অসুস্থ সন্তানকে হাসপাতালে নিতে তিনি সিএনজি চালককে ফোন দিচ্ছিলেন এমন প্রশ্নের উত্তরে ওসি জাহাঙ্গীর বলেন, এমনটা আমরাও শুনেছি। বিষয়টি তদন্তের বিষয়।
সিএনজি চালক কি অস্ত্রগুলো ওসমানের জন্য নিচ্ছিল এমনটা দাবি করেছিলো? উত্তরে ডিবির ওসি বলেন, বিষয়টি অধিকতর তদন্তের।