ঢাকা ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
হাতি ট্রেনে ধাক্কা দিল কেন? একদিনের ব্যবধানে আবারও বাড়লো সোনার দাম অসুস্থ বোধ করছেন খালেদা জিয়া, নেয়া হচ্ছে এভারকেয়ার হাসপাতালে দুই প্রতিবন্ধীকে মানবিক টিম কুতুবদিয়ার উদ্যোগে হুইল চেয়ার বিতরণ কক্সবাজারে পর্যটন উন্নয়নে প্রমোশনাল পরিকল্পনা কর্মশালা মাইলস্টোনে নিহতদের স্মরণে কক্সবাজারে যুব ইউনিয়ন ও ছাত্র ইউনিয়নের প্রদীপ প্রজ্বলন নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে অনুপ্রবেশ করা মিয়ানমারের ৭১ নাগরিক ফিরলো স্বদেশে এক বছর না যেতেই পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্রের লক্ষণ: প্রধান উপদেষ্টা কুতুপালংয়ে বখতিয়ার মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত শহীদদের ত্যাগ জাতির জন্য অনুপ্রেরণার উৎস- চকরিয়ায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন লামায় কটেজ থেকে পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার নিজ থেকে পদত্যাগের ইচ্ছা নেই, সরকার বললে চলে যাবো: শিক্ষা উপদেষ্টা বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুলের নতুন নামকরণ হতাহতদের পরিবারকে ১০ লাখ করে ক্ষতিপূরণ দিতে রিট মহেশখালীতে আওয়ামী লীগের ৯ নেতাকর্মী আটক

কক্সবাজারে কেউ মানছে না নিষেধাজ্ঞা, পটকার শব্দে কম্পিত সৈকত

  • নোমান অরুপ
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৪:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 613

ইংরেজি নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ করেছিল সরকার। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন এলাকায় চলছে পটকা ফোটানোর উৎসব।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে পুরো বিচ জুড়ে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো শুরু করে পর্যটকরা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর মাত্রা আরও বাড়তে থাকে। রাত ১২টা বাজতে না বাজতেই সৈকত জুড়ে বিরামহীন পটকার শব্দে যেন কম্পিত হয়ে ওঠে পরিবেশ।

সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা, লাবণী রাত ১১টা থেকেই আতশবাজি ও পটকার আওয়াজ শুরু হয়। ১২ বাজতেই বিকট শব্দে চারপাশ প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।

এসব এলাকায় নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে উল্লাস শুরু করে। আতশবাজির ঝলকানিতে চারপাশ আলোকিত হয়ে ওঠে। এসব দৃশ্য ফোনে ধারণ করেছিলেন অনেকে।

ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো এবং ফানুস ওড়ানো বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থা থেকে দফায় দফায় নিষেধ করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়। সারাদেশে উন্মুক্ত স্থান, পার্কে আতশবাজি, পটকা ফোটানো বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, আতশবাজি ও পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ থাকলেও সেগুলোর প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রশাসনের কোনও তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। পুলিশের টহলও তেমন দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন শহরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। ফলে নির্বিচারে এলাকাগুলোতে পটকা ও আতশবাজি ফোটানো হচ্ছে।

এদিকে সাধারণ মানুষ এই অতিরিক্ত শব্দের কারণে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক এবং অসুস্থ ব্যক্তিরা এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

পর্যটকরা জানান,  এ পর্যন্ত অনেকে আতশবাজি ও শ খানেক পটকার আওয়াজ পেয়েছি। স্থির হয়ে বসা যাচ্ছে না। ১২টা বাজলে এটা আরও বেড়েছে।

সাধারণ মানুষের অভিযোগ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি আরও জোরদার করা উচিত ছিল।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

হাতি ট্রেনে ধাক্কা দিল কেন?

This will close in 6 seconds

কক্সবাজারে কেউ মানছে না নিষেধাজ্ঞা, পটকার শব্দে কম্পিত সৈকত

আপডেট সময় : ০৭:৪৪:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

ইংরেজি নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ করেছিল সরকার। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন এলাকায় চলছে পটকা ফোটানোর উৎসব।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে পুরো বিচ জুড়ে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো শুরু করে পর্যটকরা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর মাত্রা আরও বাড়তে থাকে। রাত ১২টা বাজতে না বাজতেই সৈকত জুড়ে বিরামহীন পটকার শব্দে যেন কম্পিত হয়ে ওঠে পরিবেশ।

সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা, লাবণী রাত ১১টা থেকেই আতশবাজি ও পটকার আওয়াজ শুরু হয়। ১২ বাজতেই বিকট শব্দে চারপাশ প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।

এসব এলাকায় নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে উল্লাস শুরু করে। আতশবাজির ঝলকানিতে চারপাশ আলোকিত হয়ে ওঠে। এসব দৃশ্য ফোনে ধারণ করেছিলেন অনেকে।

ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো এবং ফানুস ওড়ানো বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থা থেকে দফায় দফায় নিষেধ করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়। সারাদেশে উন্মুক্ত স্থান, পার্কে আতশবাজি, পটকা ফোটানো বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, আতশবাজি ও পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ থাকলেও সেগুলোর প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রশাসনের কোনও তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। পুলিশের টহলও তেমন দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন শহরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। ফলে নির্বিচারে এলাকাগুলোতে পটকা ও আতশবাজি ফোটানো হচ্ছে।

এদিকে সাধারণ মানুষ এই অতিরিক্ত শব্দের কারণে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক এবং অসুস্থ ব্যক্তিরা এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

পর্যটকরা জানান,  এ পর্যন্ত অনেকে আতশবাজি ও শ খানেক পটকার আওয়াজ পেয়েছি। স্থির হয়ে বসা যাচ্ছে না। ১২টা বাজলে এটা আরও বেড়েছে।

সাধারণ মানুষের অভিযোগ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি আরও জোরদার করা উচিত ছিল।