ঢাকা ১২:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সাবেক ছাত্রদল নেতার ওপর হামলার নিন্দা ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জেলা বিএনপি নেতা রাসেলের বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র করবে যৌথ তিনটি সামরিক মহড়া বিএনপি নেতা সৈয়দ নুর জীবনের শেষ মুহুর্তেও ছিলেন মিছিলে, রেখেছেন বক্তব্য কাউন্সিলর একরাম হত্যা মামলায় বদি’কে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ সৎ, নীতিবান ও পেশাদার অফিসাররা পদোন্নতির দাবিদার: প্রধান উপদেষ্টা খালি পেটে এই ৭ কাজ করলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বেন বেগুন আগে খেয়েছেন এভাবে? গোপালগঞ্জের ঘটনায় গণগ্রেপ্তার হচ্ছে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মধ্যরাতে চকরিয়ার সড়কে বিক্ষোভ নি’ষি’দ্ধ ছাত্রলীগের, খবর ছড়ালো ফেসবুকে! সালাহউদ্দিন আহমদকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে কুতুবদিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল এখন আমাদের লড়াই করতে হবে ‘ট্যাবলেটের’ বিরুদ্ধে- হাসনাত হাসপাতালে অসুস্থ জামায়াত আমির’কে দেখতে গেলেন মির্জা ফখরুল গণতান্ত্রিক শক্তির লড়াইয়ে আরামে আছেন দিল্লিওয়ালা: সালাহউদ্দিন আহমদ ‘সালাহউদ্দিন উঁচু্মানের নেতা, কটুক্তি’র সাহসদাতাদের মূল উৎপাটন করা হবে’ এনসিপি নেতা পাটোয়ারীকে গ্রেফতারের দাবী পেকুয়া বিএনপির
অধিক মামলার চাপ:

উখিয়া-টেকনাফে আলাদা ‘তদন্ত সেন্টার’ চান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা

স্থানীয়দের মামলার পাশাপাশি উখিয়া টেকনাফে আছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রীক অতিরিক্ত মামলাও। এসব মামলার মধ্যে আছে হত্যা, মাদক, চোরাচালান, মানবপাচার, ধর্ষণ, অস্ত্রসহ অত্যন্ত সংবেদনশীল ঘটনা। যার কারনে অতিরিক্ত মামলার চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় থানা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তাদের।

সম্প্রতি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্লাস্ট আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা উখিয়া টেকনাফে আলাদা তদন্ত সেন্টার দরকার বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এপিবিএন-৮ এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক খন্দকার ফজলে রাব্বি এতে বলেন, ২১৪ এর মতো হত্যা মামলা, দেড় হাজারের অধিক মাদকের মামলা আছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রীক। কিন্তু আইন অনুযায়ী এপিবিএনের কাছে তদন্তের ক্ষমতা নেই। তাই এসব মামলা তদন্ত করেন বেশিরভাগই থানা পুলিশ। যার কারনে ব্যাগ পেতে হয় মামলার তদন্তে।

এর সূত্র ধরে ১৪ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইহসানুল ফেরদৌস বলেন, উখিয়া টেকনাফে আলাদা তদন্ত সেন্টার দরকার।

এসময় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব খান বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এতো ছোটো জায়গায় এতো মানুষের বসবাস, সেখানে অপরাধ হলে সেটা মোকাবিলাও বড় চ্যালেঞ্জ।

প্রতি থানায় মাত্র ৬০ সদস্য উল্লেখ করে নাজমুস সাকিব বলেন, ৩০ এর অধিক মামলা সামাল দিতে হয় একজন তদন্তকারী কর্মকর্তাকে। তাই লজিস্টিক বাড়ানো উচিৎ।

রোহিঙ্গাদের আইনগত সহায়তা সংক্রান্ত ওই আয়োজনে এপিবিএনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শুভাশিষ ধর বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মামলার ক্ষেত্রে তদন্তে এপিবিএনকে সম্পৃক্ত বা তদন্ত ক্ষমতা ন্যাস্ত করলে ভালো হয়।

এছাড়াও ক্যাম্পে অপরাধ কমাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার প্রস্তাবনা তুলে শুভাশিষ বলেন, অনেক দাগী আসামী জামিন দেয়ার ক্ষেত্রেও আরো বিবেচনা দরকার।

এপিবিএনের ডিআইজি প্রলয় কিসিম বলেন, উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় ১৯শ এপিবিএন সদস্য কাজ করে, অথচ সেখানে আছে শুরু ৭৮ নারী সদস্য। ব্যারাকসহ নানান সীমাবদ্ধতার কারনে নারী পুলিশের অভাবে সার্ভিস দেয়াও কষ্টের।

সেখানে উপস্থিত কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মুনশি আব্দুল মজিদও উখিয়া টেকনাফে তদন্তকারী কর্মকর্তা বাড়ানো উচিৎ বলে অভিমত দেন।

সাবেক ছাত্রদল নেতার ওপর হামলার নিন্দা ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জেলা বিএনপি নেতা রাসেলের

This will close in 6 seconds

অধিক মামলার চাপ:

উখিয়া-টেকনাফে আলাদা ‘তদন্ত সেন্টার’ চান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা

আপডেট সময় : ০২:৫৮:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

স্থানীয়দের মামলার পাশাপাশি উখিয়া টেকনাফে আছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রীক অতিরিক্ত মামলাও। এসব মামলার মধ্যে আছে হত্যা, মাদক, চোরাচালান, মানবপাচার, ধর্ষণ, অস্ত্রসহ অত্যন্ত সংবেদনশীল ঘটনা। যার কারনে অতিরিক্ত মামলার চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় থানা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তাদের।

সম্প্রতি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্লাস্ট আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা উখিয়া টেকনাফে আলাদা তদন্ত সেন্টার দরকার বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এপিবিএন-৮ এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক খন্দকার ফজলে রাব্বি এতে বলেন, ২১৪ এর মতো হত্যা মামলা, দেড় হাজারের অধিক মাদকের মামলা আছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রীক। কিন্তু আইন অনুযায়ী এপিবিএনের কাছে তদন্তের ক্ষমতা নেই। তাই এসব মামলা তদন্ত করেন বেশিরভাগই থানা পুলিশ। যার কারনে ব্যাগ পেতে হয় মামলার তদন্তে।

এর সূত্র ধরে ১৪ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইহসানুল ফেরদৌস বলেন, উখিয়া টেকনাফে আলাদা তদন্ত সেন্টার দরকার।

এসময় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব খান বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এতো ছোটো জায়গায় এতো মানুষের বসবাস, সেখানে অপরাধ হলে সেটা মোকাবিলাও বড় চ্যালেঞ্জ।

প্রতি থানায় মাত্র ৬০ সদস্য উল্লেখ করে নাজমুস সাকিব বলেন, ৩০ এর অধিক মামলা সামাল দিতে হয় একজন তদন্তকারী কর্মকর্তাকে। তাই লজিস্টিক বাড়ানো উচিৎ।

রোহিঙ্গাদের আইনগত সহায়তা সংক্রান্ত ওই আয়োজনে এপিবিএনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শুভাশিষ ধর বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মামলার ক্ষেত্রে তদন্তে এপিবিএনকে সম্পৃক্ত বা তদন্ত ক্ষমতা ন্যাস্ত করলে ভালো হয়।

এছাড়াও ক্যাম্পে অপরাধ কমাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার প্রস্তাবনা তুলে শুভাশিষ বলেন, অনেক দাগী আসামী জামিন দেয়ার ক্ষেত্রেও আরো বিবেচনা দরকার।

এপিবিএনের ডিআইজি প্রলয় কিসিম বলেন, উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় ১৯শ এপিবিএন সদস্য কাজ করে, অথচ সেখানে আছে শুরু ৭৮ নারী সদস্য। ব্যারাকসহ নানান সীমাবদ্ধতার কারনে নারী পুলিশের অভাবে সার্ভিস দেয়াও কষ্টের।

সেখানে উপস্থিত কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মুনশি আব্দুল মজিদও উখিয়া টেকনাফে তদন্তকারী কর্মকর্তা বাড়ানো উচিৎ বলে অভিমত দেন।