ঢাকা ১০:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দ্বৈত বার্তা: বাংলাদেশের নির্বাচনে জাতিসংঘের কূটনৈতিক রহস্য মহেশখালীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হামলায় আহত ফোরকান চমেকে মারা গেছেন সড়ক অবরোধ, ১ ঘন্টা পর স্বাভাবিক যান চলাচল কানের দুলের জন্যে প্রাণ কেড়ে নিলো কন্যা শি’শুর! শিক্ষকের মর্যাদা, শিক্ষার মান- দুটোই হোক সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার সব প্রস্তুতি নিয়েও যেকারণে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে দেরি কক্সবাজার বিমানবন্দর ‘কুকুর’ ধরলো রাজমিস্ত্রীর ইয়াবা টেকনাফে মানব পাচারে ‘জিরো টলারেন্স’ বলছে বিজিবি পালংখালী জামায়াতের কর্মী সমাবেশে জেলা আমীর আনোয়ারী-ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দাঁড়ি পাল্লার বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ হোন টেকনাফে ১৪ মামলার পলাতক আসামী মুন্না র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার বিএফইউজে’র নির্বাহী পরিষদের সভায় সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র কমিটি অনুমোদন কক্সবাজার সৈকতে ‘লোক সমুদ্র’ ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ বাস্তবায়নে কক্সবাজারে ৫টি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন নৌবাহিনীর নারী নেতৃত্বকে জাতির গৌরব বললেন লুৎফুর রহমান কাজল কুতুবদিয়া প্রেসক্লাবের সভায় বক্তারা: ‎কুতুবদিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নে পর্যটনের বিকল্প নেই ‎

“আমার বোনের কান্না, আর না-আর না”

  • আফজারা রিয়া
  • আপডেট সময় : ০১:৪৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
  • 206

নারীর প্রতি সহিংসতা এবং ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে উত্তাল ছিলো কক্সবাজারও। রোববার(৯ মার্চ) দিনভর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বিকেল ৩টার দিকে কক্সবাজারের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ ও মিছিল এবং সন্ধায় চকরিয়ায় মশাল মিছিল করে বিক্ষুব্ধ জনতা।

ধর্ষকদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করে মাথায় লাল কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় কক্সবাজারের শিক্ষার্থীদের। এ সময় ‘আমার বোনের কান্না,আর না আর না’,’তুমি কে আমি কে,আছিয়া আছিয়া’,’ধর্ষকের শাস্তি,মৃত্যু মৃত্যু’,’উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ সহ বিভিন্ন স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে চারপাশ। দাবি উঠে ৪০ দিনের মধ্যেই ধর্ষকদের ফাঁসি নিশ্চিত করার। ধর্ষকদের ঠাঁই এদেশে হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ডিভা অর্গানাইজেশনের সংগঠক নওশাবা সিয়াম, ছাত্র প্রতিনিধি নাছিমা আকতার পিংকি, জিনিয়া শারমিন রিয়া,জুনায়েদ হোসাইন,সাগর উল ইসলাম সহ কক্সবাজারের জনসাধারণ।

ধর্ষকের মানসিকতা নিকৃষ্ট ও মস্তিষ্ক বিকৃত উল্লেখ করে ডিভা অর্গানাইজেশনের স্বত্বাধিকারী নওশাভা সিয়াম বলেন,একজন নারী ধর্ষণের শিকার হওয়া মানে পুরো সমাজ কলঙ্কিত হওয়া। তাই ধর্ষকের শাস্তি সর্বোচ্চ পর্যায়ে হতে হবে।

মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে ছাত্র প্রতিনিধি জিনিয়া বলেন, কেনো মেয়েদেরকে নারী হিসেবে দেখা হয়? মানুষ হিসেবে দেখা হয় না। একজন ধর্ষক কখনও মানুষ হতে পারে না, কারণ মানুষ কখনও এমন ঘৃণ্য কাজ করতে পারে না। এদেশে ধর্ষকের শাস্তি কার্যকর হয় না বলেই ধর্ষণের হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আবারো জুলাই-আগস্টের মতো অভূত্থান সৃষ্টি করার  হুঁশিয়ারী দিয়ে তিনি বলেন, দেশের রাষ্ট্র কাঠামো ও বিচার ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে হবে। ধর্ষণ পরবর্তী ৪০ দিনের মধ্যে ধর্ষকের ফাঁসি কার্যকর করা না হলে রাজপথে আন্দোলনে নামবে ছাত্র জনতা।

প্রশাসনের উদ্দেশ্যে ছাত্র প্রতিনিধি জুনায়েদ বলেন, ধর্ষকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করতে হবে। যেকোনো দলীয় পরিচয় অথবা চাপে পড়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। আমাদের মা-বোনদের নিরাপত্তা দেওয়া প্রশাসনের অন্যতম দায়িত্ব হওয়া উচিৎ।

ছাত্র জনতা হারকিউলিসে পরিণত হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ২০১৬ সালে তনু হত্যার বিচার আমরা পাইনি। ২০২৫ এর নতুন বাংলাদেশে ৪০ দিনের মধ্যে ধর্ষকের ফাঁসি কার্যকর করা না হলে ছাত্র জনতা  হারকিউলিসে পরিণত হবে।

প্রশাসন ও বিচার বিভাগের উপর প্রশ্ন ছুঁড়ে ছাত্র প্রতিনিধি সাগর বলেন, আপনারা যদি আপনাদের দায়িত্ব পালন করতে না পারেন তাহলে গদি ছেড়ে দিন। তবুও আমাদের মা বোনদের সম্মান ও তাদের জীবন নিয়ে খেলা করবেন না।

তিনি আরও বলেন, আমরা ধর্ষকের বাংলাদেশ চাইনি, আমরা একটি নিরাপদ বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। যে বাংলাদেশে একজন আট বছরের শিশু,একজন গর্ভবতী মহিলা এমনকি একজন বৃদ্ধা ধর্ষণের শিকার হয় সে বাংলাদেশ কখনো নিরাপদ বাংলাদেশ হতে পারে না।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে কক্সবাজারের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষীণ করে। মিছিলটি পুনরায় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বৈত বার্তা: বাংলাদেশের নির্বাচনে জাতিসংঘের কূটনৈতিক রহস্য

This will close in 6 seconds

“আমার বোনের কান্না, আর না-আর না”

আপডেট সময় : ০১:৪৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

নারীর প্রতি সহিংসতা এবং ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে উত্তাল ছিলো কক্সবাজারও। রোববার(৯ মার্চ) দিনভর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বিকেল ৩টার দিকে কক্সবাজারের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ ও মিছিল এবং সন্ধায় চকরিয়ায় মশাল মিছিল করে বিক্ষুব্ধ জনতা।

ধর্ষকদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করে মাথায় লাল কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় কক্সবাজারের শিক্ষার্থীদের। এ সময় ‘আমার বোনের কান্না,আর না আর না’,’তুমি কে আমি কে,আছিয়া আছিয়া’,’ধর্ষকের শাস্তি,মৃত্যু মৃত্যু’,’উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ সহ বিভিন্ন স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে চারপাশ। দাবি উঠে ৪০ দিনের মধ্যেই ধর্ষকদের ফাঁসি নিশ্চিত করার। ধর্ষকদের ঠাঁই এদেশে হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ডিভা অর্গানাইজেশনের সংগঠক নওশাবা সিয়াম, ছাত্র প্রতিনিধি নাছিমা আকতার পিংকি, জিনিয়া শারমিন রিয়া,জুনায়েদ হোসাইন,সাগর উল ইসলাম সহ কক্সবাজারের জনসাধারণ।

ধর্ষকের মানসিকতা নিকৃষ্ট ও মস্তিষ্ক বিকৃত উল্লেখ করে ডিভা অর্গানাইজেশনের স্বত্বাধিকারী নওশাভা সিয়াম বলেন,একজন নারী ধর্ষণের শিকার হওয়া মানে পুরো সমাজ কলঙ্কিত হওয়া। তাই ধর্ষকের শাস্তি সর্বোচ্চ পর্যায়ে হতে হবে।

মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে ছাত্র প্রতিনিধি জিনিয়া বলেন, কেনো মেয়েদেরকে নারী হিসেবে দেখা হয়? মানুষ হিসেবে দেখা হয় না। একজন ধর্ষক কখনও মানুষ হতে পারে না, কারণ মানুষ কখনও এমন ঘৃণ্য কাজ করতে পারে না। এদেশে ধর্ষকের শাস্তি কার্যকর হয় না বলেই ধর্ষণের হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আবারো জুলাই-আগস্টের মতো অভূত্থান সৃষ্টি করার  হুঁশিয়ারী দিয়ে তিনি বলেন, দেশের রাষ্ট্র কাঠামো ও বিচার ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে হবে। ধর্ষণ পরবর্তী ৪০ দিনের মধ্যে ধর্ষকের ফাঁসি কার্যকর করা না হলে রাজপথে আন্দোলনে নামবে ছাত্র জনতা।

প্রশাসনের উদ্দেশ্যে ছাত্র প্রতিনিধি জুনায়েদ বলেন, ধর্ষকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করতে হবে। যেকোনো দলীয় পরিচয় অথবা চাপে পড়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। আমাদের মা-বোনদের নিরাপত্তা দেওয়া প্রশাসনের অন্যতম দায়িত্ব হওয়া উচিৎ।

ছাত্র জনতা হারকিউলিসে পরিণত হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ২০১৬ সালে তনু হত্যার বিচার আমরা পাইনি। ২০২৫ এর নতুন বাংলাদেশে ৪০ দিনের মধ্যে ধর্ষকের ফাঁসি কার্যকর করা না হলে ছাত্র জনতা  হারকিউলিসে পরিণত হবে।

প্রশাসন ও বিচার বিভাগের উপর প্রশ্ন ছুঁড়ে ছাত্র প্রতিনিধি সাগর বলেন, আপনারা যদি আপনাদের দায়িত্ব পালন করতে না পারেন তাহলে গদি ছেড়ে দিন। তবুও আমাদের মা বোনদের সম্মান ও তাদের জীবন নিয়ে খেলা করবেন না।

তিনি আরও বলেন, আমরা ধর্ষকের বাংলাদেশ চাইনি, আমরা একটি নিরাপদ বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। যে বাংলাদেশে একজন আট বছরের শিশু,একজন গর্ভবতী মহিলা এমনকি একজন বৃদ্ধা ধর্ষণের শিকার হয় সে বাংলাদেশ কখনো নিরাপদ বাংলাদেশ হতে পারে না।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে কক্সবাজারের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষীণ করে। মিছিলটি পুনরায় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।