ঢাকা ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জামালপুরের ‘যৌনপল্লী’ থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প – মাদকের এডি দিদারুলের যত অপকর্ম! সাংবাদিককে ফাঁসাতে কক্সবাজার মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের লাইভ নাটক! “আমার বোনের কান্না, আর না-আর না” পেকুয়ার বানৌজা শেখ হাসিনা নৌঘাঁটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে বানৌজা পেকুয়া পেকুয়ার নৌঘাঁটি সহ সামরিক বাহিনীর ৮ সংস্থা-স্থাপনার নাম পরিবর্তন ধর্ম উপদেষ্টা কক্সবাজার আসছেন সোমবার: জেলা মডেল মসজিদ উদ্বোধন করবেন চকরিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান: ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা মব ভায়োল্যান্স সৃষ্টিকারী সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: মাহফুজ আলম ব্যারিস্টার সাফফাত ফারদিন চৌধুরী – মরিচ্যাপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন সভাপতি রিজার্ভ এখন ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার ধর্ষণের মামলা ৯০ দিনে শেষ করতে আইন হচ্ছে : উপদেষ্টা বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পরিচালনা বোর্ডের সদস্য হলেন কাজল বদরখালীতে মহেশখালী পারাপারের গাড়ি যখন ইচ্ছে আটকে দিচ্ছে কতিপয় লোকজন কন্যা শিশুদের সাথে লেডিস ক্লাব, কক্সবাজারের আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উখিয়ায় পরিত্যক্ত ব্যাগে মিললো ৫০ হাজার ইয়াবা

“আমার বোনের কান্না, আর না-আর না”

  • আফজারা রিয়া
  • আপডেট সময় : ০১:৪৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
  • 45

নারীর প্রতি সহিংসতা এবং ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে উত্তাল ছিলো কক্সবাজারও। রোববার(৯ মার্চ) দিনভর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বিকেল ৩টার দিকে কক্সবাজারের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ ও মিছিল এবং সন্ধায় চকরিয়ায় মশাল মিছিল করে বিক্ষুব্ধ জনতা।

ধর্ষকদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করে মাথায় লাল কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় কক্সবাজারের শিক্ষার্থীদের। এ সময় ‘আমার বোনের কান্না,আর না আর না’,’তুমি কে আমি কে,আছিয়া আছিয়া’,’ধর্ষকের শাস্তি,মৃত্যু মৃত্যু’,’উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ সহ বিভিন্ন স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে চারপাশ। দাবি উঠে ৪০ দিনের মধ্যেই ধর্ষকদের ফাঁসি নিশ্চিত করার। ধর্ষকদের ঠাঁই এদেশে হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ডিভা অর্গানাইজেশনের সংগঠক নওশাবা সিয়াম, ছাত্র প্রতিনিধি নাছিমা আকতার পিংকি, জিনিয়া শারমিন রিয়া,জুনায়েদ হোসাইন,সাগর উল ইসলাম সহ কক্সবাজারের জনসাধারণ।

ধর্ষকের মানসিকতা নিকৃষ্ট ও মস্তিষ্ক বিকৃত উল্লেখ করে ডিভা অর্গানাইজেশনের স্বত্বাধিকারী নওশাভা সিয়াম বলেন,একজন নারী ধর্ষণের শিকার হওয়া মানে পুরো সমাজ কলঙ্কিত হওয়া। তাই ধর্ষকের শাস্তি সর্বোচ্চ পর্যায়ে হতে হবে।

মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে ছাত্র প্রতিনিধি জিনিয়া বলেন, কেনো মেয়েদেরকে নারী হিসেবে দেখা হয়? মানুষ হিসেবে দেখা হয় না। একজন ধর্ষক কখনও মানুষ হতে পারে না, কারণ মানুষ কখনও এমন ঘৃণ্য কাজ করতে পারে না। এদেশে ধর্ষকের শাস্তি কার্যকর হয় না বলেই ধর্ষণের হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আবারো জুলাই-আগস্টের মতো অভূত্থান সৃষ্টি করার  হুঁশিয়ারী দিয়ে তিনি বলেন, দেশের রাষ্ট্র কাঠামো ও বিচার ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে হবে। ধর্ষণ পরবর্তী ৪০ দিনের মধ্যে ধর্ষকের ফাঁসি কার্যকর করা না হলে রাজপথে আন্দোলনে নামবে ছাত্র জনতা।

প্রশাসনের উদ্দেশ্যে ছাত্র প্রতিনিধি জুনায়েদ বলেন, ধর্ষকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করতে হবে। যেকোনো দলীয় পরিচয় অথবা চাপে পড়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। আমাদের মা-বোনদের নিরাপত্তা দেওয়া প্রশাসনের অন্যতম দায়িত্ব হওয়া উচিৎ।

ছাত্র জনতা হারকিউলিসে পরিণত হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ২০১৬ সালে তনু হত্যার বিচার আমরা পাইনি। ২০২৫ এর নতুন বাংলাদেশে ৪০ দিনের মধ্যে ধর্ষকের ফাঁসি কার্যকর করা না হলে ছাত্র জনতা  হারকিউলিসে পরিণত হবে।

প্রশাসন ও বিচার বিভাগের উপর প্রশ্ন ছুঁড়ে ছাত্র প্রতিনিধি সাগর বলেন, আপনারা যদি আপনাদের দায়িত্ব পালন করতে না পারেন তাহলে গদি ছেড়ে দিন। তবুও আমাদের মা বোনদের সম্মান ও তাদের জীবন নিয়ে খেলা করবেন না।

তিনি আরও বলেন, আমরা ধর্ষকের বাংলাদেশ চাইনি, আমরা একটি নিরাপদ বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। যে বাংলাদেশে একজন আট বছরের শিশু,একজন গর্ভবতী মহিলা এমনকি একজন বৃদ্ধা ধর্ষণের শিকার হয় সে বাংলাদেশ কখনো নিরাপদ বাংলাদেশ হতে পারে না।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে কক্সবাজারের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষীণ করে। মিছিলটি পুনরায় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুরের ‘যৌনপল্লী’ থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প – মাদকের এডি দিদারুলের যত অপকর্ম!

This will close in 6 seconds

“আমার বোনের কান্না, আর না-আর না”

আপডেট সময় : ০১:৪৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

নারীর প্রতি সহিংসতা এবং ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে উত্তাল ছিলো কক্সবাজারও। রোববার(৯ মার্চ) দিনভর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বিকেল ৩টার দিকে কক্সবাজারের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ ও মিছিল এবং সন্ধায় চকরিয়ায় মশাল মিছিল করে বিক্ষুব্ধ জনতা।

ধর্ষকদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করে মাথায় লাল কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় কক্সবাজারের শিক্ষার্থীদের। এ সময় ‘আমার বোনের কান্না,আর না আর না’,’তুমি কে আমি কে,আছিয়া আছিয়া’,’ধর্ষকের শাস্তি,মৃত্যু মৃত্যু’,’উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ সহ বিভিন্ন স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে চারপাশ। দাবি উঠে ৪০ দিনের মধ্যেই ধর্ষকদের ফাঁসি নিশ্চিত করার। ধর্ষকদের ঠাঁই এদেশে হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ডিভা অর্গানাইজেশনের সংগঠক নওশাবা সিয়াম, ছাত্র প্রতিনিধি নাছিমা আকতার পিংকি, জিনিয়া শারমিন রিয়া,জুনায়েদ হোসাইন,সাগর উল ইসলাম সহ কক্সবাজারের জনসাধারণ।

ধর্ষকের মানসিকতা নিকৃষ্ট ও মস্তিষ্ক বিকৃত উল্লেখ করে ডিভা অর্গানাইজেশনের স্বত্বাধিকারী নওশাভা সিয়াম বলেন,একজন নারী ধর্ষণের শিকার হওয়া মানে পুরো সমাজ কলঙ্কিত হওয়া। তাই ধর্ষকের শাস্তি সর্বোচ্চ পর্যায়ে হতে হবে।

মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে ছাত্র প্রতিনিধি জিনিয়া বলেন, কেনো মেয়েদেরকে নারী হিসেবে দেখা হয়? মানুষ হিসেবে দেখা হয় না। একজন ধর্ষক কখনও মানুষ হতে পারে না, কারণ মানুষ কখনও এমন ঘৃণ্য কাজ করতে পারে না। এদেশে ধর্ষকের শাস্তি কার্যকর হয় না বলেই ধর্ষণের হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আবারো জুলাই-আগস্টের মতো অভূত্থান সৃষ্টি করার  হুঁশিয়ারী দিয়ে তিনি বলেন, দেশের রাষ্ট্র কাঠামো ও বিচার ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে হবে। ধর্ষণ পরবর্তী ৪০ দিনের মধ্যে ধর্ষকের ফাঁসি কার্যকর করা না হলে রাজপথে আন্দোলনে নামবে ছাত্র জনতা।

প্রশাসনের উদ্দেশ্যে ছাত্র প্রতিনিধি জুনায়েদ বলেন, ধর্ষকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করতে হবে। যেকোনো দলীয় পরিচয় অথবা চাপে পড়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। আমাদের মা-বোনদের নিরাপত্তা দেওয়া প্রশাসনের অন্যতম দায়িত্ব হওয়া উচিৎ।

ছাত্র জনতা হারকিউলিসে পরিণত হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ২০১৬ সালে তনু হত্যার বিচার আমরা পাইনি। ২০২৫ এর নতুন বাংলাদেশে ৪০ দিনের মধ্যে ধর্ষকের ফাঁসি কার্যকর করা না হলে ছাত্র জনতা  হারকিউলিসে পরিণত হবে।

প্রশাসন ও বিচার বিভাগের উপর প্রশ্ন ছুঁড়ে ছাত্র প্রতিনিধি সাগর বলেন, আপনারা যদি আপনাদের দায়িত্ব পালন করতে না পারেন তাহলে গদি ছেড়ে দিন। তবুও আমাদের মা বোনদের সম্মান ও তাদের জীবন নিয়ে খেলা করবেন না।

তিনি আরও বলেন, আমরা ধর্ষকের বাংলাদেশ চাইনি, আমরা একটি নিরাপদ বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। যে বাংলাদেশে একজন আট বছরের শিশু,একজন গর্ভবতী মহিলা এমনকি একজন বৃদ্ধা ধর্ষণের শিকার হয় সে বাংলাদেশ কখনো নিরাপদ বাংলাদেশ হতে পারে না।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে কক্সবাজারের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষীণ করে। মিছিলটি পুনরায় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।