“আমরা আবার চোর ডাকাত হয়ে যাবো, আমরা ছিনতাই করবো। আমরা পেটের জন্য খুন-খারাবিও করবো।” কক্সবাজারে অটোরিকশা (মিশুক) বন্ধের প্রতিবাদে ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন বেশ কয়েকজন চালক।
কক্সবাজারের এসব চালকদের জন্য স্থায়ী বন্দোবস্ত করার অনুরোধ জানিয়ে এক চালক বলেন, শহরের স্থানীয় লাইসেন্স প্রাপ্ত চালকদের সৎপথে টাকা উপার্জনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। তা না হলে পেটের দায়ে আমরা চোর-ডাকাত হয়ে যাবো।
তিনি আরও বলেন, “আমরা এখন কষ্ট করতেছি এটা ডিসি সাহেবের ভালো লাগতেছে না। ডিসি সাহেব যদি আমাদের চোর-ডাকাত বানাতে না চায় তাহলে আজকেই রায় দিতে হবে।”
মিশুক গাড়ীর বৈধতার দাবী জানিয়ে আরেক চালক বলেন, ইয়াবা ট্যাবলেট যেমন অবৈধ, আমাদের গাড়ীও অবৈধ। কখনও পুলিশ হয়রানি করে, কখনও সাধারণ মানুষ হয়রানি করে। কোথাও কোনো বৈধতা পাচ্ছি না।
তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার শহরে রামু, ঈদগাহ, মরিচ্চা থেকে এসে অনেকে গাড়ী চালাচ্ছে। তারা শহরে কোনো একটা দূর্ঘটনা ঘটাচ্ছে, দোষ হচ্ছে আমাদের।তাই আমরা পৌরসভার চালকরা শুধুমাত্র একটা বৈধতা চাই।
শোরুমে বিক্রির সুযোগ দিয়ে রাস্তায় গাড়ী বন্ধ করার যৌক্তিকতার উপর প্রশ্ন ছুঁড়ে এক চালক বলেন, “যেসব শো-রুমে মিশুক গাড়ী প্রস্তুত করা হয় আপনারা সেগুলো বন্ধ করেন। আমাদের পেটে কেনো লাথি মারছেন? আমাদেরকে আলোর পথ দেখিয়ে আবার অন্ধকারে ঠেলে দিবেন না। ব্যবস্থা নিতে হলে প্রস্তুতকারকদের উপর নিন, নিরীহ চালকদের উপর নয়।”
টমটম ও মিশুক গাড়ী দুটিই বন্ধ করার দাবী জানিয়ে আরেক চালক বলেন, মিশুক গাড়ী যেমন অবৈধ টমটমও অবৈধ। বন্ধ করলে দুটিই বন্ধ করতে হবে।
আরেক চালকের পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম তিনি নিজে। তাই মিশুক গাড়ি বন্ধ করা হলে তার বাবা-মা,স্ত্রী-সন্তান না খেয়ে মরবে বলে জানাচ্ছিলেন তিনি। তাই প্রশাসনের কাছে মিশুক গাড়ীর বৈধতার আকুল আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
৩০ এপ্রিল থেকে কক্সবাজার পৌরসভায় মিনি টমটম বা মিশুক গাড়ী অবৈধ ঘোষণা করা হবে বলে জানায় জেলা প্রশাসন। আর এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রবিবার সকালে মানববন্ধন ও প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে কক্সবাজার পৌরসভার মিনি টমটম চালকরা।