ঢাকা ০৪:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মায়ানমার: শান্তি ও গণতন্ত্রের নামে দাবার খেলায় রেফারি কে? মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক শাহাবুদ্দিন, মানুষের সাহায্যের অপেক্ষায়… কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সমগ্র কক্সবাজার বিদ্যুৎ থাকবেনা শুক্রবার! অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করলো মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা অনলাইন মাল্টিমিডিয়ায় নুরুন্নাহারকে নিয়ে প্রচারিত সংবাদের প্রতিবাদ ‘নির্বাচন একদিনও পেছাবে না, তবে আগামী ৫-৬ দিন গুরুত্বপূর্ণ’ অতিরিক্ত রোগীর চাপে নিজেই রোগী কক্সবাজার সদর হাসপাতাল! কক্সবাজার সদর উপজেলা ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। নির্বাচন প্রধান উপদেষ্টা যে সময়ে বলেছেন, তার থেকে একটা দিন দেরি হবে না: প্রেস সচিব চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে দুই ট্রেনের সময় বদলে যাচ্ছে শিবির নেতা সাদিক কায়েম সমন্বয়ক ছিল না, ৫ আগস্ট থেকে এই পরিচয় ব্যবহার করেছে : নাহিদ জাতীয় ঐকমত্য কমিশন: প্রথম ধাপে ৬২ প্রস্তাবে একমত রাজনৈতিক দলগুলো প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি : শেখ হাসিনার বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি অনলাইনে ময়মনসিংহের তরুণীর সাথে প্রেম, বিয়ের এক বছর পর উখিয়ায় যুবকের মরদেহ উদ্ধার

অতিরিক্ত রোগীর চাপে নিজেই রোগী কক্সবাজার সদর হাসপাতাল!

জেলা সদর হাসপাতাল হলো প্রতিটি জেলার সর্বোচ্চ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র থাকলেও যেকোনো জটিল রোগের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় রোগীদের। কক্সবাজারে সেই জেলা সদর হাসপাতালের চিত্র বেশ করুণ।

অতিরিক্ত রোগীর চাপে নিজেই রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল। সাথে যুক্ত হয়েছে জনবল সংকটও। রোগীদের সেবা দিতে যেমন হিমশিম খেতে হয় চিকিৎসকদের, তেমন সেবাপ্রাপ্তিদের অভিযোগেরও শেষ নেই।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২২ সালের সর্বশেষ জনশুমারীর তথ্য বলছে, কক্সবাজার জেলার মোট জনসংখ্যা ২৮ লাখ ২৩ হাজার ২৬৮ জন। সাথে আছে প্রায় ১২ লাখের অধিক আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাপ।

সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ লাখের অধিক মানুষের জন্য জেলা পর্যায়ের সর্বোচ্চ এই চিকিৎসা কেন্দ্রের জনবলের সংখ্যা দেখলে চোখ কপালে উঠবে। ডা. মং টিং ঞো জানান, সরকারি ভাবে ৬৮ জন চিকিৎসকের স্থলে কর্মরত আছেন ৪৯ জন। যেখানে সংকট আছে আরো ১৯ জন চিকিৎসক।

অংক কষে বের করলে দেখা যাবে, জেলার প্রতি ৮২ হাজার (প্রায়) মানুষের জন্য চিকিৎসক মাত্র একজন।

এছাড়া একশো সাতান্ন জন নার্সের স্থলে আছেন একশো তেরোজন। ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্যে ৪২ জনের স্থলে আছেন শুধুমাত্র তেরো জন।

হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দুইশো পঞ্চাশ শয্যার হলেও হাসপাতালে নিয়মিত ভর্তি থাকেন প্রায় আটশো রোগী। তাছাড়া বহির্বিভাগে নিয়মিত সেবা নেন আরো আড়াই হাজার মানুষ।

রোগীদের অভিযোগসহ সবকিছু স্বীকার করেই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মং টিং ঞো বলেন, জনবল আর অবকাঠামোর নির্দিষ্টতা অনুযায়ী যে পরিমাণ সেবা পাওয়ার কথা, তারচেয়ে তিনগুণ চাপ নিতে হলে তো পরিস্থিতি কেমন হবে তা অনুমেয়।

সম্প্রতি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবরসহ অন্যান্য বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালককে সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেছেন, কক্সবাজার একটি বিশেষ জেলা, এখানে যেনো কোনোভাবেই চিকিৎসা সেবা ব্যহত নাহয়।

বিভাগীয় পরিচালকের বরাত দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মং টিং ঞো বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সেবা দিয়ে যেতে।

ট্যাগ :

মায়ানমার: শান্তি ও গণতন্ত্রের নামে দাবার খেলায় রেফারি কে?

This will close in 6 seconds

অতিরিক্ত রোগীর চাপে নিজেই রোগী কক্সবাজার সদর হাসপাতাল!

আপডেট সময় : ০৫:৫৫:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

জেলা সদর হাসপাতাল হলো প্রতিটি জেলার সর্বোচ্চ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র থাকলেও যেকোনো জটিল রোগের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় রোগীদের। কক্সবাজারে সেই জেলা সদর হাসপাতালের চিত্র বেশ করুণ।

অতিরিক্ত রোগীর চাপে নিজেই রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল। সাথে যুক্ত হয়েছে জনবল সংকটও। রোগীদের সেবা দিতে যেমন হিমশিম খেতে হয় চিকিৎসকদের, তেমন সেবাপ্রাপ্তিদের অভিযোগেরও শেষ নেই।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২২ সালের সর্বশেষ জনশুমারীর তথ্য বলছে, কক্সবাজার জেলার মোট জনসংখ্যা ২৮ লাখ ২৩ হাজার ২৬৮ জন। সাথে আছে প্রায় ১২ লাখের অধিক আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাপ।

সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ লাখের অধিক মানুষের জন্য জেলা পর্যায়ের সর্বোচ্চ এই চিকিৎসা কেন্দ্রের জনবলের সংখ্যা দেখলে চোখ কপালে উঠবে। ডা. মং টিং ঞো জানান, সরকারি ভাবে ৬৮ জন চিকিৎসকের স্থলে কর্মরত আছেন ৪৯ জন। যেখানে সংকট আছে আরো ১৯ জন চিকিৎসক।

অংক কষে বের করলে দেখা যাবে, জেলার প্রতি ৮২ হাজার (প্রায়) মানুষের জন্য চিকিৎসক মাত্র একজন।

এছাড়া একশো সাতান্ন জন নার্সের স্থলে আছেন একশো তেরোজন। ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্যে ৪২ জনের স্থলে আছেন শুধুমাত্র তেরো জন।

হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দুইশো পঞ্চাশ শয্যার হলেও হাসপাতালে নিয়মিত ভর্তি থাকেন প্রায় আটশো রোগী। তাছাড়া বহির্বিভাগে নিয়মিত সেবা নেন আরো আড়াই হাজার মানুষ।

রোগীদের অভিযোগসহ সবকিছু স্বীকার করেই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মং টিং ঞো বলেন, জনবল আর অবকাঠামোর নির্দিষ্টতা অনুযায়ী যে পরিমাণ সেবা পাওয়ার কথা, তারচেয়ে তিনগুণ চাপ নিতে হলে তো পরিস্থিতি কেমন হবে তা অনুমেয়।

সম্প্রতি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবরসহ অন্যান্য বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালককে সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেছেন, কক্সবাজার একটি বিশেষ জেলা, এখানে যেনো কোনোভাবেই চিকিৎসা সেবা ব্যহত নাহয়।

বিভাগীয় পরিচালকের বরাত দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মং টিং ঞো বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সেবা দিয়ে যেতে।