ঢাকা ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মিয়ানমারে পাচারকালে ১৫’শ বস্তা সিমেন্টসহ আটক ১১: দুটি বোট জব্দ চবি ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হলেন রামুর শাহজালাল শাহীন নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে এবার ১৩ ভরি স্বর্ণ ও ১০ ভরি রুপা উদ্ধার কক্সবাজারে দুইদিন ব্যাপী অভিনয় কর্মশালা সম্পন্ন কুতুবদিয়ায় জাতীয় সমবায় দিবস পালিত নানান আয়োজনে রামুতে সমবায় দিবস পালিত পেকুয়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু পেকুয়ায় ক্যারিয়ার অলিম্পিয়াড ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন কর্মশালা জুলাই ফাউন্ডেশন পরিচালনায় টাকা নেই, অনিশ্চয়তায় কর্মীদের বেতন কক্সবাজারে ফরেস্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চট্টগ্রাম অঞ্চলের বর্ধিত সভা:মাঠপর্যায়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার আহ্বান ৩০ ফিলিস্তিনির মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে ইসরায়েল, গাজায় ফের হামলা টেকনাফের মাহত আমিন র‍্যাবের জালে ১৫০০ রানার নিয়ে কক্সবাজার ম্যারাথন সম্পন্ন এক নামে ১০টির বেশি সিম থাকলে বন্ধ হবে শনিবার থেকে উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটির শেষ সভা অনুষ্ঠিত; দায়িত্বে নির্বাচন কমিশন 

অতিরিক্ত রোগীর চাপে নিজেই রোগী কক্সবাজার সদর হাসপাতাল!

জেলা সদর হাসপাতাল হলো প্রতিটি জেলার সর্বোচ্চ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র থাকলেও যেকোনো জটিল রোগের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় রোগীদের। কক্সবাজারে সেই জেলা সদর হাসপাতালের চিত্র বেশ করুণ।

অতিরিক্ত রোগীর চাপে নিজেই রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল। সাথে যুক্ত হয়েছে জনবল সংকটও। রোগীদের সেবা দিতে যেমন হিমশিম খেতে হয় চিকিৎসকদের, তেমন সেবাপ্রাপ্তিদের অভিযোগেরও শেষ নেই।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২২ সালের সর্বশেষ জনশুমারীর তথ্য বলছে, কক্সবাজার জেলার মোট জনসংখ্যা ২৮ লাখ ২৩ হাজার ২৬৮ জন। সাথে আছে প্রায় ১২ লাখের অধিক আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাপ।

সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ লাখের অধিক মানুষের জন্য জেলা পর্যায়ের সর্বোচ্চ এই চিকিৎসা কেন্দ্রের জনবলের সংখ্যা দেখলে চোখ কপালে উঠবে। ডা. মং টিং ঞো জানান, সরকারি ভাবে ৬৮ জন চিকিৎসকের স্থলে কর্মরত আছেন ৪৯ জন। যেখানে সংকট আছে আরো ১৯ জন চিকিৎসক।

অংক কষে বের করলে দেখা যাবে, জেলার প্রতি ৮২ হাজার (প্রায়) মানুষের জন্য চিকিৎসক মাত্র একজন।

এছাড়া একশো সাতান্ন জন নার্সের স্থলে আছেন একশো তেরোজন। ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্যে ৪২ জনের স্থলে আছেন শুধুমাত্র তেরো জন।

হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দুইশো পঞ্চাশ শয্যার হলেও হাসপাতালে নিয়মিত ভর্তি থাকেন প্রায় আটশো রোগী। তাছাড়া বহির্বিভাগে নিয়মিত সেবা নেন আরো আড়াই হাজার মানুষ।

রোগীদের অভিযোগসহ সবকিছু স্বীকার করেই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মং টিং ঞো বলেন, জনবল আর অবকাঠামোর নির্দিষ্টতা অনুযায়ী যে পরিমাণ সেবা পাওয়ার কথা, তারচেয়ে তিনগুণ চাপ নিতে হলে তো পরিস্থিতি কেমন হবে তা অনুমেয়।

সম্প্রতি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবরসহ অন্যান্য বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালককে সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেছেন, কক্সবাজার একটি বিশেষ জেলা, এখানে যেনো কোনোভাবেই চিকিৎসা সেবা ব্যহত নাহয়।

বিভাগীয় পরিচালকের বরাত দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মং টিং ঞো বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সেবা দিয়ে যেতে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারে পাচারকালে ১৫’শ বস্তা সিমেন্টসহ আটক ১১: দুটি বোট জব্দ

This will close in 6 seconds

অতিরিক্ত রোগীর চাপে নিজেই রোগী কক্সবাজার সদর হাসপাতাল!

আপডেট সময় : ০৫:৫৫:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

জেলা সদর হাসপাতাল হলো প্রতিটি জেলার সর্বোচ্চ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র থাকলেও যেকোনো জটিল রোগের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় রোগীদের। কক্সবাজারে সেই জেলা সদর হাসপাতালের চিত্র বেশ করুণ।

অতিরিক্ত রোগীর চাপে নিজেই রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল। সাথে যুক্ত হয়েছে জনবল সংকটও। রোগীদের সেবা দিতে যেমন হিমশিম খেতে হয় চিকিৎসকদের, তেমন সেবাপ্রাপ্তিদের অভিযোগেরও শেষ নেই।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২২ সালের সর্বশেষ জনশুমারীর তথ্য বলছে, কক্সবাজার জেলার মোট জনসংখ্যা ২৮ লাখ ২৩ হাজার ২৬৮ জন। সাথে আছে প্রায় ১২ লাখের অধিক আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাপ।

সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ লাখের অধিক মানুষের জন্য জেলা পর্যায়ের সর্বোচ্চ এই চিকিৎসা কেন্দ্রের জনবলের সংখ্যা দেখলে চোখ কপালে উঠবে। ডা. মং টিং ঞো জানান, সরকারি ভাবে ৬৮ জন চিকিৎসকের স্থলে কর্মরত আছেন ৪৯ জন। যেখানে সংকট আছে আরো ১৯ জন চিকিৎসক।

অংক কষে বের করলে দেখা যাবে, জেলার প্রতি ৮২ হাজার (প্রায়) মানুষের জন্য চিকিৎসক মাত্র একজন।

এছাড়া একশো সাতান্ন জন নার্সের স্থলে আছেন একশো তেরোজন। ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্যে ৪২ জনের স্থলে আছেন শুধুমাত্র তেরো জন।

হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দুইশো পঞ্চাশ শয্যার হলেও হাসপাতালে নিয়মিত ভর্তি থাকেন প্রায় আটশো রোগী। তাছাড়া বহির্বিভাগে নিয়মিত সেবা নেন আরো আড়াই হাজার মানুষ।

রোগীদের অভিযোগসহ সবকিছু স্বীকার করেই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মং টিং ঞো বলেন, জনবল আর অবকাঠামোর নির্দিষ্টতা অনুযায়ী যে পরিমাণ সেবা পাওয়ার কথা, তারচেয়ে তিনগুণ চাপ নিতে হলে তো পরিস্থিতি কেমন হবে তা অনুমেয়।

সম্প্রতি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবরসহ অন্যান্য বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালককে সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেছেন, কক্সবাজার একটি বিশেষ জেলা, এখানে যেনো কোনোভাবেই চিকিৎসা সেবা ব্যহত নাহয়।

বিভাগীয় পরিচালকের বরাত দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মং টিং ঞো বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সেবা দিয়ে যেতে।