বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে গতকাল রাত থেকেই টেকনাফে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে ২১ ঘন্টা বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ। এতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষসহ টেকনাফবাসী চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত প্রায় ২১ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে পুরো টেকনাফ। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয় বুধবার দিবাগত-রাত ২ টা থেকে।
পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শহিদুল্লাহ বলেন, বুধবার রাত থেকে ঝড়ো হাওয়া বৃদ্ধির সাথে সাথে বিদ্যুৎ চলে যায়, এখনো পর্যন্ত আসেনি। মোবাইল ফোনে চার্জ না থাকায় সকলের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। টেকনাফের পল্লী বিদ্যুৎ অফিস যদি আন্তরিক হয়ে কাজ করতো তাহলে এতক্ষণে গ্রাহকেরা বিদ্যুৎ পেতো।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের তাহসান বলেন, বিদ্যুৎ বিহীন থাকায় অন্ধকারে পড়াশোনা করা যাচ্ছে না। সামনের মাসে পরীক্ষাও আছে কিন্তু প্রস্তুতি নেওয়া যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ খাতে আরো লোকবল বাড়িয়ে দূর্যোগের জন্য আগাম প্রস্তুতি রাখা উচিত বিদ্যুৎ বিভাগের।
সাবরাং শাহপরীর দ্বীপের শাহ আলম জানান, বঙ্গোপসাগর ও নাফ নদীর তীরবর্তী হওয়ায় বাতাসের তীব্রতা বেশি। ভালো সময়েও যেকোনে লোডশেডিং থাকে সেখানে এমন সময় বিদ্যুৎের আশা করা বিলাসিতা।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদ বলেন, লম্বা সময় বিদ্যুৎ বিহীন থাকায় জনসাধারণ দূ্র্ভোগে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করছি যেন সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ দ্রুত নিরসন হয়।
এ বিষয়ে টেকনাফ পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে জানানো হয়, নিম্মচাপের কারণে দমকা হাওয়া, বৃষ্টি ও বজ্রপাতের প্রভাবে ৩৩ কেভি লাইনের ত্রুটি থাকায় বিদ্যুৎ লাইন চালু করা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হবে।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে গ্রাহকের ধৈর্য সহকারে অপেক্ষা করার জন্য অনুরোধ করা হয়।