ঢাকা ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই শহীদদের স্বরণে টেকনাফে এনসিপি’র খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত জুলাই হ’ত্যা’কা’ণ্ড ইতিহাসের কলঙ্ক, শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিন : খালেদা জিয়া” সিসিএন ও সিজেএন এর জয় হাসনাত-সারজিসকে ১০০ বার ফোন দিলেও রিসিভ করে না: শহীদ আবদুল্লাহর মায়ের অভিযোগ ভোটের তারিখ বা সম্ভাব্য সময় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হয়নি: সিইসি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ পাকিস্তানে বৃষ্টি ও বন্যায় একই পরিবারের ১৩ জনসহ ৪৬ জনের মৃত্যু জুলাইকে সবার গণজাগরণ ও ঐক্যের মাসে পরিণত করুন : প্রধান উপদেষ্টা তারেক জিয়া দেশে ফিরছেন ২৮ জুলাই! কচ্ছপিয়ায় বসতঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর ইয়াবা বিক্রি: ইয়াবা’সহ ধৃত ভুট্টো সালাহউদ্দিন আহমদের জন্মদিনে কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের নানা আয়োজন কক্সবাজার সরকারি কলেজ একাউন্টিং ক্লাবের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত, অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানকে ফুলেল শুভেচ্ছা আগামী ২০ জুলাই থেকে শহীদ দৌলত ময়দানে হবে বৃক্ষ মেলা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নুরুল আবছারের পরিবারকে কোস্ট ফাউন্ডেশনের ১ লক্ষ টাকা অনুদান গর্জনিয়ার বড়বিল থেকে পরিত্যক্ত অস্ত্র উদ্ধার : পৃথক ঘটনায় দুজন আটক

সেহরিতে যেসব খাবারে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

দীর্ঘ সময় খাবার ও পানীয় থেকে বিরত থাকার কিছু স্বাস্থ্যগত সুবিধা থাকলেও, কেউ কেউ এই মাসে তাদের খাদ্যাভ্যাসের আকস্মিক পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে অসুবিধা বোধ করতে পারে। অনেকে দীর্ঘ সময়ের জন্য খাদ্য ও পানীয় পরিহার করার ফলে ক্লান্তি এবং অবসাদ অনুভব করতে পারেন। রোজার সময় ক্লান্তি এড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে চললে অবশ্য এই সমস্যা থেকে কিছুটা সমাধান পাওয়া যাবে।

পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ফাদি আব্বাস কথা বলেছিলেন বিবিসির সঙ্গে, সেখানে তিনি বলেন, ‘সেহরিতে, আপনার উচিত এমন সব খাবারের দিকে মনোনিবেশ করা যাতে প্রায় ৭০ শতাংশ পানি থাকে।”

তার মতে, খাবারটি তিন ধাপে খাওয়া উচিত এবং এক ধাপের সঙ্গে আরেক ধাপের যেন পাঁচ মিনিটের ব্যবধান থাকে।

সেহরি শুরু করতে হবে সালাদ দিয়ে। এতে থাকতে পারে শসা, লেটুস ইত্যাদি। তবে খেয়াল রাখতে হবে সালাদে যেন লবণ বেশি না থাকে।

কেননা লবণ বেশি খেলে কয়েক ঘণ্টা পরে শরীরে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। পনির এবং বাদামের অনেক উপকারিতা থাকলেও এতে থাকা লবণের কারণে শরীরে পানির চাহিদা বেড়ে যায়।

তিনি যোগ করেছেন, ‘সেহরির দ্বিতীয় ধাপে ক্ষেত্রে হবে শর্করা ও চিনি জাতীয় খাবার। এক্ষেত্রে দুই তিন টুকরো বা এক কাপ তাজা ফল খাওয়া ভাল, যেগুলোয় পানির পরিমাণ বেশি। যেমন তরমুজ, কমলা।’

চাইলে এসব ফলের জুস করেও খেতে পারেন এক কাপ পরিমাণে। এরপর তৃতীয় বা শেষ ধাপে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে।

রোজা রাখার সময় সেহরিতে চা এবং কফি পান করা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। কারণ এসব পানি হলো মূত্রবর্ধক এবং এতে ক্যাফেইন থাকে। এতে শরীর থেকে দ্রুত পানি বেরিয়ে যাবে।

শরীরের তরল কমে যাওয়া মানে তা দ্রুত প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন। না হলে পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন হবে। এর ফলে মাথাব্যথা, নিম্ন রক্তচাপ, কিডনি সমস্যা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই শহীদদের স্বরণে টেকনাফে এনসিপি’র খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

This will close in 6 seconds

সেহরিতে যেসব খাবারে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

আপডেট সময় : ০৮:৫৯:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

দীর্ঘ সময় খাবার ও পানীয় থেকে বিরত থাকার কিছু স্বাস্থ্যগত সুবিধা থাকলেও, কেউ কেউ এই মাসে তাদের খাদ্যাভ্যাসের আকস্মিক পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে অসুবিধা বোধ করতে পারে। অনেকে দীর্ঘ সময়ের জন্য খাদ্য ও পানীয় পরিহার করার ফলে ক্লান্তি এবং অবসাদ অনুভব করতে পারেন। রোজার সময় ক্লান্তি এড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে চললে অবশ্য এই সমস্যা থেকে কিছুটা সমাধান পাওয়া যাবে।

পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ফাদি আব্বাস কথা বলেছিলেন বিবিসির সঙ্গে, সেখানে তিনি বলেন, ‘সেহরিতে, আপনার উচিত এমন সব খাবারের দিকে মনোনিবেশ করা যাতে প্রায় ৭০ শতাংশ পানি থাকে।”

তার মতে, খাবারটি তিন ধাপে খাওয়া উচিত এবং এক ধাপের সঙ্গে আরেক ধাপের যেন পাঁচ মিনিটের ব্যবধান থাকে।

সেহরি শুরু করতে হবে সালাদ দিয়ে। এতে থাকতে পারে শসা, লেটুস ইত্যাদি। তবে খেয়াল রাখতে হবে সালাদে যেন লবণ বেশি না থাকে।

কেননা লবণ বেশি খেলে কয়েক ঘণ্টা পরে শরীরে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। পনির এবং বাদামের অনেক উপকারিতা থাকলেও এতে থাকা লবণের কারণে শরীরে পানির চাহিদা বেড়ে যায়।

তিনি যোগ করেছেন, ‘সেহরির দ্বিতীয় ধাপে ক্ষেত্রে হবে শর্করা ও চিনি জাতীয় খাবার। এক্ষেত্রে দুই তিন টুকরো বা এক কাপ তাজা ফল খাওয়া ভাল, যেগুলোয় পানির পরিমাণ বেশি। যেমন তরমুজ, কমলা।’

চাইলে এসব ফলের জুস করেও খেতে পারেন এক কাপ পরিমাণে। এরপর তৃতীয় বা শেষ ধাপে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে।

রোজা রাখার সময় সেহরিতে চা এবং কফি পান করা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। কারণ এসব পানি হলো মূত্রবর্ধক এবং এতে ক্যাফেইন থাকে। এতে শরীর থেকে দ্রুত পানি বেরিয়ে যাবে।

শরীরের তরল কমে যাওয়া মানে তা দ্রুত প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন। না হলে পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন হবে। এর ফলে মাথাব্যথা, নিম্ন রক্তচাপ, কিডনি সমস্যা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।