ঢাকা ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জীবন বাঁচালো মৌমাছির কামড়! খুটাখালী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠিত সৈয়দ আহবায়ক আক্তার সদস্য সচিব খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ: প্রশংসা কুড়িয়েছেন ইউএনও ক্যথোয়াইপ্রু মারমা বৃষ্টি থাকছে জুন জুড়ে আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবস আজ রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে: জাতিসংঘে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা শনিবার ৬ ঘন্টা বিদ্যুৎহীন থাকবে কক্সবাজার শহর রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে: জাতিসংঘে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মহেশখালী উপজেলা যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত কক্সবাজারে সম্পন্ন হয়েছে ‘জেন্ডার এটিকেট’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অস্ত্রসহ গ্রেফতার মুবিনুল যুবদলের কেউ নয় দাবী মহেশখালীতে যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ আটক এক ২৪ ঘন্টায় ৬০ জন ‘শয়তান শিকার’ কক্সবাজার পুলিশের! কক্সবাজারে জাতীয় ফলমেলা ২০২৫ এর উদ্বোধন আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘এরিক’

শীতে নিজেকে উষ্ণ রাখতে এই খাবারগুলো খেতে পারেন

কনকনে শীত দেশজুড়ে। নিজেকে উষ্ণ রাখতে পোশাকের পাশাপাশি খাবারের ভূমিকাও আছে। জেনে নিন, শীত তাড়াতে সাহায্য করে এমন কিছু খাবারের কথা।

স্যুপ
শীতে শরীর গরম রাখার পাশাপাশি হাইড্রেট রাখাও জরুরি। স্যুপ দুটোই করতে পারবে। এ সময় টমেটো, গাজরের মতো তাজা-রঙিন সবজি দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন স্যুপ। এতে প্রচুর ভিটামিনও পাবেন। এ ছাড়া ডাল, বার্লি ও মুরগি দিয়ে স্যুপ বানিয়ে খেতে পারেন।

তুলসী ও আদা
শীতে শরীরকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে তুলসী ও আদার কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ, এই দুই প্রাকৃতিক উপাদানে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি–ইনফ্লামেটরি ও অ্যান্টিভাইরাল ক্ষমতা। প্রতিদিনের রান্নায় আদাকুচি ব্যবহার করুন, পাশাপাশি আদা চা পান করুন। গরম পানিতে আদাকুচি মিশিয়ে পান করতে পারেন।

হলুদ দুধ, হলুদ চা, মসলা চা
দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে বা হলুদ চা পান করতে পারেন। তাপ উৎপাদনের পাশাপাশি হলুদ শীতে ব্যথা-বেদনা দূর করবে। আবার মসলা চা আপনার মেটাবলিজমকে সাময়িকভাবে বাড়ায়, যা উষ্ণ অনুভূতি দেয়। শীতের সকালে মসলা চা খুসখুস কাশিও দূর করবে।

বাদাম ও শুকনা ফল
বিভিন্ন জাতের বাদাম ভালো কোলেস্টেরল, ভিটামিন, ফাইবার ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের সবচেয়ে ভালো উৎস। তাপ উৎপন্ন করে বলে শীতে নাশতা হিসেবে বাদাম খেতে পারেন। এদিকে খেজুর, কিশমিশ, অ্যাপ্রিকট ও অন্যান্য শুকনা ফল শীতে খাওয়া ভালো।

গুড়
আদার সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেলে ঠান্ডা-কাশি উপশম হয়। চায়ে চিনির পরিবর্তে খেজুরের গুড় খেতে পারেন।

ডিম
শীতে ভালো প্রোটিন খেতে হয়। তাই নিয়মিত ডিম খান। খাসি ও গরুর মাংস শরীরের তাপ বাড়াতে সাহায্য করে। তবে রেডমিট বেশি খাওয়া উচিত নয়।

আপেল
আপেলের ফাইবার আমাদের শরীরে উষ্ণতা ধরে রাখতে সক্ষম। এ ছাড়া এতে রয়েছে ৮৬ শতাংশ পানি। ফলে আমরা শীতে কম পানি পান করলেও শরীর হাইড্রেট থাকে।

মিষ্টি আলু
ফাইবার, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রনসমৃদ্ধ মিষ্টি আলুকে বলা হয় সুপারফুড।

মধু
সর্দি, কাশি, ফ্লু ইত্যাদির বিরুদ্ধে লড়তে অনন্য এক উপাদান মধু। এ ছাড়া শরীর গরম রাখতেও বেশ উপকারী।

অন্যান্য
শীতে অন্যান্য খাবারের মধ্যে মরিচ, দারুচিনি, রসুন ও সবুজ শাকসবজি খেতে পারেন।

ট্যাগ :

This will close in 6 seconds

শীতে নিজেকে উষ্ণ রাখতে এই খাবারগুলো খেতে পারেন

আপডেট সময় : ০৭:১৩:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

কনকনে শীত দেশজুড়ে। নিজেকে উষ্ণ রাখতে পোশাকের পাশাপাশি খাবারের ভূমিকাও আছে। জেনে নিন, শীত তাড়াতে সাহায্য করে এমন কিছু খাবারের কথা।

স্যুপ
শীতে শরীর গরম রাখার পাশাপাশি হাইড্রেট রাখাও জরুরি। স্যুপ দুটোই করতে পারবে। এ সময় টমেটো, গাজরের মতো তাজা-রঙিন সবজি দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন স্যুপ। এতে প্রচুর ভিটামিনও পাবেন। এ ছাড়া ডাল, বার্লি ও মুরগি দিয়ে স্যুপ বানিয়ে খেতে পারেন।

তুলসী ও আদা
শীতে শরীরকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে তুলসী ও আদার কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ, এই দুই প্রাকৃতিক উপাদানে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি–ইনফ্লামেটরি ও অ্যান্টিভাইরাল ক্ষমতা। প্রতিদিনের রান্নায় আদাকুচি ব্যবহার করুন, পাশাপাশি আদা চা পান করুন। গরম পানিতে আদাকুচি মিশিয়ে পান করতে পারেন।

হলুদ দুধ, হলুদ চা, মসলা চা
দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে বা হলুদ চা পান করতে পারেন। তাপ উৎপাদনের পাশাপাশি হলুদ শীতে ব্যথা-বেদনা দূর করবে। আবার মসলা চা আপনার মেটাবলিজমকে সাময়িকভাবে বাড়ায়, যা উষ্ণ অনুভূতি দেয়। শীতের সকালে মসলা চা খুসখুস কাশিও দূর করবে।

বাদাম ও শুকনা ফল
বিভিন্ন জাতের বাদাম ভালো কোলেস্টেরল, ভিটামিন, ফাইবার ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের সবচেয়ে ভালো উৎস। তাপ উৎপন্ন করে বলে শীতে নাশতা হিসেবে বাদাম খেতে পারেন। এদিকে খেজুর, কিশমিশ, অ্যাপ্রিকট ও অন্যান্য শুকনা ফল শীতে খাওয়া ভালো।

গুড়
আদার সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেলে ঠান্ডা-কাশি উপশম হয়। চায়ে চিনির পরিবর্তে খেজুরের গুড় খেতে পারেন।

ডিম
শীতে ভালো প্রোটিন খেতে হয়। তাই নিয়মিত ডিম খান। খাসি ও গরুর মাংস শরীরের তাপ বাড়াতে সাহায্য করে। তবে রেডমিট বেশি খাওয়া উচিত নয়।

আপেল
আপেলের ফাইবার আমাদের শরীরে উষ্ণতা ধরে রাখতে সক্ষম। এ ছাড়া এতে রয়েছে ৮৬ শতাংশ পানি। ফলে আমরা শীতে কম পানি পান করলেও শরীর হাইড্রেট থাকে।

মিষ্টি আলু
ফাইবার, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রনসমৃদ্ধ মিষ্টি আলুকে বলা হয় সুপারফুড।

মধু
সর্দি, কাশি, ফ্লু ইত্যাদির বিরুদ্ধে লড়তে অনন্য এক উপাদান মধু। এ ছাড়া শরীর গরম রাখতেও বেশ উপকারী।

অন্যান্য
শীতে অন্যান্য খাবারের মধ্যে মরিচ, দারুচিনি, রসুন ও সবুজ শাকসবজি খেতে পারেন।