ঢাকা ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কসউবিতে আন্তঃস্কুল বিতর্ক উৎসব শুরু শনিবার দ্রুত আ.লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত না এলে আবারও ‘ঢাকা মার্চ’: নাহিদ ইসলাম শ্বশুরবাড়িতে মারধরে জামাইয়ের মৃত্যু- উখিয়ায় গ্রেফতার ৩ কক্সবাজারের সুগন্ধার আলোচিত জমি নিয়ে আতাউল্লাহ সিদ্দিকী ও কাবেরীর বিবৃতি সকলকে তারুণ্যের সমাবেশে যোগ দেয়ার আহবান রামুতে ডেবিল হান্ট অভিযানে আটক ৩ আওয়ামীলীগ নেতা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে কক্সবাজারে বিক্ষোভ “ইন্টেরিম তুমি কার, ফ্যাসিবাদের পাহারাদার” আপ বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ উখিয়ায় পিতার বাড়িতে মিললো গৃহবধূর মরদেহ, স্বামী পলাতক ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় পিএসএল স্থানান্তর, আইপিএল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত সরকার আ.লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে: প্রেস উইং রাতভর নাটকীয়তার পর সকালে গ্রেফতার আইভী, দিলেন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বিদ্যুৎহীন কক্সবাজার, ভোগান্তি যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ নয়, নিষিদ্ধ করতে হবে আ.লীগকে: নাহিদ ইসলাম নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ : আসিফ মাহমুদ

রাসুল (সা.) যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিতেন

  • টিটিএন ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৯:১৮:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 85

আর মাত্র কয়েকদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। পবিত্র এ মাস মুসলমানদের জন্য সংযম ও শৃঙ্খলা অনুশীলনের এক পরম পরীক্ষা। রমজান মাস আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধির পাশাপাশি দৈহিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ সুযোগ। তাই এই মাসকে ঘিরে ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা।

আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি আরব বিশ্বের কিছু জায়গায় অর্ধচন্দ্র দেখা যাবে। ফলে পরদিন ১ মার্চ থেকে আরব বিশ্বে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে যাচ্ছে। আর বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে রোজা শুরু হবে ২ মার্চ থেকে। পরের ৩০ দিন রোজা পালন করতে হবে।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রমজানের আগের মাস অর্থাৎ রজব মাস থেকেই রোজার জন্য প্রস্তুতি নিতেন। রজব মাস এলেই তিনি রমজানের বরকত লাভের দোয়া করতেন। শাবান মাসেও ধারাবাহিকভাবে দোয়াটি পাঠ করতেন তিনি। রমজানের প্রস্তুতির জন্য রাসূল সা. শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতেন। তিনি এই মাসে অন্য যেকোনো মাসের তুলনায় বেশি নফল রোজা রাখতেন। তবে যারা এই মাসের শুরু থেকে নফল রোজা রাখেননি। তাদেরকে তিনি শেষের দিকে নফল রাখতে নিষেধ করেছেন।

রমজানসহ যেকোনো আরবি মাস শুরুর আগেই রাসূল সা. সেই মাসের চাঁদ দেখতেন। এবং তিনি প্রতি শাবানের শেষে চাঁদ দেখে রমজান মাস শুরু করার কথা বলেছেন। শাবান মাসে রাসূল সা. বেশি বেশি রমজান মাস সর্ম্পকে আলোচনা করতেন। এই মাসের ফজিলতের কথা বলতেন। রোজাদারের জন্য আল্লাহ তায়ালা কী কী পুরস্কার রেখেছেন তা আলোচনা করতেন।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের নিকট বরকতময় রমজান আগমন করেছে। আল্লাহতায়ালা রোজাকে তোমাদের জন্য ফরজ করেছেন। এ মাসে তার আসমানের দরজা খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়, শয়তানকে আবদ্ধ করে রাখা হয় এবং তাতে রয়েছে আল্লাহর জন্য এমন রাত যা হাজার রাত থেকে উত্তম। যে এ মাসের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো- সে প্রকৃতার্থেই বঞ্চিত হলো।

রোজার গুরুত্ব এতই বেশি যে, আল্লাহ নিজেই এর পুরস্কার দেবেন। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ বলেছেন, ‘মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্যই—রোজা ছাড়া। রোজা আমার জন্য, আমি নিজেই এর পুরস্কার দেব। আর রোজাদারদের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের ঘ্রাণের চেয়ে বেশি সুগন্ধযুক্ত।’

রোজার কারণে আগের সব গুনাহ মুছে ফেলা হয়। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে ও নেকির আশায় রমজান মাসের রোজা রাখে এবং রাতে দণ্ডায়মান হয় অর্থাৎ নামাজ পড়ে, তার আগের গুনাহসমূহ মাফ করা হয়।

হাদিসে আছে ‘রোজা কেয়ামতের দিন সুপারিশ করবে। কেয়ামতের দিন রোজা ও কোরআন সুপারিশ করবে। কোরআন বলবে, হে আমার রব, আমি তাকে রাতে ঘুমোতে দিইনি। আপনি তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন।’ রোজা ও কোরআন উভয়ের সুপারিশ কবুল করা হবে। রোজাদারের দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। মজলুমের দোয়া, রোজাদারের দোয়া ও মুসাফিরের দোয়া।’

ট্যাগ :

কসউবিতে আন্তঃস্কুল বিতর্ক উৎসব শুরু শনিবার

This will close in 6 seconds

রাসুল (সা.) যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিতেন

আপডেট সময় : ০৯:১৮:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আর মাত্র কয়েকদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। পবিত্র এ মাস মুসলমানদের জন্য সংযম ও শৃঙ্খলা অনুশীলনের এক পরম পরীক্ষা। রমজান মাস আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধির পাশাপাশি দৈহিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ সুযোগ। তাই এই মাসকে ঘিরে ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা।

আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি আরব বিশ্বের কিছু জায়গায় অর্ধচন্দ্র দেখা যাবে। ফলে পরদিন ১ মার্চ থেকে আরব বিশ্বে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে যাচ্ছে। আর বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে রোজা শুরু হবে ২ মার্চ থেকে। পরের ৩০ দিন রোজা পালন করতে হবে।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রমজানের আগের মাস অর্থাৎ রজব মাস থেকেই রোজার জন্য প্রস্তুতি নিতেন। রজব মাস এলেই তিনি রমজানের বরকত লাভের দোয়া করতেন। শাবান মাসেও ধারাবাহিকভাবে দোয়াটি পাঠ করতেন তিনি। রমজানের প্রস্তুতির জন্য রাসূল সা. শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতেন। তিনি এই মাসে অন্য যেকোনো মাসের তুলনায় বেশি নফল রোজা রাখতেন। তবে যারা এই মাসের শুরু থেকে নফল রোজা রাখেননি। তাদেরকে তিনি শেষের দিকে নফল রাখতে নিষেধ করেছেন।

রমজানসহ যেকোনো আরবি মাস শুরুর আগেই রাসূল সা. সেই মাসের চাঁদ দেখতেন। এবং তিনি প্রতি শাবানের শেষে চাঁদ দেখে রমজান মাস শুরু করার কথা বলেছেন। শাবান মাসে রাসূল সা. বেশি বেশি রমজান মাস সর্ম্পকে আলোচনা করতেন। এই মাসের ফজিলতের কথা বলতেন। রোজাদারের জন্য আল্লাহ তায়ালা কী কী পুরস্কার রেখেছেন তা আলোচনা করতেন।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের নিকট বরকতময় রমজান আগমন করেছে। আল্লাহতায়ালা রোজাকে তোমাদের জন্য ফরজ করেছেন। এ মাসে তার আসমানের দরজা খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়, শয়তানকে আবদ্ধ করে রাখা হয় এবং তাতে রয়েছে আল্লাহর জন্য এমন রাত যা হাজার রাত থেকে উত্তম। যে এ মাসের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো- সে প্রকৃতার্থেই বঞ্চিত হলো।

রোজার গুরুত্ব এতই বেশি যে, আল্লাহ নিজেই এর পুরস্কার দেবেন। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ বলেছেন, ‘মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্যই—রোজা ছাড়া। রোজা আমার জন্য, আমি নিজেই এর পুরস্কার দেব। আর রোজাদারদের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের ঘ্রাণের চেয়ে বেশি সুগন্ধযুক্ত।’

রোজার কারণে আগের সব গুনাহ মুছে ফেলা হয়। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে ও নেকির আশায় রমজান মাসের রোজা রাখে এবং রাতে দণ্ডায়মান হয় অর্থাৎ নামাজ পড়ে, তার আগের গুনাহসমূহ মাফ করা হয়।

হাদিসে আছে ‘রোজা কেয়ামতের দিন সুপারিশ করবে। কেয়ামতের দিন রোজা ও কোরআন সুপারিশ করবে। কোরআন বলবে, হে আমার রব, আমি তাকে রাতে ঘুমোতে দিইনি। আপনি তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন।’ রোজা ও কোরআন উভয়ের সুপারিশ কবুল করা হবে। রোজাদারের দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। মজলুমের দোয়া, রোজাদারের দোয়া ও মুসাফিরের দোয়া।’