ঢাকা ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের গোপন ‘গুদামে’ মাদক রাখে কারা? নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন ইমাম হোসেন: দ্রুত গতির মোটরসাইকেল কেড়ে নিলো প্রাণ মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের বক্তব্যের কোনো ভিত্তি নেই : প্রেস উইং নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এবার শূকর ও কুকুরের প্রাণহানি প্রেসক্লাবের ইফতার সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বৃদ্ধির একটি মাধ্যম-ইউএনও চকরিয়া আবুল কাসেম বাবুর ২য় মৃত্যু বার্ষিকীতে জেলা খেলাঘরের স্মরণ সভা বিয়ের দু’মাসেই সড়ক দূর্ঘটনায় দম্পতি: স্বামী নিহত স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি উত্তর ধূরুং ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সভা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন উখিয়ায় তরুণ সংবাদকর্মীদের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন “মোহাম্মদ জাবেরের সন্ধান চাই” আমরা দুনিয়ার মাঠে খেলার খেলোয়াড়, ছোট মাঠের না: প্রধান উপদেষ্টা যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ মাদককারবারি আটক এভিয়েশন সিকিউরিটি বিভাগকে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে হত্যার ৮ ঘন্টার ব্যবধানে তিন সহোদরসহ গ্রেফতার চার পেকুয়ায় সাপের কামড়ে মৃত্যু: ওঝার কাছে যাওয়ায় দেরি হয় হাসপাতালে নিতে

যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নেবেন

  • টিটিএন ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৯:১২:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 312

একজন মুমিনের জন্য পবিত্র রমজান মাসের প্রস্তুতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ সা. রমজানের আগের দুই মাসজুড়ে তথা রজব ও শাবানে বেশি বেশি নফল ইবাদত ও রোজা রাখার অভ্যাস করতেন।

রজবের শুরু থেকেই রাসুল সা. একে একে সব ব্যস্ততা কমিয়ে এনে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল হতেন এবং প্রিয় মাস রমজানের জন্য প্রহর গুনতেন। হজরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

পশ্চিম আকাশে রজবের চাঁদ দেখা গেলেই প্রিয় নবী আবেগময় কণ্ঠে মহান রবের দরবারে দোয়া করতেন- ‘আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফি রাজাবা ওয়া শাবান ওয়া বাল্লিগনা রামাদান।’ অর্থ – ‘হে আল্লাহ আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসকে বরকতময় করে দিন। আর আমাদের হায়াত রমজান মাস পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ (সুনানে নাসায়ি ও মুসনাদে আহমাদ)

এভাবেই রজবের দিন-রাত অশ্রুসিক্ত নয়নে প্রতীক্ষা করতেন নবী কারিম সা: ও সাহাবায়ে কেরাম। হজরত আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত, হজরত রসুলুল্লাহ সা: শাবান মাসের (দিন-তারিখের হিসাবের) প্রতি অধিক লক্ষ রাখতেন, যা অন্য মাসের ক্ষেত্রে রাখতেন না। (সুনানে আবু দাউদ-২৩২৫)

তাই শাবান মাসে এলে আরো বেশি নফল ইবাদত ও রোজা পালন করতেন আমাদের প্রিয় নবী সা.।

যেসব কাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদের পবিত্র রমজান মাসের জন্য প্রস্তুত করতে পারি, তার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা নিচে দেওয়া হলো।

রমজানের আগে নবীজি যে দোয়া বেশি বেশি পড়তেন

একনিষ্ঠভাবে তওবা করা

রমজান গুনাহ মাফের মাস। তাই এখন থেকে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর পথে ফিরে না এলে রমজানে তওবা নসিব নাও হতে পারে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, আর হে মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে তওবা করো; যাতে সফলকাম হতে পারো। (সুরা নুর: ৩১)

দোয়া করা

আমরা আগেই বলেছি, মহানবী সা. রজব মাসের চাঁদ ওঠার পর থেকেই রমজানের জন্য প্রস্তুত হতেন এবং মহান আল্লাহর কাছে রমজান পর্যন্ত বেঁচে থাকার আকুতি জানাতেন। বলতেন, ‘হে আল্লাহ আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসে বরকত দিন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখুন।’ (জামিউস সাগির)

রমজানের আগমনে খুশি হওয়া

রমজান মাস একজন মুসলিমের প্রতি আল্লাহ তাআলার বিশেষ নিয়ামত। আর আল্লাহ তাআলা বলেন, বলো, এটি আল্লাহর অনুগ্রহে ও তাঁর দয়ায়। কাজেই এতে তারা আনন্দিত হোক। এটি তারা যা সঞ্চয় করে রাখে, তা থেকে উত্তম। (সুরা ইউনুস: ৫৮)

কাজা রোজা আদায় করে নেয়া

আবু সালামা বলেন, আমি আয়েশা রা.-কে বলতে শুনেছি, ‘আমার ওপর গত রমজানের রোজা বাকি থাকলে শাবান মাসে ছাড়া আমি তা আদায় করতে পারতাম না।’ (বুখারি: ১৮৪৯)

নফল রোজা রাখা

আয়েশা রা. বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সা.-কে রমজান ছাড়া অন্য কোনো মাসের গোটা অংশ রোজা পালন করতে দেখিনি এবং শাবান ছাড়া অন্য কোনো মাসে অধিক সিয়াম পালন করতে দেখিনি। (বুখারি: ১৮৬৮)

রোজার প্রয়োজনীয় মাসআলাগুলো নির্ভরযোগ্য আলেম বা গ্রহণযোগ্য বই-পুস্তক থেকে জেনে নেয়া। রমজানে নিজেদের ব্যস্ততা কমিয়ে আনার জন্য এখন থেকে পরিকল্পনা করা এবং একটি উল্লেখযোগ্য সময় ইবাদত-বন্দেগিতে কাটানোর বন্দোবস্ত করা।

হতে পারে এ রমজানই আমার জীবনের শেষ রমজান। তাই এ রমজানকেই আত্মশুদ্ধি ও গুনাহ মাফের সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। আল্লাহ তাআলা আমাদের সত্যিকারের রোজাদার হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের গোপন ‘গুদামে’ মাদক রাখে কারা?

This will close in 6 seconds

যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নেবেন

আপডেট সময় : ০৯:১২:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

একজন মুমিনের জন্য পবিত্র রমজান মাসের প্রস্তুতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ সা. রমজানের আগের দুই মাসজুড়ে তথা রজব ও শাবানে বেশি বেশি নফল ইবাদত ও রোজা রাখার অভ্যাস করতেন।

রজবের শুরু থেকেই রাসুল সা. একে একে সব ব্যস্ততা কমিয়ে এনে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল হতেন এবং প্রিয় মাস রমজানের জন্য প্রহর গুনতেন। হজরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

পশ্চিম আকাশে রজবের চাঁদ দেখা গেলেই প্রিয় নবী আবেগময় কণ্ঠে মহান রবের দরবারে দোয়া করতেন- ‘আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফি রাজাবা ওয়া শাবান ওয়া বাল্লিগনা রামাদান।’ অর্থ – ‘হে আল্লাহ আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসকে বরকতময় করে দিন। আর আমাদের হায়াত রমজান মাস পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ (সুনানে নাসায়ি ও মুসনাদে আহমাদ)

এভাবেই রজবের দিন-রাত অশ্রুসিক্ত নয়নে প্রতীক্ষা করতেন নবী কারিম সা: ও সাহাবায়ে কেরাম। হজরত আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত, হজরত রসুলুল্লাহ সা: শাবান মাসের (দিন-তারিখের হিসাবের) প্রতি অধিক লক্ষ রাখতেন, যা অন্য মাসের ক্ষেত্রে রাখতেন না। (সুনানে আবু দাউদ-২৩২৫)

তাই শাবান মাসে এলে আরো বেশি নফল ইবাদত ও রোজা পালন করতেন আমাদের প্রিয় নবী সা.।

যেসব কাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদের পবিত্র রমজান মাসের জন্য প্রস্তুত করতে পারি, তার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা নিচে দেওয়া হলো।

রমজানের আগে নবীজি যে দোয়া বেশি বেশি পড়তেন

একনিষ্ঠভাবে তওবা করা

রমজান গুনাহ মাফের মাস। তাই এখন থেকে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর পথে ফিরে না এলে রমজানে তওবা নসিব নাও হতে পারে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, আর হে মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে তওবা করো; যাতে সফলকাম হতে পারো। (সুরা নুর: ৩১)

দোয়া করা

আমরা আগেই বলেছি, মহানবী সা. রজব মাসের চাঁদ ওঠার পর থেকেই রমজানের জন্য প্রস্তুত হতেন এবং মহান আল্লাহর কাছে রমজান পর্যন্ত বেঁচে থাকার আকুতি জানাতেন। বলতেন, ‘হে আল্লাহ আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসে বরকত দিন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখুন।’ (জামিউস সাগির)

রমজানের আগমনে খুশি হওয়া

রমজান মাস একজন মুসলিমের প্রতি আল্লাহ তাআলার বিশেষ নিয়ামত। আর আল্লাহ তাআলা বলেন, বলো, এটি আল্লাহর অনুগ্রহে ও তাঁর দয়ায়। কাজেই এতে তারা আনন্দিত হোক। এটি তারা যা সঞ্চয় করে রাখে, তা থেকে উত্তম। (সুরা ইউনুস: ৫৮)

কাজা রোজা আদায় করে নেয়া

আবু সালামা বলেন, আমি আয়েশা রা.-কে বলতে শুনেছি, ‘আমার ওপর গত রমজানের রোজা বাকি থাকলে শাবান মাসে ছাড়া আমি তা আদায় করতে পারতাম না।’ (বুখারি: ১৮৪৯)

নফল রোজা রাখা

আয়েশা রা. বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সা.-কে রমজান ছাড়া অন্য কোনো মাসের গোটা অংশ রোজা পালন করতে দেখিনি এবং শাবান ছাড়া অন্য কোনো মাসে অধিক সিয়াম পালন করতে দেখিনি। (বুখারি: ১৮৬৮)

রোজার প্রয়োজনীয় মাসআলাগুলো নির্ভরযোগ্য আলেম বা গ্রহণযোগ্য বই-পুস্তক থেকে জেনে নেয়া। রমজানে নিজেদের ব্যস্ততা কমিয়ে আনার জন্য এখন থেকে পরিকল্পনা করা এবং একটি উল্লেখযোগ্য সময় ইবাদত-বন্দেগিতে কাটানোর বন্দোবস্ত করা।

হতে পারে এ রমজানই আমার জীবনের শেষ রমজান। তাই এ রমজানকেই আত্মশুদ্ধি ও গুনাহ মাফের সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। আল্লাহ তাআলা আমাদের সত্যিকারের রোজাদার হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন।