ঢাকা ১১:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই শহীদদের স্বরণে টেকনাফে এনসিপি’র খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত জুলাই হ’ত্যা’কা’ণ্ড ইতিহাসের কলঙ্ক, শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিন : খালেদা জিয়া” সিসিএন ও সিজেএন এর জয় হাসনাত-সারজিসকে ১০০ বার ফোন দিলেও রিসিভ করে না: শহীদ আবদুল্লাহর মায়ের অভিযোগ ভোটের তারিখ বা সম্ভাব্য সময় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হয়নি: সিইসি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ পাকিস্তানে বৃষ্টি ও বন্যায় একই পরিবারের ১৩ জনসহ ৪৬ জনের মৃত্যু জুলাইকে সবার গণজাগরণ ও ঐক্যের মাসে পরিণত করুন : প্রধান উপদেষ্টা তারেক জিয়া দেশে ফিরছেন ২৮ জুলাই! কচ্ছপিয়ায় বসতঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর ইয়াবা বিক্রি: ইয়াবা’সহ ধৃত ভুট্টো সালাহউদ্দিন আহমদের জন্মদিনে কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের নানা আয়োজন কক্সবাজার সরকারি কলেজ একাউন্টিং ক্লাবের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত, অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানকে ফুলেল শুভেচ্ছা আগামী ২০ জুলাই থেকে শহীদ দৌলত ময়দানে হবে বৃক্ষ মেলা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নুরুল আবছারের পরিবারকে কোস্ট ফাউন্ডেশনের ১ লক্ষ টাকা অনুদান গর্জনিয়ার বড়বিল থেকে পরিত্যক্ত অস্ত্র উদ্ধার : পৃথক ঘটনায় দুজন আটক

বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস: বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৩.৩ শতাংশে নেমে আসবে

বিশ্বব্যাংক বলছে, চলতি অর্থবছর (২০২৪-২৫) শেষে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেমে আসবে মাত্র ৩.৩ শতাংশে, যা পূর্বের ৪ শতাংশ পূর্বাভাস থেকেও কম। বুধবার (২৩ এপ্রিল) প্রকাশিত ‘সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট: ট্যাক্সিং টাইমস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক সহিংসতা, কারফিউ ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধের ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। প্রথম তিন প্রান্তিকে বেসরকারি ও সরকারি বিনিয়োগে প্রবল ধস দেখা গেছে, যার প্রভাব পুরো অর্থবছরে পড়বে।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ৭ দশমিক ৩ শতাংশ, যা গত ৩০ বছরে সর্বনিম্ন। এতে স্পষ্ট যে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগপ্রবণতা অত্যন্ত দুর্বল।

সরকারি বিনিয়োগেও ধীরগতি দেখা যাচ্ছে, কারণ মূলধনী ব্যয় হ্রাস পাচ্ছে। তবে কিছুটা স্বস্তির খবর হলো, বৈদেশিক খাতে চাপ কিছুটা কমেছে এবং চলতি হিসাব ঘাটতি সংকুচিত হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার বলেন, ‘গত এক দশকের একাধিক ধাক্কা দক্ষিণ এশিয়াকে দুর্বল করে দিয়েছে। এখন সময় এসেছে রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কার, কৃষিতে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো ও জলবায়ু সহনশীলতা গড়ে তোলার জন্য টার্গেটেড রিফর্মের।’

প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারতের প্রবৃদ্ধি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৩ শতাংশে নামবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার জন্য এই হার ৩ দশমিক ১ শতাংশ।

এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে স্পষ্ট হলো, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত না করা গেলে বাংলাদেশের অর্থনীতি সামনে আরও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।

সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই শহীদদের স্বরণে টেকনাফে এনসিপি’র খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

This will close in 6 seconds

বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস: বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৩.৩ শতাংশে নেমে আসবে

আপডেট সময় : ০২:২০:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

বিশ্বব্যাংক বলছে, চলতি অর্থবছর (২০২৪-২৫) শেষে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেমে আসবে মাত্র ৩.৩ শতাংশে, যা পূর্বের ৪ শতাংশ পূর্বাভাস থেকেও কম। বুধবার (২৩ এপ্রিল) প্রকাশিত ‘সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট: ট্যাক্সিং টাইমস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক সহিংসতা, কারফিউ ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধের ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। প্রথম তিন প্রান্তিকে বেসরকারি ও সরকারি বিনিয়োগে প্রবল ধস দেখা গেছে, যার প্রভাব পুরো অর্থবছরে পড়বে।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ৭ দশমিক ৩ শতাংশ, যা গত ৩০ বছরে সর্বনিম্ন। এতে স্পষ্ট যে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগপ্রবণতা অত্যন্ত দুর্বল।

সরকারি বিনিয়োগেও ধীরগতি দেখা যাচ্ছে, কারণ মূলধনী ব্যয় হ্রাস পাচ্ছে। তবে কিছুটা স্বস্তির খবর হলো, বৈদেশিক খাতে চাপ কিছুটা কমেছে এবং চলতি হিসাব ঘাটতি সংকুচিত হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার বলেন, ‘গত এক দশকের একাধিক ধাক্কা দক্ষিণ এশিয়াকে দুর্বল করে দিয়েছে। এখন সময় এসেছে রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কার, কৃষিতে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো ও জলবায়ু সহনশীলতা গড়ে তোলার জন্য টার্গেটেড রিফর্মের।’

প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারতের প্রবৃদ্ধি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৩ শতাংশে নামবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার জন্য এই হার ৩ দশমিক ১ শতাংশ।

এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে স্পষ্ট হলো, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত না করা গেলে বাংলাদেশের অর্থনীতি সামনে আরও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।

সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন