ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম ছাত্রসংগঠনসমূহের নেতাকর্মীদের পদযাত্রায় বাধা প্রদান এবং পুলিশ কর্তৃক গায়েবি মামলা দায়েরের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
গত ১১ মার্চ “ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ” নামক প্ল্যাটফর্মের ব্যানারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর গণপদযাত্রা করে স্মারকলিপি প্রদান করতে গেলে শাহবাগ এলাকায় তাদের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ বাদী হয়ে উক্ত প্ল্যাটফর্মের সাথে জড়িত বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের ১২ জন নেতৃবৃন্দসহ ৭০-৮০ জন অজ্ঞাতনামা আসামির উল্লেখ করে রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
ছাত্রদল ১৭ মার্চ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “মামলার এজাহারভূক্ত আসামি একাধিক ছাত্রনেতা ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিলেন না। এধরণের মামলা ফ্যাসিস্ট রেজিমের গায়েবি মামলার সংস্কৃতির পুনরাবৃত্তি। ”
এছাড়াও গভীর রাতে ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ডকে তার নিজের বাসা থেকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেছে পুলিশ বলে জানানো হয় বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ” ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি পুলিশ প্রশাসনের এমন আচরণের বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা রেজিমের পতনের পরেও পুলিশের আচরণের কাঙ্খিত মাত্রায় পরিবর্তন হয়নি। ”
হাসিনার বিশ্বস্ত কর্মকর্তারা অদ্যবধি পুলিশ প্রশাসনে বহাল থাকায় তারা প্রতিশোধস্পৃহা থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রনেতাদের সাথে মারমুখী আচরণ করছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির ছাত্রনেতাদের হয়রানি না করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং নারী নির্যাতনের মামলাগুলোর দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে যথাযথ ভূমিকা রাখার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান বলে ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত ঐ বিবৃতিতে জানানো হয়।