ঢাকা ১০:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইস্টার সানডে আজ,মৃ’ত্যুকে জয় করে এই দিনে পুনরুত্থিত হয়েছিলেন যিশু ২ লক্ষ ৪৯ হাজার নকল টাকা সহ কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের হাসান মেম্বার আ’ট’ক সীমান্তের ‘ইয়াবা মাফিয়া’ মনির – বরখাস্ত হয়েও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে বহাল! রামুতে স্বর্গপূরী উৎসবে সম্প্রীতির মিলনমেলা… মহেশখালীতে ইজিবাইকসহ চালক অপহরণ: উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী নাগরিকদের পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ্রমণ না করার পরামর্শ মার্কিন দূতাবাসের “সমৃদ্ধ কক্সবাজার”-এর নতুন দায়িত্বে শাহীন চেয়ারম্যান, মামুন প্রধান নির্বাহী আগামী নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসে সর্বোত্তম নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা মহাসড়কের খরুলিয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ গেলো যুবকের তারুণ্যের অভিযাত্রিক’র “তারুণ্যের মিলনমেলা” সম্পন্ন রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন এখন সম্ভব নয়- খলিলুর হিমছড়িতে পুলিশের চেকপোস্টে ২৮টি মোটরসাইকেল আটক মাত্র ৩৫ মিনিটে পারাপার করতে পারবে ৩শ মানুষ খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘ক্যাশিয়ার’ গ্রেপ্তার সড়কে প্রাণ গেলো দুই যুবকের

নবজাতক মেয়েশিশুর কানে কি আজান দিতে হবে?

সন্তান জন্মের পর সন্তানের কানে আজান দেওয়া সুন্নত। নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার নাতি হাসানের কানে আজান দিয়েছেন বলে বর্ণিত হয়েছে। আবু রাফে (রা.) বলেন,

رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ أَذّنَ فِي أُذُنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ حِينَ وَلَدَتْهُ فَاطِمَةُ بِالصّلَاةِ.

আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হাসান বিন আলি (রা.) জন্মগ্রহণ করার পর তার কানে নামাজের আজানের মত আজান দিতে দেখেছি। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১০৫)।

বিখ্যাত হাদিস ব্যাখ্যাকার মোল্লা আলি কারি (রহ.) এ হাদিস উল্লেখ করে বলেছেন, এই হাদিস থেকে প্রমাণিত হয় যে, নবজাতকের কানে আজান দেওয়া সুন্নত। (মিরকাতুল মাফাতিহ: ৮/৮১)

এ ছাড়া কিছু হাদিসে ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাই আলেমরা নবজাতকের ডান কানে আজান দেওয়ার পাশাপাশি বাম কানে ইকামত দেওয়াও মুস্তাহাব বলেছেন।

আজান-ইকামতের ক্ষেত্রে ছেলে বা মেয়ে সন্তানের মধ্যে পার্থক্য নেই। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই জন্মের পর কানে আজান-ইকামত দেওয়া সুন্নত। অনেকে ছেলে হলে কানে আজান-ইকামত দেয়, মেয়ে হলে দেয় না বা শুধু আজান দেয় ইকামত দেয় না। এটা ঠিক নয়। ছেলে ও মেয়ে সন্তান উভয়ের ক্ষেত্রেই ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দিতে হবে।

নবজাতকের কানে নামাজের আজানের মতোই আজান দিতে হবে। আজানের সব বাক্য উচ্চারণ করতে হবে। হাইয়া আলাস সালাহ ও হাইয়া আলাল ফালাহ বলার সময় নামাজের আজানের মতোই চেহারা ডানে-বামে ঘোরানো উত্তম।

পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও নবজাতক শিশুর কানে আজান দিতে পারেন। এই আজানের মাধ্যমে মানুষকে নামাজের দিকে ডাকা হয় না, তাই অনেক বেশি উচ্চৈস্বরে এ আজান দেওয়ার প্রয়োজন নেই। নারীরা নিচু স্বরে শিশুর ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে ওই নারীর হায়েজ-নেফাস থেকে পবিত্র থাকা জরুরী।

সন্তান জন্মগ্রহণ করার পর মসজিদে আজান হলেও নবজাতকের কানে পৃথকভাবে আজান দেওয়া সুন্নত। কারণ এটি একটি স্বতন্ত্র সুন্নত, মসজিদের আজানের মাধ্যমে এ সুন্নত আদায় হবে না।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইস্টার সানডে আজ,মৃ’ত্যুকে জয় করে এই দিনে পুনরুত্থিত হয়েছিলেন যিশু

This will close in 6 seconds

নবজাতক মেয়েশিশুর কানে কি আজান দিতে হবে?

আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সন্তান জন্মের পর সন্তানের কানে আজান দেওয়া সুন্নত। নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার নাতি হাসানের কানে আজান দিয়েছেন বলে বর্ণিত হয়েছে। আবু রাফে (রা.) বলেন,

رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ أَذّنَ فِي أُذُنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ حِينَ وَلَدَتْهُ فَاطِمَةُ بِالصّلَاةِ.

আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হাসান বিন আলি (রা.) জন্মগ্রহণ করার পর তার কানে নামাজের আজানের মত আজান দিতে দেখেছি। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১০৫)।

বিখ্যাত হাদিস ব্যাখ্যাকার মোল্লা আলি কারি (রহ.) এ হাদিস উল্লেখ করে বলেছেন, এই হাদিস থেকে প্রমাণিত হয় যে, নবজাতকের কানে আজান দেওয়া সুন্নত। (মিরকাতুল মাফাতিহ: ৮/৮১)

এ ছাড়া কিছু হাদিসে ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাই আলেমরা নবজাতকের ডান কানে আজান দেওয়ার পাশাপাশি বাম কানে ইকামত দেওয়াও মুস্তাহাব বলেছেন।

আজান-ইকামতের ক্ষেত্রে ছেলে বা মেয়ে সন্তানের মধ্যে পার্থক্য নেই। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই জন্মের পর কানে আজান-ইকামত দেওয়া সুন্নত। অনেকে ছেলে হলে কানে আজান-ইকামত দেয়, মেয়ে হলে দেয় না বা শুধু আজান দেয় ইকামত দেয় না। এটা ঠিক নয়। ছেলে ও মেয়ে সন্তান উভয়ের ক্ষেত্রেই ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দিতে হবে।

নবজাতকের কানে নামাজের আজানের মতোই আজান দিতে হবে। আজানের সব বাক্য উচ্চারণ করতে হবে। হাইয়া আলাস সালাহ ও হাইয়া আলাল ফালাহ বলার সময় নামাজের আজানের মতোই চেহারা ডানে-বামে ঘোরানো উত্তম।

পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও নবজাতক শিশুর কানে আজান দিতে পারেন। এই আজানের মাধ্যমে মানুষকে নামাজের দিকে ডাকা হয় না, তাই অনেক বেশি উচ্চৈস্বরে এ আজান দেওয়ার প্রয়োজন নেই। নারীরা নিচু স্বরে শিশুর ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে ওই নারীর হায়েজ-নেফাস থেকে পবিত্র থাকা জরুরী।

সন্তান জন্মগ্রহণ করার পর মসজিদে আজান হলেও নবজাতকের কানে পৃথকভাবে আজান দেওয়া সুন্নত। কারণ এটি একটি স্বতন্ত্র সুন্নত, মসজিদের আজানের মাধ্যমে এ সুন্নত আদায় হবে না।