ঢাকা ১০:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাজনীতি চরিত্র বদলায়, কাহিনী বদলায় না ইসলামাবাদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক গ্রেফতার একলাফে সাড়ে ১০ হাজার টাকা কমলো স্বর্ণের দাম পল্টন ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল নিখোঁজের ২৫ ঘণ্টা পর বাঁকখালি নদী থেকে ইব্রাহিমের ম’র’দে’হ উদ্ধার কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক কোনো ফ্লাইট-জরুরি অবতরণও নিষেধ যে কারণে.. সাগরজলে নারী পর্যটকের গোসলের ভিডিও ধারণ, টিকটকার গ্রেফতার কালারমারছড়ায় পুলিশের অভিযান: অস্ত্রসহ আটক ৩ মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সৌজন্যে সাক্ষাৎ সীমান্তে ৪ লাখ ইয়াবা জব্দ : ৬ মাসে ৪০ কোটি টাকার অধিক মূল্যের ইয়াবা উদ্ধার ৩৪ বিজিবির পেকুয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গ্রেফতার হলো রংপুরের মোবারক আলী হত্যা মামলার মূলহোতা মমিনুল টেকনাফে ইয়াবাসহ ৩ মাদক কারবারি গ্রেফতার মোনথা এখন প্রবল ঘূর্ণিঝড়, যাচ্ছে অন্ধ্রের দিকে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ৩ অস্ত্রধারীসহ ১৩ জন আনসার নিয়োজিত থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে

বিশ্বের পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। দেশের পর্যটন খাতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার ক্ষেত্রে এই ট্যুরিজম পার্কগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া।

শুক্রবার বিকেলে টেকনাফ উপজেলায় নির্মানাধীন সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক পরিদর্শন করেন মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া। কক্সবাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সরেজমিনে পরিদর্শনের অংশ হিসেবে সাবরং ট্যুরিজম পার্ক ঘুরে দেখেন তিনি।

এ সময় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) যুগ্ন সচিব দয়ানন্দ দেবনাথ, আবু হেনা মো. মুস্তাফা কামাল, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন, সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক জোনের পরিচালক আবু লাহেল, ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন, ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।

মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া বলেন,”কক্সবাজারের জন্য ট্যুরিজম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তাছাড়া এ জেলাকে পযর্টকনগরী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। দেশি-বিদেশি পর্যটক টানতে সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তুলা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়িত হলে অনেক মানুষের কর্ম সংস্থার সুযোগ লাভ করবে। পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ পাবে।

বেজা জানায়, আর্ন্তজাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে কক্সবাজারের টেকনাফের সুমদ্র সৈকতের তীরে পর্যকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য সাবরাংয়ে ৯৬১ একর আয়তনের এ পার্কে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা রেখে অবকাঠামো নির্মাণ হচ্ছে। এ জমি বরাতে ১৮৭ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ইতি মধ্য পরিকল্পিত এই আধুনিক পর্যটন পার্কে ২৩ জন বিনিয়োগকারীর অনুকূলে ১১২.২৯ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে, যাদের প্রস্তাবিত বিনিয়োগ ৪১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এদের মধ্যে নেদারল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। এখানে প্রায় ১৫ হাজারের বেশি মানুষ কর্মসংস্থার সুযোগ পাবে। এছাড়া পার্ক সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ হতে নেটং হিল হয়ে নাফ ট্যুরিজম পার্ক পর্যন্ত প্রায় ৮.৫০ কিলোমিটার ক্যাবল কার স্থাপনের জন্য একটি সমীক্ষা কার্যক্রম সম্পাদন করা হচ্ছে এবং সমীক্ষাটি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বেজা মাটি ভরাট; ভূমি, সড়ক উন্নয়নসহ অন্যান্য উন্নয়ন কার্যক্রম শেষ করেছে। পার্কটি টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে ৮ কিলোমিটার ও কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে ২ ঘণ্টার দূরত্বের মধ্যে। আর ঢাকা থেকে দূরত্ব ৪৬৮ কিলোমিটার। এটি পাহাড় ও সমুদ্রসৈকত নিয়ে বহুমুখী ও বৈচিত্র্যপূর্ণ চমৎকার একটি অঞ্চল। যদিও মিয়ানমার আপত্তির কারনে নাফ ট্যুরিজম পার্কেও কাজ বন্ধ রয়েছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাজনীতি চরিত্র বদলায়, কাহিনী বদলায় না

This will close in 6 seconds

দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে

আপডেট সময় : ০৪:৫৪:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

বিশ্বের পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। দেশের পর্যটন খাতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার ক্ষেত্রে এই ট্যুরিজম পার্কগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া।

শুক্রবার বিকেলে টেকনাফ উপজেলায় নির্মানাধীন সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক পরিদর্শন করেন মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া। কক্সবাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সরেজমিনে পরিদর্শনের অংশ হিসেবে সাবরং ট্যুরিজম পার্ক ঘুরে দেখেন তিনি।

এ সময় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) যুগ্ন সচিব দয়ানন্দ দেবনাথ, আবু হেনা মো. মুস্তাফা কামাল, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন, সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক জোনের পরিচালক আবু লাহেল, ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন, ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।

মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া বলেন,”কক্সবাজারের জন্য ট্যুরিজম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তাছাড়া এ জেলাকে পযর্টকনগরী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। দেশি-বিদেশি পর্যটক টানতে সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তুলা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়িত হলে অনেক মানুষের কর্ম সংস্থার সুযোগ লাভ করবে। পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ পাবে।

বেজা জানায়, আর্ন্তজাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে কক্সবাজারের টেকনাফের সুমদ্র সৈকতের তীরে পর্যকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য সাবরাংয়ে ৯৬১ একর আয়তনের এ পার্কে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা রেখে অবকাঠামো নির্মাণ হচ্ছে। এ জমি বরাতে ১৮৭ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ইতি মধ্য পরিকল্পিত এই আধুনিক পর্যটন পার্কে ২৩ জন বিনিয়োগকারীর অনুকূলে ১১২.২৯ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে, যাদের প্রস্তাবিত বিনিয়োগ ৪১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এদের মধ্যে নেদারল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। এখানে প্রায় ১৫ হাজারের বেশি মানুষ কর্মসংস্থার সুযোগ পাবে। এছাড়া পার্ক সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ হতে নেটং হিল হয়ে নাফ ট্যুরিজম পার্ক পর্যন্ত প্রায় ৮.৫০ কিলোমিটার ক্যাবল কার স্থাপনের জন্য একটি সমীক্ষা কার্যক্রম সম্পাদন করা হচ্ছে এবং সমীক্ষাটি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বেজা মাটি ভরাট; ভূমি, সড়ক উন্নয়নসহ অন্যান্য উন্নয়ন কার্যক্রম শেষ করেছে। পার্কটি টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে ৮ কিলোমিটার ও কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে ২ ঘণ্টার দূরত্বের মধ্যে। আর ঢাকা থেকে দূরত্ব ৪৬৮ কিলোমিটার। এটি পাহাড় ও সমুদ্রসৈকত নিয়ে বহুমুখী ও বৈচিত্র্যপূর্ণ চমৎকার একটি অঞ্চল। যদিও মিয়ানমার আপত্তির কারনে নাফ ট্যুরিজম পার্কেও কাজ বন্ধ রয়েছে।