ঢাকা ০৯:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
পেকুয়ায় বাসের ধাক্কায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু সমন্বিত শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে সদর ইউএনওর বিদায় সংবর্ধনা… খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় উখিয়া প্রেসক্লাবে দোয়া মাহফিল আলীকদমের দুর্গম এলাকায় বিজিবির উদ্যোগে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ভারতে বন্দি কুতুবদিয়ার ৪০ জেলে: উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় পরিবার উখিয়ার চাঞ্চল্যকর রহিমা হ’ত্যা’কাণ্ড, র‍্যাবের জালে স্বামী এবার লটারিতে নির্ধারণ হলো কক্সবাজারের ৯ থানাসহ ৫২৭ থানার ওসি এলপি গ্যাসের দাম বাড়ল, সন্ধ্যা থেকেই কার্যকর এড.ফরিদুল আলমের জানাজা বাদ মাগরিব ঈদগাহ মাঠে : মরদেহ পৌঁছাবে বিকেল ৩ টায় জাতীয় পরিচয়পত্র যেসব তথ্য পরিবর্তন করা যাবে, জানাল ইসি কক্সবাজারে বিএসপিএ-এর উদ্যোগে দিনব্যাপী ‘ক্রীড়া সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ’ অনুষ্ঠিত চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন খালেদা জিয়া : ডা. জাহিদ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের কক্সবাজার সফরের বিস্তারিত কক্সবাজারে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প অনূভুত, উৎপত্তিস্থল মিয়ানমার শিগগিরই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান: সালাহউদ্দিন আহমেদ

চুরি হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার

বাংলাদেশ থেকে চুরি হওয়া অর্থ জনগণের কাছে ফিরিয়ে আনার জন্য বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে সরকার। জবাবদিহি ও ন্যায়বিচারের প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো বিবৃতিতে এসব কথা এ বলা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের মতপ্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, চুরি হওয়া অর্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি ও সম্পদ, যেগুলোর সঙ্গে আগের সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যোগসূত্র রয়েছে, সেগুলো অবশ্যই যথাযথভাবে তদন্ত করা উচিত। যদি প্রমাণিত হয় যে তারা আত্মসাৎ থেকে উপকৃত হয়েছে, তবে আমরা আশা করি সেসব সম্পদ সেগুলোর ন্যায্যস্থান বাংলাদেশে ফেরত আনা হবে।

এতে বলা হয়েছে, লন্ডনের সানডে টাইমস পত্রিকাকে অধ্যাপক ইউনূস যেমন বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিক হয়তো লন্ডনে তার ব্যবহৃত সম্পত্তির অর্থের উৎস পুরোপুরি বুঝতে পারেননি, তবে তিনি এখন জানেন এবং বাংলাদেশের জনগণের কাছে তার ক্ষমা চাওয়া উচিত।

প্রেস উইং জানিয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে যাতে বাংলাদেশের জনগণের চুরি হওয়া অর্থের ঘটনা তদন্ত ও পুনরুদ্ধার করা যায়। এই ধরনের সহযোগিতা আন্তর্জাতিক আর্থিক অপরাধের নেটওয়ার্ক ভেঙে ফেলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এতে আরও বলা হয়েছে, আমরা আশা করি যে, যুক্তরাজ্যসহ সব বন্ধুত্বপূর্ণ সরকার বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবে এবং এই অপরাধগুলোর জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। দুর্নীতি যারা করে এবং তাদের কিছু আত্মীয় ও সহযোগীরাই কেবল দুর্নীতি থেকে উপকৃত হয়।

প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের চলমান তদন্ত আগের সরকারের দুর্নীতির মাত্রা স্পষ্ট করে তুলেছে। এটিসহ অন্যান্য প্রকল্পে জনগণের সম্পদের অপব্যবহার শুধু বাংলাদেশের জনগণকে লুট করা হয়েছে তাই নয়, এটি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পথেও বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে।

বাংলাদেশের জনগণের অর্থ লুট হওয়ার ফলে দেশকে একটি বড় আর্থিক ঘাটতির মুখোমুখি হতে হয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে চুরি হওয়া অর্থ এ দেশের জনগণের সম্পদ। আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবো যাতে করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

পেকুয়ায় বাসের ধাক্কায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু

This will close in 6 seconds

চুরি হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার

আপডেট সময় : ০৭:৩২:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশ থেকে চুরি হওয়া অর্থ জনগণের কাছে ফিরিয়ে আনার জন্য বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে সরকার। জবাবদিহি ও ন্যায়বিচারের প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো বিবৃতিতে এসব কথা এ বলা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের মতপ্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, চুরি হওয়া অর্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি ও সম্পদ, যেগুলোর সঙ্গে আগের সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যোগসূত্র রয়েছে, সেগুলো অবশ্যই যথাযথভাবে তদন্ত করা উচিত। যদি প্রমাণিত হয় যে তারা আত্মসাৎ থেকে উপকৃত হয়েছে, তবে আমরা আশা করি সেসব সম্পদ সেগুলোর ন্যায্যস্থান বাংলাদেশে ফেরত আনা হবে।

এতে বলা হয়েছে, লন্ডনের সানডে টাইমস পত্রিকাকে অধ্যাপক ইউনূস যেমন বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিক হয়তো লন্ডনে তার ব্যবহৃত সম্পত্তির অর্থের উৎস পুরোপুরি বুঝতে পারেননি, তবে তিনি এখন জানেন এবং বাংলাদেশের জনগণের কাছে তার ক্ষমা চাওয়া উচিত।

প্রেস উইং জানিয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে যাতে বাংলাদেশের জনগণের চুরি হওয়া অর্থের ঘটনা তদন্ত ও পুনরুদ্ধার করা যায়। এই ধরনের সহযোগিতা আন্তর্জাতিক আর্থিক অপরাধের নেটওয়ার্ক ভেঙে ফেলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এতে আরও বলা হয়েছে, আমরা আশা করি যে, যুক্তরাজ্যসহ সব বন্ধুত্বপূর্ণ সরকার বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবে এবং এই অপরাধগুলোর জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। দুর্নীতি যারা করে এবং তাদের কিছু আত্মীয় ও সহযোগীরাই কেবল দুর্নীতি থেকে উপকৃত হয়।

প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের চলমান তদন্ত আগের সরকারের দুর্নীতির মাত্রা স্পষ্ট করে তুলেছে। এটিসহ অন্যান্য প্রকল্পে জনগণের সম্পদের অপব্যবহার শুধু বাংলাদেশের জনগণকে লুট করা হয়েছে তাই নয়, এটি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পথেও বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে।

বাংলাদেশের জনগণের অর্থ লুট হওয়ার ফলে দেশকে একটি বড় আর্থিক ঘাটতির মুখোমুখি হতে হয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে চুরি হওয়া অর্থ এ দেশের জনগণের সম্পদ। আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবো যাতে করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়।