ঢাকা ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শিক্ষক ইকবাল হত্যায় মামলা দায়ের জুলাই থেকে আন্তর্জাতিক হচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দর টেকনাফে অপহরণকারীদের সাথে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি: গুলিবিদ্ধ এক সুফি/কাওয়ালী সংগীত বিষয়ক প্রশিক্ষণ শুরু কক্সবাজার শিল্পকলায় ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে কক্সবাজার সিটি কলেজে ছাত্রদলের মানববন্ধন ডিসি নিয়োগ ও বই ছাপানোয় অনিয়মের অভিযোগ: এনসিপি থেকে তানভীরকে সাময়িক অব্যাহতি উখিয়া কলেজের শিক্ষক ইকবালের জানাজায় শোকার্ত মানুষের ঢল রাষ্ট্রপতির দণ্ড মওকুফের তালিকা প্রকাশ প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল আমরা চীনের খুব ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা সাংবাদিক নিশানের পিতার মৃত্যুতে রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজার’র শোক হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের ‘এনআইডি লক’ পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে এবার গ্রেপ্তার দেখানো হল হত্যা মামলায় বৃষ্টি নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর তিনবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না কেউ

চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যায় চন্দন দাস গ্রেপ্তার

  • টিটিএন ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৯:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 205

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর নাম চন্দন দাস। তিনি চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি সেবক কলোনির বাসিন্দা। গতকাল বুধবার রাতে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেখানে রেলস্টেশনের পাশে মেথরপট্টিতে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পথে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ বলছে, আইনজীবী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি চন্দন। তিনি কিরিচ হাতে আইনজীবীকে কুপিয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার সকালে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীন মিয়া আজ বলেন, ‘চন্দন রেলস্টেশনে ঘোরাঘুরি করছিলেন। রাতে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই খবর পেয়ে তাঁকে আমরা গ্রেপ্তার করি। তাঁকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী তারেক আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পুলিশ ভৈরব থেকে চন্দনকে গ্রেপ্তার করে। আইনজীবী হত্যার ভিডিওতে কমলা রঙের গেঞ্জি আর কালো প্যান্ট পরা ছিলেন চন্দন।

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর হওয়াকে কেন্দ্র করে গত ২৬ নভেম্বর আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধাদান এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬ মামলায় গ্রেপ্তার হন ৪০ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ১০ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন। গত সোমবার পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধাদানের মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামির জন্য ওকালতনামা দিলে আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেন অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর সরকারি কৌঁসুলি নেজাম উদ্দিন।

ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের সংগ্রহ করা ৫২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজের সূত্র ধরে তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আইনজীবী সাইফুলকে কোপান ওম দাশ, চন্দন ও রনব, আর তাঁকে পেটাতে থাকেন অন্যরা। সেখানে আরও ২৫-৩০ জন ছিলেন। তাঁদের বেশির ভাগই পরিচ্ছন্নতাকর্মী।

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষক ইকবাল হত্যায় মামলা দায়ের

This will close in 6 seconds

চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যায় চন্দন দাস গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০৯:৪৯:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর নাম চন্দন দাস। তিনি চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি সেবক কলোনির বাসিন্দা। গতকাল বুধবার রাতে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেখানে রেলস্টেশনের পাশে মেথরপট্টিতে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পথে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ বলছে, আইনজীবী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি চন্দন। তিনি কিরিচ হাতে আইনজীবীকে কুপিয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার সকালে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীন মিয়া আজ বলেন, ‘চন্দন রেলস্টেশনে ঘোরাঘুরি করছিলেন। রাতে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই খবর পেয়ে তাঁকে আমরা গ্রেপ্তার করি। তাঁকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী তারেক আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পুলিশ ভৈরব থেকে চন্দনকে গ্রেপ্তার করে। আইনজীবী হত্যার ভিডিওতে কমলা রঙের গেঞ্জি আর কালো প্যান্ট পরা ছিলেন চন্দন।

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর হওয়াকে কেন্দ্র করে গত ২৬ নভেম্বর আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধাদান এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬ মামলায় গ্রেপ্তার হন ৪০ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ১০ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন। গত সোমবার পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধাদানের মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামির জন্য ওকালতনামা দিলে আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেন অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর সরকারি কৌঁসুলি নেজাম উদ্দিন।

ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের সংগ্রহ করা ৫২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজের সূত্র ধরে তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আইনজীবী সাইফুলকে কোপান ওম দাশ, চন্দন ও রনব, আর তাঁকে পেটাতে থাকেন অন্যরা। সেখানে আরও ২৫-৩০ জন ছিলেন। তাঁদের বেশির ভাগই পরিচ্ছন্নতাকর্মী।