ঢাকা ০৯:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই শহীদদের স্বরণে টেকনাফে এনসিপি’র খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত জুলাই হ’ত্যা’কা’ণ্ড ইতিহাসের কলঙ্ক, শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিন : খালেদা জিয়া” সিসিএন ও সিজেএন এর জয় হাসনাত-সারজিসকে ১০০ বার ফোন দিলেও রিসিভ করে না: শহীদ আবদুল্লাহর মায়ের অভিযোগ ভোটের তারিখ বা সম্ভাব্য সময় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হয়নি: সিইসি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ পাকিস্তানে বৃষ্টি ও বন্যায় একই পরিবারের ১৩ জনসহ ৪৬ জনের মৃত্যু জুলাইকে সবার গণজাগরণ ও ঐক্যের মাসে পরিণত করুন : প্রধান উপদেষ্টা তারেক জিয়া দেশে ফিরছেন ২৮ জুলাই! কচ্ছপিয়ায় বসতঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর ইয়াবা বিক্রি: ইয়াবা’সহ ধৃত ভুট্টো সালাহউদ্দিন আহমদের জন্মদিনে কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের নানা আয়োজন কক্সবাজার সরকারি কলেজ একাউন্টিং ক্লাবের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত, অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানকে ফুলেল শুভেচ্ছা আগামী ২০ জুলাই থেকে শহীদ দৌলত ময়দানে হবে বৃক্ষ মেলা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নুরুল আবছারের পরিবারকে কোস্ট ফাউন্ডেশনের ১ লক্ষ টাকা অনুদান গর্জনিয়ার বড়বিল থেকে পরিত্যক্ত অস্ত্র উদ্ধার : পৃথক ঘটনায় দুজন আটক

ঘুমধুমে ল্যান্ডপোর্ট নির্মাণের সম্ভাবনা যাচাই করা হবে: নৌ উপদেষ্টা

  • টিটিএন ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৬:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 337

দেশের সীমান্ত এলাকা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমে ল্যান্ডপোর্ট নির্মাণের সম্ভাবনা যাচাই করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ঘুমধুম বলে একটা জায়গা আছে, যেটা আরাকান বা রাখাইনের সঙ্গে আমাদের ল্যান্ড কানেকশন। ভবিষ্যতের দিকে নজর রেখে দেখব, সেখানে একটা ল্যান্ডপোর্ট করা যায় কি না। কারণ, আগামীতে মিয়ানমারে যাই থাকুক না কেন, আমাদের সঙ্গে রাখাইন রাজ্যের একটা সম্পর্ক আগে ছিল এবং থাকবে। রোহিঙ্গারা যেহেতু ওই এলাকার। কাজেই ওটাও দেখব, ভবিষ্যতের জন্য প্ল্যান করে রাখব, যাতে ওখানে একটা পোর্ট করা যায়।

নৌ উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি কালকে কক্সবাজার যাব। পরশু টেকনাফে আমাদের একটা বন্দর আছে মিয়ানমারের সঙ্গে সে জায়গাটি দেখব। ওখানে কিছু ইনপুট হয়, সেটি দেখব। একইসঙ্গে ঘুমধুম বলে একটা জায়গা আছে, যেটা আরাকান বা রাখাইনের সঙ্গে আমাদের ল্যান্ড কানেকশন। ভবিষ্যতের দিকে নজর রেখে দেখব, সেখানে একটা ল্যান্ডপোর্ট করা যায় কি না। কারণ, আগামীতে মিয়ানমারে যাই থাকুক না কেন, আমাদের সঙ্গে রাখাইন রাজ্যের একটা সম্পর্ক আগে ছিল এবং থাকবে। যেহেতু সেখানে রোহিঙ্গারা ওই এলাকার। কাজেই ওটাও দেখব, ভবিষ্যতের জন্য প্ল্যান করে রাখব, যাতে ওখানে একটা পোর্ট করা যায়।

টেকনাফ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টেকনাফ বন্দরটা আমরা স্থলবন্দর বলি, আসলে এটা স্থলবন্দর না। এটা হয়তো নৌবন্দরে পরিণত হবে অথবা আন্তর্জাতিক কোনো বিষয় থাকলে দেখা যাবে, এটা চিপিএ’র (চট্টগ্রাম পোর্ট অথরিটি) অধীনে হতে পারে।

কাস্টমের নিলাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কাস্টমের নিলাম অগ্রগতি খুবই ভালো। বেশ কিছু তারা অকশন করেছে এবং অকশন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমি গতবার যে ইয়ার্ডটিতে গিয়েছিলাম, তারা বলেছিল। আজ থেকে সেগুলো সরানো শুরু হবে এবং আগামী রোববারের মধ্যে এটি সম্পূর্ণ হবে। আমাকে ছবি পাঠানো হবে। এনবিআরের চেয়ারম্যান সাহেব এসেছিলেন। বেশ কিছু আইনি পরিবর্তন আনতে হচ্ছে, যাতে পোর্টে বছরের পর বছর কনটেইনার পড়ে না থাকে। আইনি পরিবর্তন প্রক্রিয়াধীন আছে। এটি হলে ১০-১৫ বছর পর আর এখানে কিছু পড়ে থাকবে না। নিলাম হবে। আইনি জটিলতার কারণে কাস্টমস নিলাম করতে পারছে না।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে ক্লিয়ার রাখতে হবে। আপনারা জানেন, চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যকারিতা বিগত ছয় মাসে অনেক বেড়েছে। আগামীতে আরও বাড়বে। আমাদের জায়গা দরকার। নিলাম হয়ে গেলে আমাদের কিছু জায়গা হবে।
বন্দরকেন্দ্রিক বিনিয়োগ প্রসঙ্গে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বন্দরকেন্দ্রিক প্রচুর বিনিয়োগ আসছে। বিশেষ করে বে-টার্মিনাল, লালদিয়ার। লালদিয়ার পাশে আরেকটি দেওয়ার জন্য তারা আলোচনা করছে। আশা করি আগামী ৪-৫ মাসের মধ্যে বিশ্ব ব্যাংকসহ অন্যান্যদের সঙ্গে আমাদের একটা চুক্তি হবে। বিশ্ব ব্যাংকের ৬৫০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ আছে এখানে। বিশেষ করে চ্যানেল তৈরি করা, ব্রেকওয়াটার নির্মাণ। মনে করি, এটি হবে দেশের একমাত্র বড় বিনিয়োগ। বন্দরে বিনিয়োগ হওয়া মানে অঞ্চলের উন্নতি হওয়া, লোকের কর্মসংস্থান হওয়া। আরও প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি হবে।
শ্রমিকদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে মূলত চট্টগ্রামে এসেছি। আমি গাড়ি থেকে নেমে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। দেশের কোনো ক্ষতি হয়, এমন কিছু করতে আমি রাজি নই। এখানে শ্রমিকের কল্যাণ হয় না, এমন কিছু করতেও আমি রাজি না। আমরা যা করব, দেশের ভালোর জন্য, দেশের উন্নতির জন্য। শ্রমিকদের যাতে কল্যাণ হয়, সেটিই আমাদের লক্ষ্য।

সূত্র :বার্তা ২৪

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই শহীদদের স্বরণে টেকনাফে এনসিপি’র খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

This will close in 6 seconds

ঘুমধুমে ল্যান্ডপোর্ট নির্মাণের সম্ভাবনা যাচাই করা হবে: নৌ উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৯:৪৬:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেশের সীমান্ত এলাকা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমে ল্যান্ডপোর্ট নির্মাণের সম্ভাবনা যাচাই করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ঘুমধুম বলে একটা জায়গা আছে, যেটা আরাকান বা রাখাইনের সঙ্গে আমাদের ল্যান্ড কানেকশন। ভবিষ্যতের দিকে নজর রেখে দেখব, সেখানে একটা ল্যান্ডপোর্ট করা যায় কি না। কারণ, আগামীতে মিয়ানমারে যাই থাকুক না কেন, আমাদের সঙ্গে রাখাইন রাজ্যের একটা সম্পর্ক আগে ছিল এবং থাকবে। রোহিঙ্গারা যেহেতু ওই এলাকার। কাজেই ওটাও দেখব, ভবিষ্যতের জন্য প্ল্যান করে রাখব, যাতে ওখানে একটা পোর্ট করা যায়।

নৌ উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি কালকে কক্সবাজার যাব। পরশু টেকনাফে আমাদের একটা বন্দর আছে মিয়ানমারের সঙ্গে সে জায়গাটি দেখব। ওখানে কিছু ইনপুট হয়, সেটি দেখব। একইসঙ্গে ঘুমধুম বলে একটা জায়গা আছে, যেটা আরাকান বা রাখাইনের সঙ্গে আমাদের ল্যান্ড কানেকশন। ভবিষ্যতের দিকে নজর রেখে দেখব, সেখানে একটা ল্যান্ডপোর্ট করা যায় কি না। কারণ, আগামীতে মিয়ানমারে যাই থাকুক না কেন, আমাদের সঙ্গে রাখাইন রাজ্যের একটা সম্পর্ক আগে ছিল এবং থাকবে। যেহেতু সেখানে রোহিঙ্গারা ওই এলাকার। কাজেই ওটাও দেখব, ভবিষ্যতের জন্য প্ল্যান করে রাখব, যাতে ওখানে একটা পোর্ট করা যায়।

টেকনাফ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টেকনাফ বন্দরটা আমরা স্থলবন্দর বলি, আসলে এটা স্থলবন্দর না। এটা হয়তো নৌবন্দরে পরিণত হবে অথবা আন্তর্জাতিক কোনো বিষয় থাকলে দেখা যাবে, এটা চিপিএ’র (চট্টগ্রাম পোর্ট অথরিটি) অধীনে হতে পারে।

কাস্টমের নিলাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কাস্টমের নিলাম অগ্রগতি খুবই ভালো। বেশ কিছু তারা অকশন করেছে এবং অকশন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমি গতবার যে ইয়ার্ডটিতে গিয়েছিলাম, তারা বলেছিল। আজ থেকে সেগুলো সরানো শুরু হবে এবং আগামী রোববারের মধ্যে এটি সম্পূর্ণ হবে। আমাকে ছবি পাঠানো হবে। এনবিআরের চেয়ারম্যান সাহেব এসেছিলেন। বেশ কিছু আইনি পরিবর্তন আনতে হচ্ছে, যাতে পোর্টে বছরের পর বছর কনটেইনার পড়ে না থাকে। আইনি পরিবর্তন প্রক্রিয়াধীন আছে। এটি হলে ১০-১৫ বছর পর আর এখানে কিছু পড়ে থাকবে না। নিলাম হবে। আইনি জটিলতার কারণে কাস্টমস নিলাম করতে পারছে না।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে ক্লিয়ার রাখতে হবে। আপনারা জানেন, চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যকারিতা বিগত ছয় মাসে অনেক বেড়েছে। আগামীতে আরও বাড়বে। আমাদের জায়গা দরকার। নিলাম হয়ে গেলে আমাদের কিছু জায়গা হবে।
বন্দরকেন্দ্রিক বিনিয়োগ প্রসঙ্গে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বন্দরকেন্দ্রিক প্রচুর বিনিয়োগ আসছে। বিশেষ করে বে-টার্মিনাল, লালদিয়ার। লালদিয়ার পাশে আরেকটি দেওয়ার জন্য তারা আলোচনা করছে। আশা করি আগামী ৪-৫ মাসের মধ্যে বিশ্ব ব্যাংকসহ অন্যান্যদের সঙ্গে আমাদের একটা চুক্তি হবে। বিশ্ব ব্যাংকের ৬৫০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ আছে এখানে। বিশেষ করে চ্যানেল তৈরি করা, ব্রেকওয়াটার নির্মাণ। মনে করি, এটি হবে দেশের একমাত্র বড় বিনিয়োগ। বন্দরে বিনিয়োগ হওয়া মানে অঞ্চলের উন্নতি হওয়া, লোকের কর্মসংস্থান হওয়া। আরও প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি হবে।
শ্রমিকদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে মূলত চট্টগ্রামে এসেছি। আমি গাড়ি থেকে নেমে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। দেশের কোনো ক্ষতি হয়, এমন কিছু করতে আমি রাজি নই। এখানে শ্রমিকের কল্যাণ হয় না, এমন কিছু করতেও আমি রাজি না। আমরা যা করব, দেশের ভালোর জন্য, দেশের উন্নতির জন্য। শ্রমিকদের যাতে কল্যাণ হয়, সেটিই আমাদের লক্ষ্য।

সূত্র :বার্তা ২৪