গণমাধ্যমের সাধারণ ধারণা কি হতে পারে? এমন প্রশ্নের উত্তরে খুব সাধারণ চিন্তায় যা আসে তা হলো- সে ‘গণে’র মাধ্যম হবে। গণ বলতে কোনো বিশেষ সম্প্রদায়, বিশেষ রাজনৈতিক মতাদর্শ, বিশেষ ব্যক্তি, বিশেষ বর্ণ, বিশেষ বিশেষ কোনো কিছুর একক মাধ্যম হয়ে উঠবে না! কিন্তু সেটা কী হয়ে উঠেছে?
গণমাধ্যম শব্দটির সাথে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে জড়িত উদার মূল্যবোধ। তাও বা কতোটুকু আছে! অথচ সমাজে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতে গণমাধ্যমের দায় সবচেয়ে বেশি। উদার মূল্যবোধের কারনে সেই দায় স্বীকারে কতোটুকুই বা দায়বদ্ধতার পরিচয় দেই সেটাও প্রশ্নসাপেক্ষ!
‘গণমাধ্যমের’ মাধ্যমে জনসাধারণ প্রধানত সংবাদ পেয়ে থাকে। সেই সংবাদের মাঝেই নানান প্রভাবক বিষয়বস্তু অনেক সময় বিদ্বেষ ও ঘৃণার জন্ম দিয়ে থাকে। যা স্বভাবতই গণমাধ্যমের চরিত্রের সাথে যায়না।
বিশেষত গণমাধ্যমকে বলা হয় ‘ওয়াচ ডগ’। তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি অসংগতিকে চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে এমন ভূমিকা রাখবে যেনো নীতিনির্ধারণী সংগতিপূর্ণ হতে বাধ্যগত হবে জনগণের কাছে।
বর্তমান সময়ে দু’টি ইংরেজি শব্দ বেশ আলোচিত গণমাধ্যমের সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে। মিসইনফরমেশন ও ডিস-ইনফরমেশন। মিসইনফরমেশন বা ভুল তথ্য অনিচ্ছাকৃত হতেই পারে! কিন্তু ডিসইনফরমেশন অর্থাৎ অপপ্রচার যেটি ইচ্ছাকৃত হিসেবেই স্বীকৃত, সেটি তো রীতিমতো অপরাধ।
আরেকটি বিষয় নিজের মতের সাথে বিরুদ্ধ হলেই সেটি বেঠিক, এমন ধারণা ভয়ংকর বটে! সেই ধারণা থেকে আক্রোশপ্রসূত মনোভাব নিয়ে গণমাধ্যমের উপর হামলে পড়াও গণমাধ্যমকে ‘গণের-মাধ্যম’ হয়ে উঠতে বাঁধার দেয়াল হিসেবে দাঁড়ায়।
সবমিলিয়ে এবার হোক, গণমাধ্যমকে ‘গণের-মাধ্যম’ করে তোলার সম্মিলিত প্রয়াস।