ঢাকা ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
উখিয়ার কন্যা অর্চনা’র প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ড অর্জন মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলি’তে ঘুমধুম সীমান্তে যুবক আহত, হাসপাতালে ভর্তি উখিয়ার মনখালীর পাহাড়ে পড়ে আছে যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ, ঘটনাস্থলে পুলিশ ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে রামুতে বিক্ষোভ মিছিল টেকনাফের আলোচিত এনাম মেম্বার নৌবাহিনীর অভিযানে আটক আপাতত দেশে ফিরছেন না তারেক রহমান কক্সবাজারে সাম্প্রদায়িক কোনো নৈরাজ্য- ভুল বোঝাবুঝি নেই আ. লীগের চ্যাপ্টার ক্লোজড, ওপেন করার কোনো সুযোগ নেই: জামায়াত আমির জনগণ সুযোগ দিলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিএনপির কিছু বলার নেই: রিজভী ‘মেধাবৃত্তি পরীক্ষার পুরস্কার বিতরণ ও ম্যাগাজিন পান এর প্রকাশনা অনুষ্ঠান ঈদের তৃতীয় দিন’ দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সুখের তালিকায় আরও পিছিয়েছে বাংলাদেশ ওপারে যাচ্ছে নিত্যপণ্য, এপারে ঢুকছে ইয়াবা! সীমান্তে সক্রিয় ‘চোরা বক্কর’ সিন্ডিকেট মহেশখালীতে কোস্ট গার্ডের অভিযানে ০২ টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমীর প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের গ্র্যান্ড ইফতার ২৮ মার্চ

কাজা নামাজ রোজা আদায় করার নিয়ম

কাজা নামাজ আদায়ের সময়ও সাধারণ নামাজের মতোই সুরা ফাতিহা ও অন্য একটি সুরা পড়তে হবে। কোনো বিশেষ পার্থক্য নেই। নামাজ কাজা হলেও আদায় করতে হবে। যদিও ইচ্ছাকৃত নামাজ কাজা করলে গুনাহগার হতে হয়।

ইসলাম সম্পর্কে উদাসীনতা অথবা না জানার কারণে যেসব নামাজ রোজা করা হয়নি, সেগুলো এখন অবশ্যই কাজা করতে হবে। প্রথমে নামাজ ও রোজার ভিন্ন ভিন্ন হিসাব করুন। এরপর প্রতি ওয়াক্তে দুই পদ্ধতিতে নামাজের কাজা আদায় করতে পারেন।

১. দিনে রাতে (তিনটি হারাম ওয়াক্ত বাদ দিয়ে) যখনই সম্ভব হয় ফজর নামাজ পড়তে থাকুন। কয়েক মাস অথবা দুই এক বছরের মধ্যে ফজর শেষ হলে যোহর পড়তে থাকুন। এভাবে পাঁচ ওয়াক্ত শেষ করুন।

২. আরেকটি পদ্ধতি হলো, যেই ওয়াক্তে সুযোগ হয় ঐ ওয়াক্তের নামাজ কাজা আদায় করুন। যেমন ফজরের সময় ফজর, জোহরের সময় জোহর। এভাবেও করা যেতে পারে।

শীতের মৌসুমে অতীত জীবনের কাজা রোজা আদায় করার জন্য উপযুক্ত সময়। প্ল্যান করে ধীরে ধীরে অতীতের নামাজ ও রোজাগুলো কাজা আদায় করে শেষ করুন।

কাজা রোজার বিধান

যে ব্যক্তি কোনো বৈধ বা অবৈধ কারণে রোজা রাখতে পারেনি, তাকে সেই রোজার কাজা করতে হবে। ১. নিয়ত: ফজরের আগে রোজা রাখার নিয়ত করতে হবে। মনে মনে এই নিয়ত করা যথেষ্ট। যেমন, ‘আমি আগামীকাল কাজা রোজা রাখছি।’ ২. সাধারণ রোজার মতো: কাজা রোজার সময়েও সাধারণ রোজার নিয়মগুলো পালন করতে হবে। সুবহে সাদিক (ভোর) থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও সকল ধরনের পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।

তাড়াহুড়া নয়, যেকোনো কারণে কাজা হয়ে গেলে, তা দ্রুত আদায় করা উত্তম, তবে এটি সময় নিয়ে ধীরে ধীরে করাও বৈধ। বেশি নামাজের কাজা: একাধিক নামাজ কাজা হলে, প্রথমে সেগুলির হিসাব ধরে নামাজ আদায় করতে হবে।

কাজা না করে মৃত্যুবরণ

যদি কেউ কাজা নামাজ বা রোজা রেখে মৃত্যুবরণ করে, তবে তার পরিবার বা উত্তরাধিকারীরা দান-সদকা করে তার পাপমুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে পারে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

উখিয়ার কন্যা অর্চনা’র প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ড অর্জন

This will close in 6 seconds

কাজা নামাজ রোজা আদায় করার নিয়ম

আপডেট সময় : ০৪:৫৭:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কাজা নামাজ আদায়ের সময়ও সাধারণ নামাজের মতোই সুরা ফাতিহা ও অন্য একটি সুরা পড়তে হবে। কোনো বিশেষ পার্থক্য নেই। নামাজ কাজা হলেও আদায় করতে হবে। যদিও ইচ্ছাকৃত নামাজ কাজা করলে গুনাহগার হতে হয়।

ইসলাম সম্পর্কে উদাসীনতা অথবা না জানার কারণে যেসব নামাজ রোজা করা হয়নি, সেগুলো এখন অবশ্যই কাজা করতে হবে। প্রথমে নামাজ ও রোজার ভিন্ন ভিন্ন হিসাব করুন। এরপর প্রতি ওয়াক্তে দুই পদ্ধতিতে নামাজের কাজা আদায় করতে পারেন।

১. দিনে রাতে (তিনটি হারাম ওয়াক্ত বাদ দিয়ে) যখনই সম্ভব হয় ফজর নামাজ পড়তে থাকুন। কয়েক মাস অথবা দুই এক বছরের মধ্যে ফজর শেষ হলে যোহর পড়তে থাকুন। এভাবে পাঁচ ওয়াক্ত শেষ করুন।

২. আরেকটি পদ্ধতি হলো, যেই ওয়াক্তে সুযোগ হয় ঐ ওয়াক্তের নামাজ কাজা আদায় করুন। যেমন ফজরের সময় ফজর, জোহরের সময় জোহর। এভাবেও করা যেতে পারে।

শীতের মৌসুমে অতীত জীবনের কাজা রোজা আদায় করার জন্য উপযুক্ত সময়। প্ল্যান করে ধীরে ধীরে অতীতের নামাজ ও রোজাগুলো কাজা আদায় করে শেষ করুন।

কাজা রোজার বিধান

যে ব্যক্তি কোনো বৈধ বা অবৈধ কারণে রোজা রাখতে পারেনি, তাকে সেই রোজার কাজা করতে হবে। ১. নিয়ত: ফজরের আগে রোজা রাখার নিয়ত করতে হবে। মনে মনে এই নিয়ত করা যথেষ্ট। যেমন, ‘আমি আগামীকাল কাজা রোজা রাখছি।’ ২. সাধারণ রোজার মতো: কাজা রোজার সময়েও সাধারণ রোজার নিয়মগুলো পালন করতে হবে। সুবহে সাদিক (ভোর) থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও সকল ধরনের পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।

তাড়াহুড়া নয়, যেকোনো কারণে কাজা হয়ে গেলে, তা দ্রুত আদায় করা উত্তম, তবে এটি সময় নিয়ে ধীরে ধীরে করাও বৈধ। বেশি নামাজের কাজা: একাধিক নামাজ কাজা হলে, প্রথমে সেগুলির হিসাব ধরে নামাজ আদায় করতে হবে।

কাজা না করে মৃত্যুবরণ

যদি কেউ কাজা নামাজ বা রোজা রেখে মৃত্যুবরণ করে, তবে তার পরিবার বা উত্তরাধিকারীরা দান-সদকা করে তার পাপমুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে পারে।