ঢাকা ০২:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কসউবিতে আন্তঃস্কুল বিতর্ক উৎসব শুরু শনিবার দ্রুত আ.লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত না এলে আবারও ‘ঢাকা মার্চ’: নাহিদ ইসলাম শ্বশুরবাড়িতে মারধরে জামাইয়ের মৃত্যু- উখিয়ায় গ্রেফতার ৩ কক্সবাজারের সুগন্ধার আলোচিত জমি নিয়ে আতাউল্লাহ সিদ্দিকী ও কাবেরীর বিবৃতি সকলকে তারুণ্যের সমাবেশে যোগ দেয়ার আহবান রামুতে ডেবিল হান্ট অভিযানে আটক ৩ আওয়ামীলীগ নেতা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে কক্সবাজারে বিক্ষোভ “ইন্টেরিম তুমি কার, ফ্যাসিবাদের পাহারাদার” আপ বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ উখিয়ায় পিতার বাড়িতে মিললো গৃহবধূর মরদেহ, স্বামী পলাতক ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় পিএসএল স্থানান্তর, আইপিএল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত সরকার আ.লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে: প্রেস উইং রাতভর নাটকীয়তার পর সকালে গ্রেফতার আইভী, দিলেন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বিদ্যুৎহীন কক্সবাজার, ভোগান্তি যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ নয়, নিষিদ্ধ করতে হবে আ.লীগকে: নাহিদ ইসলাম নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ : আসিফ মাহমুদ

কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আত্মগোপনে বেড়েই চলেছে জনদুর্ভোগ..

কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু মো: ইসমাঈল নোমান

কক্সবাজারের রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বালুবাসা গ্রামে গত ৩০ নভেম্বর পিটিয়ে ও কুপিয়ে সাহাব উদ্দিন নামে এক তরুণকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু মো: ইসমাঈল নোমানকে। মামলার পর থেকে এ ইউপি চেয়ারম্যান গা ঢাকা দিয়েছেন। এতে সেবার কার্যক্রম নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। ভোগান্তিতে পড়েছেন পরিষদের নাগরিকরা।

কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল ফজল এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মো: ইসমাঈল নোমান গত ১ ডিসেম্বর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এতে পরিষদের নাগরিকত্ব ও ওয়ারিশ সনদসহ জনসেবার সাধারণ কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে।

কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন- নতুন জন্ম নিবন্ধনে প্যানেল চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর গ্রহণযোগ্য হবে না মর্মে পরিষদের দেয়ালে দেয়ালে বিজ্ঞপ্তি লাগানো হয়েছে। বর্তমানে চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকায় জনদুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। এর পরিত্রাণ খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।

ইউনিয়নের ফাক্রিকাটা গ্রামের বাসিন্দা ছৈয়দ করিম ও তিতারপাড়া গ্রামের ফজল আহমদ বলেন- তাঁরা গত এক সপ্তাহ ধরে সন্তানদের জন্য জন্ম নিবন্ধন করাতে গিয়ে চেয়ারম্যানের সাক্ষর পাচ্ছেন না। চেয়ারম্যানকে ফোন করলেও তিনি রিসিভ করছেন না। এ ক্ষেত্রে মহা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন বিএনপি ও জামায়াত নেতারা জানিয়েছেন- কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু মো: ইসমাঈল নোমান সাবেক হুইপ ও সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের অত্যন্ত আস্তাভাজন ছিলেন। তার ক্ষমতার দাপটে কচ্ছপিয়ায় অনেক অন্যায় কর্মকান্ড হয়েছে। সম্প্রতি হত্যা মামলায় আসামী হওয়ার পর থেকে চেয়ারম্যান পলাতক। তাই প্রতিদিন নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শত শত মানুষ। পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রমেও স্থবিরতা নেমে এসেছে।

এ ব্যাপারে বক্তব্য নেওয়ার জন্য কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু মো: ইসমাঈল নোমানকে পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

জানতে চাইলে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাশেদুল ইসলাম বলেন- বিষয়টি তিনি শুনেছেন। শীঘ্রই চেয়ারম্যান কর্মস্থলে উপস্থিত না হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। জন ভোগান্তি বা দুর্ভোগ মোটেও কাম্য নয়।

জানা গেছে, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের অনেক জনপ্রতিনিধিরা নিখোঁজ হয়ে গেছেন। ১৯ সেপ্টেম্বর ‘ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনার জন্য আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণের বিষয়ে’ স্থানীয় সরকার বিভাগ একটি পরিপত্র জারি করে। পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, দেশে কিছু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বর্তমানে ধারাবাহিকভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন, যার ফলে জনসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য দুটি আদেশ জারি করা হয়েছে: একটি হলো, বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসক স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ধারা ৩৩, ১০১ ও ১০২ অনুযায়ী প্যানেল চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিতে পারবেন; অন্যটি হলো, প্যানেল চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে স্থানীয় সরকারের অধীন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়ার মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা।

ট্যাগ :

কসউবিতে আন্তঃস্কুল বিতর্ক উৎসব শুরু শনিবার

This will close in 6 seconds

কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আত্মগোপনে বেড়েই চলেছে জনদুর্ভোগ..

আপডেট সময় : ১১:৪০:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বালুবাসা গ্রামে গত ৩০ নভেম্বর পিটিয়ে ও কুপিয়ে সাহাব উদ্দিন নামে এক তরুণকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু মো: ইসমাঈল নোমানকে। মামলার পর থেকে এ ইউপি চেয়ারম্যান গা ঢাকা দিয়েছেন। এতে সেবার কার্যক্রম নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। ভোগান্তিতে পড়েছেন পরিষদের নাগরিকরা।

কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল ফজল এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মো: ইসমাঈল নোমান গত ১ ডিসেম্বর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এতে পরিষদের নাগরিকত্ব ও ওয়ারিশ সনদসহ জনসেবার সাধারণ কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে।

কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন- নতুন জন্ম নিবন্ধনে প্যানেল চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর গ্রহণযোগ্য হবে না মর্মে পরিষদের দেয়ালে দেয়ালে বিজ্ঞপ্তি লাগানো হয়েছে। বর্তমানে চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকায় জনদুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। এর পরিত্রাণ খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।

ইউনিয়নের ফাক্রিকাটা গ্রামের বাসিন্দা ছৈয়দ করিম ও তিতারপাড়া গ্রামের ফজল আহমদ বলেন- তাঁরা গত এক সপ্তাহ ধরে সন্তানদের জন্য জন্ম নিবন্ধন করাতে গিয়ে চেয়ারম্যানের সাক্ষর পাচ্ছেন না। চেয়ারম্যানকে ফোন করলেও তিনি রিসিভ করছেন না। এ ক্ষেত্রে মহা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন বিএনপি ও জামায়াত নেতারা জানিয়েছেন- কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু মো: ইসমাঈল নোমান সাবেক হুইপ ও সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের অত্যন্ত আস্তাভাজন ছিলেন। তার ক্ষমতার দাপটে কচ্ছপিয়ায় অনেক অন্যায় কর্মকান্ড হয়েছে। সম্প্রতি হত্যা মামলায় আসামী হওয়ার পর থেকে চেয়ারম্যান পলাতক। তাই প্রতিদিন নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শত শত মানুষ। পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রমেও স্থবিরতা নেমে এসেছে।

এ ব্যাপারে বক্তব্য নেওয়ার জন্য কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু মো: ইসমাঈল নোমানকে পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

জানতে চাইলে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাশেদুল ইসলাম বলেন- বিষয়টি তিনি শুনেছেন। শীঘ্রই চেয়ারম্যান কর্মস্থলে উপস্থিত না হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। জন ভোগান্তি বা দুর্ভোগ মোটেও কাম্য নয়।

জানা গেছে, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের অনেক জনপ্রতিনিধিরা নিখোঁজ হয়ে গেছেন। ১৯ সেপ্টেম্বর ‘ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনার জন্য আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণের বিষয়ে’ স্থানীয় সরকার বিভাগ একটি পরিপত্র জারি করে। পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, দেশে কিছু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বর্তমানে ধারাবাহিকভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন, যার ফলে জনসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য দুটি আদেশ জারি করা হয়েছে: একটি হলো, বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসক স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ধারা ৩৩, ১০১ ও ১০২ অনুযায়ী প্যানেল চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিতে পারবেন; অন্যটি হলো, প্যানেল চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে স্থানীয় সরকারের অধীন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়ার মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা।