বাংলা বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে ব্যপক প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্কৃতি কর্মীরা। ইতোমধ্যে কক্সবাজারের সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মোর্চা হিসেবে গঠন করা হয়েছে পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদ।
প্রায় ২০ টি সংগঠনের অংশগ্রহণে ওই পরিষদের আহবায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে খেলাঘর সংগঠক আশরাফুল হুদা সিদ্দিকী জামশেদ ও উদীচীর সংগঠক ছোটন দাশকে দেয়া হয়েছে সদস্য সচিব হিসেবে।
তাদের অনুষ্ঠানস্থল নির্ধারণ করা হয়েছে কক্সবাজার পৌর প্রিপ্যার্যাটরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে।
আশরাফুল হুদা সিদ্দিকী জামশেদ জানান, সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে বর্ষবরণের আয়োজন। উদ্বোধনী আয়োজন শেষেই শুরু হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। এরপরই একে একে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেবে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।
ছোটন দাশ বলেন, আবহমান বাংলার পান্তাভাতের আয়োজনও থাকবে। সেইসাথে ঐক্যবদ্ধ সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে এবারের বৈশাখ আমাদের ভিন্ন বার্তা দিচ্ছে। দেশের সামগ্রিক মঙ্গল প্রত্যাশায় দূর করতে হবে সকল অসুন্দরতাকে।
এদিকে একই সাথে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগেও কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরীর শহীদ দৌলত ময়দানের বটতলায় অনুষ্ঠিত হবে পহেলা বৈশাখের আয়োজন।
এছাড়াও দেশের বৃহত্তম গণ সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীও প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও আড়ম্বরপূর্ণ বর্ষবরণের আয়োজন করছে শহরের গোলদিঘির পাড়ে।
জেলা উদীচীর সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবছার বলেন, গেলো কয়েকবছর ধরেই উদীচী ফ্যাসিস্ট বিরোধী সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে একক ভাবে নানান কর্মসূচি করে আসছিলো। যারমধ্যে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দিবস ও আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী আয়োজন গুলোও ছিলো। যা অব্যাহত আছে।