ঢাকা ০২:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজারের শিক্ষাবিদ নুরুল আজিজ চৌধুরী আর নেই সুপ্রভাত কক্সবাজারের আহবায়ক কমিটি গঠিত – আহবায়ক: অধ্যাপক আপন চন্দ্র দে, সদস্য সচিব: সায়ন্তন ভট্টাচার্য সাবেক সাংসদ কাজলের মা সালেহা খানম আর নেই বদি সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি “দেশের উপদেষ্টা যদি ডাব খায় সাধারণ জনগনও ডাব খাবে” -সলিমুল্লাহ খান মহেশখালীতে মামার হাতে ভাগ্নে খুনের ঘটনায় আটক-৪ ডা. জাহাঙ্গীর কবির ও তাসনিম জারার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ ৯ দিন পর মুক্তি পেলেন চবির সেই ৫ শিক্ষার্থী কক্সবাজার-মহেশখালী নৌরুটে সি-ট্রাকের উদ্বোধন, জনপ্রতি ৩৫ টাকায় যাতায়াত করবেন ২৫০ মানুষ আমি দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম ৫১ একরের দখল মুক্ত করতে কক্সবাজারের ডিসিকে ফোন করেছি – বন উপদেষ্টা দখলের কারণে কক্সবাজারে নদী বন্দর করা যাচ্ছেনা- নৌপরিবহন উপদেষ্টা বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যু: শোক করছে বাংলাদেশ উখিয়ার ক্যাম্পে ইয়াবার দ্ব’ন্দ্বে রোহিঙ্গা যুবক খু’ন ৬/৭ মাস লেগেছে মহেশখালীর সী-ট্রাক আনতে- নৌ পরিবহন উপদেষ্টা

একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতিকে শহীদ মিনারে না আসার আহ্বান

জুলাই ও আগস্টে গণহত্যা চলার সময়ে নীরবতা পালন করায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে না আসার আহ্বান জানিয়েছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে চলমান গণঅবস্থান থেকে এ ঘোষণা দেন জুলাই বিপ্লবের পর গঠিত প্রথম ছাত্র সংগঠনটির আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ।

তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে আমরা দুই হাজারেরও বেশি ভাই-বোনকে হারিয়েছি। কিন্তু পুরো ঘটনার সময় রাষ্ট্রপতি চুপ করে ছিলেন। এছাড়া এটিও কারো অজানা নয় যে তিনি হাসিনার অবৈধ নির্বাচনের অবৈধ এমপিদের ভোটে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। একে একে হাসিনা অন্যরা পালিয়েছে। সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। হাসিনার এমপিরাও পালিয়ে গেছে। অথচ রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিন বহাল রয়েছেন। ছাত্রজনতার পক্ষ থেকে তার পদত্যাগের দাবি জানানো হলেও তিনি সরে যাননি। কিন্তু তাকে জনগণও মেনে নেয়নি। তিনি স্রেফ কায়েমি স্বার্থবাদীদের মদদে টিকে রয়েছেন।

আবদুল ওয়াহেদ বলেন, আমরা স্পষ্ট করে জানাতে চাই, সাহাবুদ্দিনকে জনগণ জনপরিসরে দেখতে চায় না। তার উচিত বঙ্গভবনের চার দেয়ালের ভেতরে থেকেই জুলাইয়ে নিজের ভূমিকা পর্যালোচনা করা। ফ্যাসিবাদীদের সবার পতনের পর নিজের টিকে থাকার অনর্থকতা অনুধাবন করা। আশা করছি তিনি বিদায়ের তাগিদ বুঝতে পারবেন।

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক বলেন, আমাদের দাবি হলো ফ্যাসিস্ট হাসিনার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জুলাই বিপ্লবের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পা রাখবেন না। তিনি একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসবেন না।

উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আওয়ামী লীগ ও দলটির মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থান কর্মসূচি চলছে।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুই নেতা মো. ওমর ফারুক ও আবু সাঈদের অনশনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে এতে সম্পৃক্ত হয় বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা।

১৬ ফেব্রুয়ারি যাত্রাবাড়ীর শহীদ রানা তালুকদারের পরিবার এ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালানোর আহ্বান জানান। তার অনুরোধে অনশন ভেঙে লাগাতার গণঅবস্থান চলছে।

গণবক্তৃতা, আবৃত্তি, জুলাই গণহত্যার তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, কবিতা আবৃত্তি ও র‍্যাপ সঙ্গীত পরিবেশনসহ নানা আয়োজনে চলছে এ কর্মসূচি।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

কক্সবাজারের শিক্ষাবিদ নুরুল আজিজ চৌধুরী আর নেই

This will close in 6 seconds

একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতিকে শহীদ মিনারে না আসার আহ্বান

আপডেট সময় : ০২:০৮:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জুলাই ও আগস্টে গণহত্যা চলার সময়ে নীরবতা পালন করায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে না আসার আহ্বান জানিয়েছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে চলমান গণঅবস্থান থেকে এ ঘোষণা দেন জুলাই বিপ্লবের পর গঠিত প্রথম ছাত্র সংগঠনটির আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ।

তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে আমরা দুই হাজারেরও বেশি ভাই-বোনকে হারিয়েছি। কিন্তু পুরো ঘটনার সময় রাষ্ট্রপতি চুপ করে ছিলেন। এছাড়া এটিও কারো অজানা নয় যে তিনি হাসিনার অবৈধ নির্বাচনের অবৈধ এমপিদের ভোটে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। একে একে হাসিনা অন্যরা পালিয়েছে। সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। হাসিনার এমপিরাও পালিয়ে গেছে। অথচ রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিন বহাল রয়েছেন। ছাত্রজনতার পক্ষ থেকে তার পদত্যাগের দাবি জানানো হলেও তিনি সরে যাননি। কিন্তু তাকে জনগণও মেনে নেয়নি। তিনি স্রেফ কায়েমি স্বার্থবাদীদের মদদে টিকে রয়েছেন।

আবদুল ওয়াহেদ বলেন, আমরা স্পষ্ট করে জানাতে চাই, সাহাবুদ্দিনকে জনগণ জনপরিসরে দেখতে চায় না। তার উচিত বঙ্গভবনের চার দেয়ালের ভেতরে থেকেই জুলাইয়ে নিজের ভূমিকা পর্যালোচনা করা। ফ্যাসিবাদীদের সবার পতনের পর নিজের টিকে থাকার অনর্থকতা অনুধাবন করা। আশা করছি তিনি বিদায়ের তাগিদ বুঝতে পারবেন।

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক বলেন, আমাদের দাবি হলো ফ্যাসিস্ট হাসিনার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জুলাই বিপ্লবের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পা রাখবেন না। তিনি একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসবেন না।

উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আওয়ামী লীগ ও দলটির মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থান কর্মসূচি চলছে।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুই নেতা মো. ওমর ফারুক ও আবু সাঈদের অনশনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে এতে সম্পৃক্ত হয় বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা।

১৬ ফেব্রুয়ারি যাত্রাবাড়ীর শহীদ রানা তালুকদারের পরিবার এ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালানোর আহ্বান জানান। তার অনুরোধে অনশন ভেঙে লাগাতার গণঅবস্থান চলছে।

গণবক্তৃতা, আবৃত্তি, জুলাই গণহত্যার তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, কবিতা আবৃত্তি ও র‍্যাপ সঙ্গীত পরিবেশনসহ নানা আয়োজনে চলছে এ কর্মসূচি।