ঢাকা ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
উখিয়ার কন্যা অর্চনা’র প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ড অর্জন মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলি’তে ঘুমধুম সীমান্তে যুবক আহত, হাসপাতালে ভর্তি উখিয়ার মনখালীর পাহাড়ে পড়ে আছে যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ, ঘটনাস্থলে পুলিশ ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে রামুতে বিক্ষোভ মিছিল টেকনাফের আলোচিত এনাম মেম্বার নৌবাহিনীর অভিযানে আটক আপাতত দেশে ফিরছেন না তারেক রহমান কক্সবাজারে সাম্প্রদায়িক কোনো নৈরাজ্য- ভুল বোঝাবুঝি নেই আ. লীগের চ্যাপ্টার ক্লোজড, ওপেন করার কোনো সুযোগ নেই: জামায়াত আমির জনগণ সুযোগ দিলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিএনপির কিছু বলার নেই: রিজভী ‘মেধাবৃত্তি পরীক্ষার পুরস্কার বিতরণ ও ম্যাগাজিন পান এর প্রকাশনা অনুষ্ঠান ঈদের তৃতীয় দিন’ দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সুখের তালিকায় আরও পিছিয়েছে বাংলাদেশ ওপারে যাচ্ছে নিত্যপণ্য, এপারে ঢুকছে ইয়াবা! সীমান্তে সক্রিয় ‘চোরা বক্কর’ সিন্ডিকেট মহেশখালীতে কোস্ট গার্ডের অভিযানে ০২ টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমীর প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের গ্র্যান্ড ইফতার ২৮ মার্চ
কসউবি প্রাক্তনীদের একুশের আয়োজন

অংশ নিচ্ছেন ১০ দেশের নাগরিক

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে “সার্ধশততে একুশের দ্রোহ” শিরোনামে ভিন্নধর্মী এক আয়োজন করতে যাচ্ছে কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (কসউবি) প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ।

কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সকাল ১০টায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবে জাপান, ভেনেজুয়েলা, নেপাল, গাম্বিয়া, ফিলিপাইন, কেনিয়া, আফগানিস্তান, নাইজেরিয়া, কাজাখস্তান ও সিরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক। যারা কক্সবাজারে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত।

কসউবি প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিদ্যালয়ের গৌরবময় ১৫০ বছর পূর্তির ধারাবাহিকতায় এ আয়োজন মাতৃভাষার বৈচিত্র্য ও ঐক্যের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠবে এবং বিদেশী নাগরিকদের উপস্থিতি মাতৃভাষার গুরুত্বকে বিশ্বজনীন পরিসরে তুলে ধরবে।

এই অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের পাশাপাশি কসউবি প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রবৃন্দ উপস্থিত থাকবে বলে জানিয়েছেন কসউবি প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের আহবায়ক এম এম সিরাজুল ইসলাম।

কসউবি প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের সংগঠক মোহিব্বুল মোক্তাদীর তানিম জানান, কক্সবাজার এখন আর শুধুমাত্র একটি আঞ্চলিক জেলা নয়, এটি আন্তর্জাতিক পর্যটন, ভূ-রাজনীতি ও বৈশ্বিক বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থল। তাই একুশে ফেব্রুয়ারি শুধু বাংলাভাষীদের গর্বের দিন নয়, এটি সকল ভাষাভাষী মানুষের লড়াই, ত্যাগ ও ঐক্যের প্রতীক। মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় আত্মাহুতি দেওয়া শহীদদের স্মরণে কক্সবাজারের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। ভাষা আন্দোলনের চেতনা কক্সবাজারের মাটিতেও প্রবাহিত হয়েছিল, যেখানে কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্ররা রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

১৮৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এবার উদযাপন করছে তার সার্ধশতবার্ষিকী। এই মাহেন্দ্রক্ষণকে স্মরণীয় করতে এবং ভাষার বৈচিত্র্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই বিশেষ অনুষ্ঠান *কক্সবাজারকে শুধু পর্যটন নগরী হিসেবে নয়, বরং ভাষা ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ, সর্বজনীন ও আন্তর্জাতিক চেতনায় উদ্ভাসিত জনপদ হিসেবে তুলে ধরবে বলে মনে করে কসউবির সংগঠকরা।

প্রসঙ্গত, কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থাপিত শহীদ মিনারটি কক্সবাজার জেলার প্রথম শহীদ মিনার হিসেবে স্বীকৃত। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও শিক্ষকদের অবদান গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত।

ভাষা আন্দোলনে কসউবির অবদান
কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার বাংলা ভাষার প্রতি কক্সবাজারের শ্রদ্ধা ও প্রতিজ্ঞার প্রতীক। এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ভাষা আন্দোলনে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন: খালেদ মোশাররফ, মৌলভি ফরিদ আহমদ, নুরুল হুদা চৌধুরী, আখতারুজ্জামান চৌধুরী, আব্দুল মাবুদ একলাছি, শামসুল হুদা, ওসমান গণি, নুরুল আজিম চৌধুরী, সালেহ আহমেদ, বাদশা মিয়া, জালাল আহমেদ, আব্দুর রহমান, কামালউদ্দিন, বাবু প্রভাস রক্ষিত, শ্রী নিখিলেশ্বর চক্রবর্তী, নাসির উদ্দিন, অ্যাডভোকেট সালামত উল্লাহ, নূর আহমদ, জয়নাল আবেদিন, আমিরুল কবির চৌধুরী, মোহাম্মদ মুসলিম, আবুল কাশেম, ফুটবলার সাগীর প্রমুখ।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

উখিয়ার কন্যা অর্চনা’র প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ড অর্জন

This will close in 6 seconds

কসউবি প্রাক্তনীদের একুশের আয়োজন

অংশ নিচ্ছেন ১০ দেশের নাগরিক

আপডেট সময় : ০৩:৩৮:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে “সার্ধশততে একুশের দ্রোহ” শিরোনামে ভিন্নধর্মী এক আয়োজন করতে যাচ্ছে কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (কসউবি) প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ।

কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সকাল ১০টায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবে জাপান, ভেনেজুয়েলা, নেপাল, গাম্বিয়া, ফিলিপাইন, কেনিয়া, আফগানিস্তান, নাইজেরিয়া, কাজাখস্তান ও সিরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক। যারা কক্সবাজারে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত।

কসউবি প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিদ্যালয়ের গৌরবময় ১৫০ বছর পূর্তির ধারাবাহিকতায় এ আয়োজন মাতৃভাষার বৈচিত্র্য ও ঐক্যের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠবে এবং বিদেশী নাগরিকদের উপস্থিতি মাতৃভাষার গুরুত্বকে বিশ্বজনীন পরিসরে তুলে ধরবে।

এই অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের পাশাপাশি কসউবি প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রবৃন্দ উপস্থিত থাকবে বলে জানিয়েছেন কসউবি প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের আহবায়ক এম এম সিরাজুল ইসলাম।

কসউবি প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের সংগঠক মোহিব্বুল মোক্তাদীর তানিম জানান, কক্সবাজার এখন আর শুধুমাত্র একটি আঞ্চলিক জেলা নয়, এটি আন্তর্জাতিক পর্যটন, ভূ-রাজনীতি ও বৈশ্বিক বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থল। তাই একুশে ফেব্রুয়ারি শুধু বাংলাভাষীদের গর্বের দিন নয়, এটি সকল ভাষাভাষী মানুষের লড়াই, ত্যাগ ও ঐক্যের প্রতীক। মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় আত্মাহুতি দেওয়া শহীদদের স্মরণে কক্সবাজারের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। ভাষা আন্দোলনের চেতনা কক্সবাজারের মাটিতেও প্রবাহিত হয়েছিল, যেখানে কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্ররা রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

১৮৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এবার উদযাপন করছে তার সার্ধশতবার্ষিকী। এই মাহেন্দ্রক্ষণকে স্মরণীয় করতে এবং ভাষার বৈচিত্র্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই বিশেষ অনুষ্ঠান *কক্সবাজারকে শুধু পর্যটন নগরী হিসেবে নয়, বরং ভাষা ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ, সর্বজনীন ও আন্তর্জাতিক চেতনায় উদ্ভাসিত জনপদ হিসেবে তুলে ধরবে বলে মনে করে কসউবির সংগঠকরা।

প্রসঙ্গত, কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থাপিত শহীদ মিনারটি কক্সবাজার জেলার প্রথম শহীদ মিনার হিসেবে স্বীকৃত। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও শিক্ষকদের অবদান গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত।

ভাষা আন্দোলনে কসউবির অবদান
কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার বাংলা ভাষার প্রতি কক্সবাজারের শ্রদ্ধা ও প্রতিজ্ঞার প্রতীক। এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ভাষা আন্দোলনে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন: খালেদ মোশাররফ, মৌলভি ফরিদ আহমদ, নুরুল হুদা চৌধুরী, আখতারুজ্জামান চৌধুরী, আব্দুল মাবুদ একলাছি, শামসুল হুদা, ওসমান গণি, নুরুল আজিম চৌধুরী, সালেহ আহমেদ, বাদশা মিয়া, জালাল আহমেদ, আব্দুর রহমান, কামালউদ্দিন, বাবু প্রভাস রক্ষিত, শ্রী নিখিলেশ্বর চক্রবর্তী, নাসির উদ্দিন, অ্যাডভোকেট সালামত উল্লাহ, নূর আহমদ, জয়নাল আবেদিন, আমিরুল কবির চৌধুরী, মোহাম্মদ মুসলিম, আবুল কাশেম, ফুটবলার সাগীর প্রমুখ।