আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে কক্সবাজারে। শুক্রবার জুমার নামাযের পর তারাবনিয়ারছড়া মসজিদের সামনে থেকে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একটি মিছিল শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।
এসময় বিক্ষোভকারীরা সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
মিছিলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে “ইন্টেরিম তুমি কার, ফ্যাসিবাদের পাহারাদার”, “ওয়ান টু থ্রি ফোর আওয়ামীলীগ নো মোর”, আওয়ামীলীগের গদিতে আগুন জ্বালাও একসাথে” সহ নানান স্লোগান শোনা যায়।
জুলাই আন্দোলনে স্বজন হারানো কিংবা আহত বিপ্লবীদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে সংগঠক লাদেন বলেন,”হয় আমাদেরও হত্যা করুন নাহয় আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করুন।”
অন্তর্বর্তী সরকারের উপর প্রশ্ন ছুঁড়ে তিনি আরও বলেন, “যে সরকার খুন, গুম ও মানুষের লাশের উপর বসে, যাদেরকে ফেরাউন ও নমরুদের সাথে তুলনা দেওয়া যায়, সেই রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার দাবীতে কেন ছাত্র জনতার মাঠে নামতে হবে?”
আওয়ামীলীগের বিচারের দাবিতে আবারো ৩৬ শে জুলাই নামিয়ে আনার হুঁশিয়ারি দিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির সংগঠক জুনায়েদ আহমেদ বলেন, জুলাই আন্দোলনে দুই হাজার প্রাণ কেঁড়ে নেওয়া, শত শত মা বাবার বুক খালি করা, ভাই-বোনের হাত পা কেঁড়ে নেওয়া আওয়ামী ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে বাংলার ছাত্র জনতা আবারও রাজপথে নেমে এসেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করলে ছাত্র জনতা রাজপথে আবারও বুক পেতে দাঁড়িয়ে যাবে।
চলমান ব্যবস্থাকে প্রহসন উল্লেখ করে এই সংগঠক আরো বলেন, আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের ক্ষেত্রে কোন কম্প্রোমাইজ চলবে না। জুলাইয়ে আহতদের রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি।”
তাই অনতিবিলম্বে সকল রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধসহ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণের দাবী জানান তিনি।
আওয়ামীলীগকে জাতিসংঘ স্বীকৃত গনহত্যাকারী আখ্যা দিয়ে কক্সবাজার জেলা ছাত্র শিবিরের সাধারণ সম্পাদক আবু তালহা বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচার ২০০৮ সালের পিলখানা হত্যাকান্ড থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত অসংখ্য মানুষ হত্যা করেছে। এদেশের মানুষের জীবন রক্ষার্থে আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করতেই হবে।
আগামীর বাংলাদেশকে ইসলামের বাংলাদেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এদেশে কোনো হত্যাকারী রাজনীতি করতে পারবে না। আগামীর বাংলাদেশ হবে প্রগতির, শান্তির।
কর্মসূচিতে দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতি বন্ধ করার জন্য আন্দোলনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।