Friday, April 19, 2024

মোখায় ভাঙ্গলো রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৫০০ ঘর

বিশেষ প্রতিনিধি:

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে তীব্র বাতাস ও ঝড়ো হাওয়ায় ৫০০ টির মতো ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো মেরামতে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে ক্যাম্প প্রশাসন।

রবিবার (১৪ মে) বিকালে মোখা বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করার সময় উখিয়া-টেকনাফের ৩৩ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বৃষ্টির সাথে ছিলো তীব্র বাতাস ও ঝড়ো হওয়া।

অস্থায়ী কিছু ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোন ধরনের হতাহতের খবরাখবর পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান।

রবিবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, ” রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঘর গুলো আসলে টেম্পোরারি শেল্টার , বাতাসের বেগে বেশকিছু শেল্টার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৫০০ এর মতো শেল্টার ক্ষতিগ্রস্ত যার মধ্যে কোনটি আংশিক, কোনটি সম্পূর্ণ। দুই একটি জায়গায় গাছ পড়েছে এরকম দুই একটি জায়গায় মাটি সরে গিয়েছে। কোন হতাহতের খবরাখবর পায়নি,মানুষের কোন ক্ষতি হয়নি সেটা নিশ্চিত বলা যায়।”

ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো মেরামতে শেল্টার সেক্টর ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যে শেল্টার গুলোর ক্ষতি হয়েছে সেগুলো মেরামতে আমাদের শেল্টার সেক্টর কাজ করছে। আমরা আগেই ধারণা করেছিলাম বাতাসের গতিবেগ যাই হোক না কেন, এগুলো যেহেতু টেম্পোরারি শেল্টার এবং এগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া ছিলো। পর্যাপ্ত শেল্টার কিট আছে এবং শেল্টার সেক্টর সেগুলো ক্ষতিগ্রস্তদের ডিস্ট্রিবিউট করবে।”

উখিয়ার ১ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি মোহাম্মদ হাশেম জানান,” বৃষ্টি বাতাসের সময় আমাদের ভয় কাজ করছিলো। আমার ব্লকে তেমন কোন ক্ষতি হয় নি তবে দুই তিনটি গাছে পড়েছে।”

পরিবার সহ ৪নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি কমিউনিটি সেন্টার আশ্রয় নিয়েছিলেন আব্দুল করিম। তিনি বলেন, “আমার ঘর পাহাড়ের নিচে তাই আমি এখানে চলে এসেছিলাম পরিবারের ৫ সদস্য সহ। বৃষ্টি থেমেছে এখন চলে যাবো,জানি না ঘর ঠিক আছে কিনা।”

৪০০০ এর অধিক স্বেচ্ছাসেবক রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন আশ্রিতদের সচেতন করা, নিরাপদে সরিয়ে নেয়া সহ দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন কাজে তৎপর ছিলো।

সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক মোহাম্মদ আরিফ বলেন, ” মাইকিং করা, ঝুঁকিপূর্ণ শেল্টারে থাকা মানুষগুলো কে কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে যাওয়া সহ আমরা বিভিন্ন কাজে সবসময় ছিলাম। এখন ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী কোন ক্ষতি হলে সেখানেও আমরা কাজ করব। ইতিমধ্যে ভেঙ্গে পড়া গাছ সরানো হচ্ছে।”

আরও খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় সংবাদ

You cannot copy content of this page