কক্সবাজারে ঈদুল আজহার প্রথম দিনে ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবে ৫ জন শহিদ এবং ৩০ জন আহত পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেছে এনসিপির নেতাকর্মীরা।
শহিদদের স্মরণে ও তাঁদের পরিবারের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশের অংশ হিসেবে ঈদের দিন সকালে কুরবানির পশু জবাই করে কুরবানির মাংস শহিদ পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব এ এস এম সুজা উদ্দিন এবং কক্সবাজারের সংগঠক খালিদ বিন সাঈদের তত্ত্বাবধানে যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক আসিফ মোহাম্মদ বাপ্পি ও এনসিপির জেলা সংগঠক সাঈদ স্বাধীন নেতৃত্ব দেন এই কার্যক্রমে।
শহিদ ওয়াসিম, শহিদ আহসান হাবিব, শহিদ নুরুল মোস্তফা ও শহিদ নুরুল আমিনের পরিবারের কাছে ঈদের কুরবানির মাংস পৌঁছে দেওয়া হয়।
মহেশখালীর কালামারছড়ায় শহিদ তানভির ছিদ্দিকীর পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেন এ এস এম সুজা উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শাখার সদস্য সচিব সাজ্জাদ হোসাইন ও এনসিপি মহেশখালীর সংগঠক মাহবুব আলমসহ অনেকে। এ সময় শহিদ তানভিরের পিতা সরকারের প্রতি শহিদ পরিবারগুলোকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিরাপত্তা প্রদান করার আহবান জানান।
শহিদ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দ্রুততম সময়ে সরকারের কাছে জুলাই গণহত্যার বিচার এবং জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করার অনুরোধ জানান। তাঁদের সন্তানদের আত্মত্যাগ যেন বৃথা না যায়, সেই লক্ষ্যে দেশবাসীকে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে আগামীর বাংলাদেশ গড়ার আহবান জানান।
কক্সবাজার জেলা এনসিপির সংগঠক মোঃ ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।