ঢাকা ০৯:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র করবে যৌথ তিনটি সামরিক মহড়া বিএনপি নেতা সৈয়দ নুর জীবনের শেষ মুহুর্তেও ছিলেন মিছিলে, রেখেছেন বক্তব্য কাউন্সিলর একরাম হত্যা মামলায় বদি’কে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ সৎ, নীতিবান ও পেশাদার অফিসাররা পদোন্নতির দাবিদার: প্রধান উপদেষ্টা খালি পেটে এই ৭ কাজ করলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বেন বেগুন আগে খেয়েছেন এভাবে? গোপালগঞ্জের ঘটনায় গণগ্রেপ্তার হচ্ছে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মধ্যরাতে চকরিয়ার সড়কে বিক্ষোভ নি’ষি’দ্ধ ছাত্রলীগের, খবর ছড়ালো ফেসবুকে! সালাহউদ্দিন আহমদকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে কুতুবদিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল এখন আমাদের লড়াই করতে হবে ‘ট্যাবলেটের’ বিরুদ্ধে- হাসনাত হাসপাতালে অসুস্থ জামায়াত আমির’কে দেখতে গেলেন মির্জা ফখরুল গণতান্ত্রিক শক্তির লড়াইয়ে আরামে আছেন দিল্লিওয়ালা: সালাহউদ্দিন আহমদ ‘সালাহউদ্দিন উঁচু্মানের নেতা, কটুক্তি’র সাহসদাতাদের মূল উৎপাটন করা হবে’ এনসিপি নেতা পাটোয়ারীকে গ্রেফতারের দাবী পেকুয়া বিএনপির ‘লাগামহীন মন্তব্যের বিপরীতে ছাত্র-জনতা কোন পদক্ষেপ নিলে এনসিপিই দায়ী’

আপনারা যে বোঝা হতে চাননা সেটা উনিও (গুতেরেস) বুঝেছেন – রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ড. ইউনূস

রোহিঙ্গাদের সাথে ইফতারে গিয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেছেন “আল্লাহর কাছে দোয়া গরি সাম্মর বার যেন অনরা নিজর বাড়িত যাইয়ারে ঈদ গরিত পারন”।

রোহিঙ্গা ভাষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলা এই কথার অর্থ হলো, আল্লাহর কাছে দোয়া করি আগামী বছর আপনারা যেনো নিজের ঘরে গিয়ে ঈদ করতে পারেন”

শুক্রবার নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজার সফরের শেষ পর্ব ছিলো উখিয়ার আশ্রয় শিবিরের ২০নং ক্যাম্পে লাখো রোহিঙ্গার অংশগ্রহণে ইফতার।

দুপুর ১টার কিছু সময় আগে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তেনিও গুতেরেসকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে চেপে কক্সবাজার বিমানবন্দরে আসেন ইউনূস। এরপর গুতেরেস রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চলে যান এবং ইউনূস কক্সবাজার বিমানবন্দরর সম্প্রসারণ কাজ ও খুরুস্কুলের জলবায়ু পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময়ে সভা করেন।

সবশেষে তিনি যান আশ্রয় শিবিরে। সেখানে এন্তেনিও গুতেরেসসহ অংশ নেন লাখো রোহিঙ্গার ইফতারে।

এসময় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গাদের উদ্দ্যেশ্যে বক্তব্য দেন। পুরো বক্তব্য তিনি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় দেন।

তিনি বলেন, আপনারা যে কারো বোঝা হতে চাননা-এটা বলেছেন। আমরা সেটা তাকে (গুতেরেস) বলবো। আপনারা যে অনুরোধ করেছেন সেটাও সে বুঝেছে। আমরাও অনুরোধ করবো যতো তাড়াতাড়ি পারা যায় মিয়ানমারে চলে যাওয়ার ব্যবস্থা যেনো হয়। আপনারা যে বোঝা নয় দুনিয়ার মানুষের সেবা করতে চান সেটাও তুলে ধরা হবে।

মোহাম্মদ ইউনূস বলেন, আপনারা যে সুযোগ সুবিধা চান নিজের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার সেটা তিনি (গুতেরেস) বুঝেছেন। দুনিয়ার মানুষকে তা বুঝাতে হবে। সে দায়িত্ব উনি (গুতেরেস) নিয়েছেন। দুনিয়ার হাজার রকমের দায়িত্ব তার। কোথায় যুদ্ধ হয়েছে কোথায় কি হচ্ছে সব তার দেখতে হয়। এতোকিছুর পর আপনাদের দায়িত্ব কতো গুরুত্ব দিয়ে তিনি বিবেচনা করছেন তা বুঝানোর জন্য এতোদূর থেকে আপনাদের সাথে বসে ইফতার করবে, আপনাদের কষ্টটা উপলব্ধি করার জন্য।

“সবার পক্ষ থেকে আমরা তার (গুতেরেস) কাছে শুকরিয়া জানাই” বলেন ইউনূস।
এরপর ইফতার শেষ করেই তারা ক্যাম্প থেকে সড়ক পথে ফেরেন কক্সবাজার বিমানবন্দরে। রাত ৮টায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে এন্তেনিও গুতেরেসসহ ঢাকায় ফিরে যান মোহাম্মদ ইউনূস।

ট্যাগ :

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র করবে যৌথ তিনটি সামরিক মহড়া

This will close in 6 seconds

আপনারা যে বোঝা হতে চাননা সেটা উনিও (গুতেরেস) বুঝেছেন – রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ড. ইউনূস

আপডেট সময় : ০৮:২১:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

রোহিঙ্গাদের সাথে ইফতারে গিয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেছেন “আল্লাহর কাছে দোয়া গরি সাম্মর বার যেন অনরা নিজর বাড়িত যাইয়ারে ঈদ গরিত পারন”।

রোহিঙ্গা ভাষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলা এই কথার অর্থ হলো, আল্লাহর কাছে দোয়া করি আগামী বছর আপনারা যেনো নিজের ঘরে গিয়ে ঈদ করতে পারেন”

শুক্রবার নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজার সফরের শেষ পর্ব ছিলো উখিয়ার আশ্রয় শিবিরের ২০নং ক্যাম্পে লাখো রোহিঙ্গার অংশগ্রহণে ইফতার।

দুপুর ১টার কিছু সময় আগে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তেনিও গুতেরেসকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে চেপে কক্সবাজার বিমানবন্দরে আসেন ইউনূস। এরপর গুতেরেস রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চলে যান এবং ইউনূস কক্সবাজার বিমানবন্দরর সম্প্রসারণ কাজ ও খুরুস্কুলের জলবায়ু পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময়ে সভা করেন।

সবশেষে তিনি যান আশ্রয় শিবিরে। সেখানে এন্তেনিও গুতেরেসসহ অংশ নেন লাখো রোহিঙ্গার ইফতারে।

এসময় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গাদের উদ্দ্যেশ্যে বক্তব্য দেন। পুরো বক্তব্য তিনি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় দেন।

তিনি বলেন, আপনারা যে কারো বোঝা হতে চাননা-এটা বলেছেন। আমরা সেটা তাকে (গুতেরেস) বলবো। আপনারা যে অনুরোধ করেছেন সেটাও সে বুঝেছে। আমরাও অনুরোধ করবো যতো তাড়াতাড়ি পারা যায় মিয়ানমারে চলে যাওয়ার ব্যবস্থা যেনো হয়। আপনারা যে বোঝা নয় দুনিয়ার মানুষের সেবা করতে চান সেটাও তুলে ধরা হবে।

মোহাম্মদ ইউনূস বলেন, আপনারা যে সুযোগ সুবিধা চান নিজের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার সেটা তিনি (গুতেরেস) বুঝেছেন। দুনিয়ার মানুষকে তা বুঝাতে হবে। সে দায়িত্ব উনি (গুতেরেস) নিয়েছেন। দুনিয়ার হাজার রকমের দায়িত্ব তার। কোথায় যুদ্ধ হয়েছে কোথায় কি হচ্ছে সব তার দেখতে হয়। এতোকিছুর পর আপনাদের দায়িত্ব কতো গুরুত্ব দিয়ে তিনি বিবেচনা করছেন তা বুঝানোর জন্য এতোদূর থেকে আপনাদের সাথে বসে ইফতার করবে, আপনাদের কষ্টটা উপলব্ধি করার জন্য।

“সবার পক্ষ থেকে আমরা তার (গুতেরেস) কাছে শুকরিয়া জানাই” বলেন ইউনূস।
এরপর ইফতার শেষ করেই তারা ক্যাম্প থেকে সড়ক পথে ফেরেন কক্সবাজার বিমানবন্দরে। রাত ৮টায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে এন্তেনিও গুতেরেসসহ ঢাকায় ফিরে যান মোহাম্মদ ইউনূস।