ঢাকা ০৭:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজারে দুর্যোগ প্রস্তুতি মহড়া ও র‍্যালী অনুষ্ঠিত উখিয়ায় ঢালুতে আটকে আছে মালবাহী লরি! দীর্ঘ যানজট হলেও জানেন না হাইওয়ে ওসি মাগুরার শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে কক্সবাজার এসে পর্যটকদের আর চিন্তা নেই এসে গেছে ‘ভ্রমণিকা’ অ্যাপ শুক্রবার কক্সবাজার আসছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব জামালপুরের ‘যৌনপল্লী’ থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প – মাদকের এডি দিদারুলের যত অপকর্ম! সাংবাদিককে ফাঁসাতে কক্সবাজার মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের লাইভ নাটক! “আমার বোনের কান্না, আর না-আর না” পেকুয়ার বানৌজা শেখ হাসিনা নৌঘাঁটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে বানৌজা পেকুয়া পেকুয়ার নৌঘাঁটি সহ সামরিক বাহিনীর ৮ সংস্থা-স্থাপনার নাম পরিবর্তন ধর্ম উপদেষ্টা কক্সবাজার আসছেন সোমবার: জেলা মডেল মসজিদ উদ্বোধন করবেন চকরিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান: ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা মব ভায়োল্যান্স সৃষ্টিকারী সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: মাহফুজ আলম ব্যারিস্টার সাফফাত ফারদিন চৌধুরী – মরিচ্যাপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন সভাপতি রিজার্ভ এখন ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প লাগোয়া সরকারি জায়গায় ‘রহস্যজনক’ স্থাপনা!

কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের পাশে উখিয়ার কুতুপালংয়ে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সরকারি জায়গা দখলে নিয়ে প্রকাশ্যে স্থাপনা নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় একটি চক্র।

কুতুপালং বাজার থেকে ৪শত মিটার অদূরে আমগাছ তলা নামক এলাকায় ২ ডব্লিউ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাঁটাতার লাগোয়া ঐ স্থানে ইতিমধ্যে গড়ে তোলা দুইটি আধাপাকা গুদামঘর এবং আরো একটি স্থাপনা নির্মাণাধীন।

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জ ভুক্ত সদর বিটের আওতাধীন আনুমানিক ৫০ শতকের এই জায়গাটি কিছুদিন আগেও ছিলো উন্মুক্ত মাঠ, এলাকাবাসীর উদ্যোগে গত ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিলো একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল।

সূত্র বলছে, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সুযোগে প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় এই জায়গাটি দখলে নেন রাজাপালং ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ শরীফের পুত্র মোহাম্মদ শাহ আলম।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, নির্মিতব্য স্থাপনায় কাজ করছে ৭-৮ জন রোহিঙ্গা শ্রমিক।

গুদামঘর সাদৃশ্য স্থাপনাটি কেনো নির্মাণ করা হচ্ছে তা জানেন না সেখানে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ৩ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইলিয়াস (২৬) ।

স্থাপনার বিপরীত পাশে অবস্থিত পানের দোকানি মোহাম্মদ সিরাজ নিজেকে মোহাম্মদ শরীফের ‘মেয়ের জামাই’ পরিচয় দেন। জায়গাটি বনবিভাগের স্বীকার করে তিনি জানান, তার স্ত্রীর ভাই শাহ আলমই জায়গাটিতে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন।

এ বিষয়ে শাহ আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল ধরেননি।

উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহীনুর ইসলাম শাহীন প্রতিবেদক’কে বলেন, ” সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ গুরুতর অপরাধ। স্থানটি পরিদর্শন করে বিধি অনুযায়ী বনবিভাগ ব্যবস্থা নিবে।”

সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ” সরকারি সম্পদ-জমি রক্ষায় প্রশাসনের কর্মতৎপরতা অব্যাহত আছে, কোনোভাবেই দখলদার তথা ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

কক্সবাজারে দুর্যোগ প্রস্তুতি মহড়া ও র‍্যালী অনুষ্ঠিত

This will close in 6 seconds

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প লাগোয়া সরকারি জায়গায় ‘রহস্যজনক’ স্থাপনা!

আপডেট সময় : ১২:১২:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের পাশে উখিয়ার কুতুপালংয়ে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সরকারি জায়গা দখলে নিয়ে প্রকাশ্যে স্থাপনা নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় একটি চক্র।

কুতুপালং বাজার থেকে ৪শত মিটার অদূরে আমগাছ তলা নামক এলাকায় ২ ডব্লিউ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাঁটাতার লাগোয়া ঐ স্থানে ইতিমধ্যে গড়ে তোলা দুইটি আধাপাকা গুদামঘর এবং আরো একটি স্থাপনা নির্মাণাধীন।

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জ ভুক্ত সদর বিটের আওতাধীন আনুমানিক ৫০ শতকের এই জায়গাটি কিছুদিন আগেও ছিলো উন্মুক্ত মাঠ, এলাকাবাসীর উদ্যোগে গত ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিলো একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল।

সূত্র বলছে, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সুযোগে প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় এই জায়গাটি দখলে নেন রাজাপালং ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ শরীফের পুত্র মোহাম্মদ শাহ আলম।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, নির্মিতব্য স্থাপনায় কাজ করছে ৭-৮ জন রোহিঙ্গা শ্রমিক।

গুদামঘর সাদৃশ্য স্থাপনাটি কেনো নির্মাণ করা হচ্ছে তা জানেন না সেখানে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ৩ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইলিয়াস (২৬) ।

স্থাপনার বিপরীত পাশে অবস্থিত পানের দোকানি মোহাম্মদ সিরাজ নিজেকে মোহাম্মদ শরীফের ‘মেয়ের জামাই’ পরিচয় দেন। জায়গাটি বনবিভাগের স্বীকার করে তিনি জানান, তার স্ত্রীর ভাই শাহ আলমই জায়গাটিতে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন।

এ বিষয়ে শাহ আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল ধরেননি।

উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহীনুর ইসলাম শাহীন প্রতিবেদক’কে বলেন, ” সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ গুরুতর অপরাধ। স্থানটি পরিদর্শন করে বিধি অনুযায়ী বনবিভাগ ব্যবস্থা নিবে।”

সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ” সরকারি সম্পদ-জমি রক্ষায় প্রশাসনের কর্মতৎপরতা অব্যাহত আছে, কোনোভাবেই দখলদার তথা ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না।